Wednesday, September 14, 2011

গোপন এক স্পট!


অপরাধ জগত, কালোবাজার বা খুন রাহাজানির কোনো গোপন সপট এটি নয় অথবা নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত কোনো পিকনিক সপট এটি নয়। ডঃ লাডাস, ডঃ পেরি আর ডঃ ইতপলি নামের তিনজন গবেষক এ সপটকে বিশ্বজনতার কাছে পরিচিত করে তোলেন। নারী দেহ মানচিত্রে এর অবস্থান। অবশ্যই গোপনীয় কারণ গোপনাঙ্গে এর অবস্থিতি। কৌতূহল মানব মনে এ সপটের আবিষকার তোলপাড় করে তোলে সারা বিশ্বজুড়ে। এ সপটের নাম ‘জি সপট’ সাংকেতিক নাম। গবেষক নারী যৌনাঙ্গের যোনি গাত্রে লুকানো অতিমাত্রায় সংবেদনশীল জায়গা খুঁজে পান। যখন যৌনাঙ্গের এ অংশটি উদ্দীপিত করা হয় তা নারীর মাঝে চরমপুলকের অনুভূতি আর শিহরণ জাগায়। গবেষকত্রয় এর অবস্থানের একদম সক্ষ্ম হিসেব বাতলে দিয়েছেন-এটি যোনির অগ্রবর্তী গাত্রের মাঝে অবস্থান করে যা মুখ হতে পাঁচ সেঃমিঃ পরিমাণ ভেতরে থাকে। আকারে শিমের বিচির মত হলেও যৌন উত্তেজনায় এর আকার বেড়ে যায়। এ সপটের আবিষকার এতদিনকার প্রচলিত নানা তত্ত্বকে পাল্টে দিয়েছে। অর্গাজমকে ঘিরে মনোগবেষক সিগমন্ড ফ্রয়েড দেয়া যে তত্ত্ব আলফ্রেড কিংসে পঞ্চাশের দশকে বাতিল করে দেন আশির দশকে এ জি সপট আবিষকার ফ্রয়েড তত্ত্বকে নতুন গ্রহণযোগ্যতা দান করেছে। এতো গেলো এক দিকের ব্যাপার। অপরদিকে যৌন সমীক্ষকদের মাঝেও এ নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। একদল তো এ সম্পর্কিত সপটের উপস্থিতিই মানতে রাজি নন। অন্যদের অভিমত নারী যৌনাঙ্গে এ জি সপট থাকতে পারে কিন্তু্তু সবার মাঝে নেই। এক গবেষক মাত্র দশ শতাংশ মহিলাদের বেলাতে এর উপস্থিতির কথা বলেছেন। অপর একদল বলেন প্রতি তিনজনে দু’জন মহিলার বেলাতে এর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। গবেষকত্রয় এ নানান বিতর্ক সম্পর্কে অভিমত দেন ঠিক এভাবে কোনো নারীর যৌনাঙ্গে এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রব্য করতে গেলে প্রথমেই দেখতে হবে তার যৌন দৃষ্টিভঙ্গি আর যৌন সচেতনতা কেমন? এ কারণেই যতই দিন যাচ্ছে এ বিশেষ সপট অধিকারিনী নারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এবার নামের রহস্য? এত নাম বাদ দিয়ে জি সপট নাম হলো কেনো? জি নামেরও রহস্য আছে কারণ গ্রাফেন বাজ নামের একজন ফরাশী গাইনোকলজিস্ট সর্বপ্রথম এর ধারণা দিয়েছিলেন। গ্রাফেনবাজ পুরুষ ছিলেন নারী নন।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More