বিবাহিত জীবনে যৌনতা নিয়ে কেন লজ্জ্বা, যখন বিধাতা সঙ্গমকে স্বর্গীয় বন্ধন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। আপনার যৌন জীবনের রুটিনে পরিবর্তন আনুন, সঙ্গমকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখুন। আপনার যৌন সঙ্গির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। যৌনতা কেবল মাত্র পুরুষের কামনাই চরিতার্থ করেনা। নারীরও দৈহিক ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে। আপনার সংসারে যদি আপনার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চান তাহলে আপনার সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। যৌন সঙ্গী আপনার কাছে কিরকম ব্যবহার আশা করে এখানে তেমন কয়েকটি সূত্র দেয়া হলো। তবে অবশ্যই তার প্রতি আপনার ও আপনার প্রতি তার বোঝাপড়া এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh8u14hSYUb7edtjceTGjtZppYKtTOgX9uhsYoN-cSHhcEUWZr50AEtiSHQKRDdaC9DzWK08oKEMtoEHceqXv7uBa4jclVy5uCRqJPQHnfp0lBLgN6CM9zOhyj7vycBM6lpiRF78ZlG_hc/s640/319913_100488343485349_1890995186_n.jpg)
সূত্র-১: মধুর মিলনে সময় নেন দীর্ঘক্ষণ
যখন সঙ্গীর কাছে যাবেন তখন সময় নিয়ে যান। সঙ্গীর দেহের সাথে আপনার দেহের ঊষ্ঞতা উপভোগ করুন দীর্ঘ সময় যাবত। সঙ্গীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। এটা এমন নয় যে, আপনি এবং আপনার সঙ্গীকে পরিস্থিতি এমন সম্পর্কে উপনীত করেছে। বরং পরিস্থিতিকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করুন ও সঙ্গীকে ভালবাসুন।
দ্য জয় অব সাইবার সেক্সের লেখক ডেব লেভিন বলেন, “আপনি যখন বিলম্ব করবেন এবং অঙ্গকে বিশ্রাম দিয়ে অনুভূব করার চেষ্টা করবেন। তখন আপনারা একজন আরেকজনের সঙ্গম ও সময় পরিপূর্ণ উপভোগ করতে পারবেন।“
তিনি আরো বলেন, “ এই অনুভূতিটি দীর্ঘস্থায়ী । যখন আপনার সঙ্গী বুঝতে পারবে যে, তার সাথে আপনার মিলন কেবল দৈহিক রোমাঞ্চের জন্যই নয়। তার প্রতি আপনার ভালবাসার বহিপ্রকাশ। তখন আপনার সঙ্গীও আপনার প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক হবেন। এবং আপনাকে তিনি অন্য সব কিছু চেয়ে অগ্রাধিকার দিবে, আপনার প্রতি তার আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে “
সূত্র-২: হালকা গতির যৌন মিলন
যারা যৌথ পরিবারে বাস করে বা সংসারে অধিক সন্তান থাকে এবং শহুরে জীবনে অল্প জায়গায় বাস করে তাদের জন্য। যৌন মিলন অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেননা বিবাহিত দম্পতিরা তাদের নিজেদের জন্য একান্ত কিছু সময় কামনা করে। কিন্তু ঘরে একাধিক মানুষের উপস্থিতি ও স্থানাভাব তাদের এই চাওয়া অনেক সয়ম সফল হয়ে উঠে না। তাই তারা একটু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
যখনই আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে এমন কোন ইশারা পাবেন তাকে সময় দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের মধ্যে ভালবাসার গভীরতা বাড়বে। অনেক সময়ই আমাদের দেশের মেয়েরা শ্বশুর শ্বাশুড়ীর সাথে বসবাস করতে চায়না। তার একটা মূল কারন কিন্তু এই একান্ত জীবন। কারন প্রতিটা মানুষেরই ব্যক্তিগত জীবন আছে। যেহেতু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও পারিবারিক জীবন এতো খোলামেলা নয় তাই আমাদের মেয়েরা অনেক সময় লজ্জ্বার কারণে তার সঙ্গীর ইশারায় সাড়া দেয়না । এতি হিতেবিপরীত হয়। পুরুষ সঙ্গীটি শারীরিক ভাবে তার স্ত্রীর সান্নিধ্য কামনা করলেও সে যখন তাকে পায় না । তখন সে অন্য কোন উপায়ে তার এই শারীরিক চাহিদা পূরণ করতে চায়। তখন সে হয়তো বা ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে যেতে পারে। তাই নারী সঙ্গীর উচিত লজ্জ্বা না পেয়ে তাদের অধিকারকে বাস্তবায়ন করা।
সূত্র-৩: সঙ্গীকে মিলনে উদ্ধুদ্ধ করতে মৈথুন করা
আপনি হয়তো বলবেন যে আপনার সঙ্গীর সামনে মৈথুন করার চেয়ে ৫ হাজার মানুষের সামনে বক্তৃতা দেয়া অনেক সহজ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশির ভাগ পুরুষেরই পছন্দ তার সঙ্গী যেন তাকে বিভিন্ন ভাবে যৌন অঙ্গভঙ্গীর মাধ্যমে তাকে মিলনের জন্য আহ্বান জানায়। আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন ? শীতল বা উষ্ঞ। আপনার সঙ্গীকে আপনার প্রতি দূর্বল করার হাতিয়ার হচ্ছে তাকে আপনার সাথে মিলনে উদ্ধুদ্ধ করা। আপনার সাথে মিলনের সাথে সাথেই আপনার প্রতি সব ধরনের ক্রোধ-অভিযোগ সব বিলীন হয়ে যাবে। তাই সূত্রটি কাজে লাগান, সুখী দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করুন।![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_vjTZ5Sdb568gItf-H2P3LTX3Tv2Dj6CLvCoy9Bac7bs8iWCIGADQSnUGtWMw10HV55M6Pg5U4pRrmcYZjKmM7TeMd0BV900-zu8AfFnLnMkEbe1T2D3ee0jyIur8yB=s0-d)
সূত্র-৪: যৌন উন্মাদনায় সঙ্গীর সাথে সহায়তা করা
কিছু কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষেই স্ত্রী সঙ্গীকে অনেক বেশি যৌন উন্মাদনায় ভাসাতে চায়। তারা তাদের যৌন তৃপ্তির জন্য সঙ্গীর সাথে বিভিন্ন আসনে যৌন সঙ্গম করতে চায়। আমাদের দেশের মেয়েরা যেহেতু অনেক বেশি লাজুক প্রকৃতির তাই তারা অনেক সময় পুরুষ সঙ্গীটিকে বুঝতে পারে না। যৌনতা যেহেতু মানুষের মন ও দেহের একটি প্রাকৃতিক চাহিদা তাই সঙ্গীটি অন্য কোন উপায়ে তার সেই কৌতুহলকে মিটাতে অনেক ক্ষেত্রে খারাপ নারীর সঙ্গ নিতে পারে। এতে আপনার সুখের সংসারে ভয়ংকর বিপদ নেমে আসতে পারে। হয়তো কোন বিপজ্জনক রোগ বহনকারী নারীর সাথে মিলনে পুরুষ সঙ্গীটি কোন মারাত্মক রোগ বহন করে নিয়ে আসতে পারে ।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjTzYN8CUCJd3Bah2Ufjq-QnepjiRnVxq9HuJ3ArccA3p34Q5xUaoPv82_n9KmM-cy94zHqqrj-xKIqSssEvlW9cvLPAvw-vL8728dyEsuHQC0gGo8ckjql-I6JBB-X1y0OHJyI6O5BMno/s640/541518_424273164346675_1832206490_n.jpg)
সূত্র-৫: আত্মসমর্পণ করা যৌনতা
আমাদের সঙ্গীদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকলে যৌন জীবনে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দম্পতি যদি হয় আনাড়ী তাহলে পুরুষ সঙ্গীটিকেই দেখা যায় এই কর্মে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে। নারী সঙ্গীটি এই ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় থাকে অথবা জোড়াজুড়ি করে আদায় করতে হয়। এমন ক্ষেত্রে উচিত হবে সঙ্গীকে সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক সময় আত্ম সমর্পন করতে হতে পারে।
সূত্র-৬: নারীর সঙ্গীকে সক্রিয় যৌনকাজে সহায়তা করা
আমরা মনে করি যৌনতা একচেটিয়া পুরুষের কামনার বিষয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পুরুষের মত নারী সঙ্গীরও শারীরিক ও দৈহিক যৌন চাহিদা আছে। নারী সঙ্গীটি যখন উত্তেজিত হবে তখন পুরুষ সঙ্গীটির উচিত তার নারী সঙ্গীর যৌন কাজে সহায়তা করা। এতে আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা সে কখনোই করবেনা।
সূত্র-৭: আরামদায়ক অবস্থানে যৌন কর্ম করা
যৌন কর্ম প্রাণী জগতের টিকে থাকার এক অমোঘ বিধান। আমাদের টিকে থাকার জন্য ও বংশ বৃদ্ধির জন্য যৌন কর্মের কোন বিকল্প নাই। তাই যৌন বিষয়ক বিষয়গুলোকে এড়িয়ে না গিয়ে আমাদের উচিত আমাদের সঙ্গীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা। যেসব বিষয় সঙ্গীটি পছন্দ করে তা তাকে দেয়া এবং যা অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকা। এটা মনে করলে ভূল করবেন যে, আপনি বিয়ে করেছেন তাই ঐ নারীর সাথে যে কোন ভাবেই আপনি যৌন আচরন করতে পারেন। এই ধারণা ভূল। আপনার সঙ্গী আপনার নামে নারী নির্যাতনের দায়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তাই সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন সঙ্গীকে ভালবাসুন। সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলুন।
![](https://lh4.googleusercontent.com/-M8DwN1hyLnk/TXxXDCTn1LI/AAAAAAAAAoY/Wsd5wM3HymQ/s1600/bangla+choti+book.jpg)
তাজাখবর
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment