This is default featured post 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Friday, August 31, 2012

Download Play Girl Magazine June

Download Play Girl Magazine July

Wednesday, July 18, 2012

আজ সারাটা দিন গেল মেয়েদের দুধ আর পাছার দুলোনী দেখতে দেখতে

দোতলা তেকে সিড়ি দিয়ে নামছি, একটি মেয়ে উপরে উঠার সময় কি মনে করে ওড়নাটা খুলে  আবার ভাজ করে পরল। লাউ সাইজ দুধু তার উনম্মুক্ত হলো । আমার কি দোষ, সে দেখালো তাই দেখলাম। লিঙ্গ মিয়া একটু কেপে উঠল!! নিচ নেমে রিকশা ঢাকতে যাব এমনি দেখি এক মহিলা বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপো। তার তার বুকের রসালো আম দুটো চুয়ে চুয়ে রস পরছে। আহ কি মিষ্ট এক চমুক খেলাম। তার পাছার খাজে ঢুকে গেছে বোরখা, িদন মিয়া চিন্তা করে যদি ওখানে ঢুকে দেখি কি তবে তার কি দোষ? তার পাছা তো নয় যেন দুটো বড় সাইজের কাঠাল জোরা লেগে আছে আর মাঝ খানদিয়ে কস পড়ছে।  েএই হলো কলি জমানার মেয়েদের বোরখা পড়ার স্টাইল। আজ কাল রোরখা পড়ার পড় পাছার মাংস  জোরা আর বুকের উচু পাহাড় দুইখান আরো সুস্পস্টভাবে পুরুষের চোখকে লেহন করায়। পাছার দোলনী আরো কামুক ও যৌন উত্তেজনাকর। মাগীরা বোরখাই যদি পরবি তো পর তবে তা পরার পর তোরে দুধ পাছা আরো স্পস্ট কর!!!!!!!!!!!!! আমরা ও দেখে তৃপ্তি পাই। আবার দেখলাম রিকশা করে এক মেয়ে গেল গলায় ওড়না। বড় সাইজ দুধ নাচে আর নাচে রিকসার তালে। শুধু আমি না অনেক বুড়ো ও এক ঝলক চেখে নিল সেই মহোনীয়তা। পেলাম না রিকশা হাটছি আর হাটছি সামনে পড়ল  এক হালি বোরখা মেয়ে বৃষ্টি ভেজা। সেই একি কাহিনী তাদের পিছনে বোরকা ভেদিয়া প্রশস্ত পাহার নাচে আর সামনে খারা মাস্তুল পুরুষ গায়েলে ব্যস্ত। অকামুক পুরুষ কামুক হয় তাদের দেখিয়া। তারা ও মজা পায় এই ভাবিয়া, আমাদের বোরকা পরা সার্থক । দেখ বুড়ার ও পেনিস খারা হহছে আমাদের এগুলা দেখে।  আমাদের নারী জীবন স্বার্থক 60 বচরের বুইড়ার ও লিঙ্গ খাড়া হয় আমাদের যৌবন রস দেখে....
দেখেন বোরখার নিচে কি দেখা যায়???

Tuesday, May 29, 2012

যৌনতা নিয়ে নারীর অস্বাচ্ছন্দ্যতা


অনেক নারী যৌনতা নিয়ে অস্বাচ্ছন্দ্যতা বা এক ধরনের চিন্তা, বা শঙ্কায় ভোগেন। তারা স্বাভাবিক শরীরের অধিকার হলেও যৌনাঙ্গ নিয়ে অনেক সময় বেশ অস্থির থাকেন। অবশ্য নারীরা চরমপুলক বা যৌন শিহরণমূলক অনুভূতি অথবা অন্যদের মতো সেক্স তারা কেন করতে পারেন না এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগেন। হঠাৎ করে কোনো যৌনসঙ্গম একটু ব্যথাদায়ক হলে তাদের উদ্বেগের সীমা থাকে না।
 
যৌন আচরণ অনুভূতি আর যৌন ইচ্ছার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। বিভিন্ন ধরনের আসন, বিভিন্ন রকমের টেকনিকে অনেকে খুব যৌনমুখ পান-আবার অনেকে পান না। একজন নারী যৌন আনন্দ বা যৌনসুখের জন্য যে আসন বা ব্যবস্থাটিই বেছে নিক না কেন তা কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। অন্য নারীরা যা করে তা আপনাকে একইভাবে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে কারো অনিচ্ছা আর আপত্তি সত্ত্বেও তার সাথে যৌন সঙ্গম করা অন্যায়। বলাৎকার এবং অপব্যবহার এই দুটিই আইনের দৃস্টিতে অপরাধ।

আসলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন নারীকে অবশ্যই তার শরীর বা বডি ইমেজ সম্পর্কে স্বচ্ছ সাবলীল ধারণা থাকা চাই। এক্ষেত্রে নারী তার যৌনসঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হবেন। নারীকে অবশ্যই জানতে হবে কিসে যৌনানন্দ বোধ হয় এবং তিনি কি অপছন্দ করেন।

নারী যৌনাঙ্গের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্পর্শকাতর ফুলের মতো বা ঠোঁটের মতো অংশটাকে ক্লাইটোরিস বা ভগাংকুর বলে। এতে সুখস্পর্শ করলে নারীর দেহমনে এক অন্যরকমের যৌনসুখ অনুভূত হয়।যৌন সঙ্গমের সময় একজন নারী ঠিক যেভাবে বা যেরকম স্পর্শ তার ক্লাইটোরিসে চায় সেরকম হয় না। তাই যৌনসঙ্গমের সময় এমন একটা পথ বেছে নিন যাতে কিনা ক্লাইটোরিসের সাথে মৃদু বা মাঝারি ঘর্ষণ নিশ্চিত হয়। নারী নিজে বা তার যৌনসঙ্গী যৌনক্রিয়ার সময় ক্লাইটোরিসকে উদ্দীপিত করতে পারে বা বীর্যস্খলনের পর নারীকে চরমপুলক বা যৌন শিহরণ দেয়ার জন্য এটাকে উদ্দীপিত করতে পারে। নারী নিজেই আবিস্কার করবে কার মাধ্যমে হস্তমৈথুনে তিনি বেশি যৌনসুখ পান, তার যৌনসঙ্গীর মাধ্যমে না নিজের মাধ্যমে।

নারী যদি সত্যিকারভাবেই উদ্দীপিত হয় তাহলে কিন্তু যোনি ভিজে যায়। এর ফলে যৌনসঙ্গম সহজতর হয়। কতক নারী-পুরুষ আবার যোনিকে ভেজা রাখার জন্য দ্রবণীয় কোনো পিচ্ছিল তরল ব্যবহার করেন। এটা যে কোনো ড্রাগ ষ্টোর থেকে কেনা যেতে পারে; তবে পেট্রোলিয়াম জাতীয় পিচ্ছিলকারক পদার্থ কখনোই ব্যবহার করবেন না।

একজন নারী তার যৌনানুভূতি বা যৌন ইচ্ছার কথা দেহের ভাষাতে প্রকাশ করতে পারেন। আর আপনি যদি এতে সফল হন তবে আপনার যৌনসঙ্গী আপনার সাথে যৌনকর্মে বা যৌনসঙ্গমে মিলিত হতে চাইতে পারেন-এতে করে উভয়েই যৌনানন্দ আর যৌনসুখ নিঃসন্দেহে পাবেন।

গর্ভসঞ্চারের ভীতি, যৌনবাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা বা দুশ্চিন্তা ইত্যাদি সবকিছুই সেক্সের অনুভূতিকে কমিয়ে দিতে পারে। ক্লান্ত বা অবসাদগ্রস্ত হওয়া, মনোশারীরিক চাপ বা ষ্ট্রেস, অসুস্থতা বা এ্যালকোহল সেবন যৌন আচরণ আর অনুভূতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।

সেক্স সম্বন্ধে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা যেমন অপব্যবহার, যৌন অত্যাচার বা নিপীড়ন, ধর্ষণ, বলাৎকার বা সেক্স একটা নোংরা ব্যাপার-এরূপ ধারণা সেক্সের ওপরে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তবে কতক নারীর ফিজিক্যাল বা শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। সেক্স সম্পর্কীয় মানসিক সমস্যার জন্য অবশ্যই সেক্স থেরাপিষ্টের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।

প্রয়োজনীয় কিছু সেক্স স্টাইল (SEX Style)

প্রয়োজনীয় কিছু সেক্স স্টাইল (SEX Style)

কিছু প্রয়োজনীয় সেক্স স্টাইল (SEX Style)
 
সাধারণত সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে এমন ধারণা বিদ্যমান যে, মোটা সঙ্গীর সাথে যৌন সঙ্গম করা অসম্ভব সুখপ্রদ নয়। আসলে এক্ষেত্রে শরীরের মেদের চেয়ে মানসিক উৎকণ্ঠাই সঙ্গমের আনন্দকে বেশি ব্যাহত করে। প্রত্যাখ্যানের ভয়, যৌনসঙ্গীর যৌন চাহিদা মেটাতে অক্ষম বা যৌন সঙ্গম করতে অক্ষম এমন ধরনের কিছু সাধারণ দুশ্চিন্তাই যৌনসুখকে সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত করে। পাশাপাশি যৌন সঙ্গমের ঠিক কৌশল সম্পর্কে অজ্ঞতা, সঙ্গমের পুর্বে সঠিকভাবে উত্তেজিত করতে না জানা, যৌন উত্তেজক স্থানসমূহ না চেনা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সঙ্গমের চূড়ান্ত সুখ লাভ করা সম্ভব হয় না। আসলে মোটা লোকদের সম্পর্কে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি অনেকাংশেই নেতিবাচক। ডায়েটিং করা বা দীর্ঘদিন ধরে আংশিক উপোস করার কারণে মোটা লোকদের যৌন বাসনা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি যেসব মহিলাদের ওজন কমতে শুরু করে, তাদের স্বাভাবিক মাসিকচক্রও অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। মোটা বা মেদবহুল মহিলারা সাধারণত এমন ধারণা পোষন করে থাকে যে, তাদের পক্ষে কোনো পুরুষকে যৌনসুখ দেয়া সম্ভব নয় বা তাদেরকে কেউ পছন্দ করে না। ফলে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেয়। এই ধরনের আত্মবিশ্বাসহীনতা তাদের যৌনজীবনকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করে।

মোটা পুরুষদের বেলায়ও এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। প্রত্যাখ্যান হবার ভয়, যৌন সঙ্গম করতে অক্ষম, বা সঙ্গিণীকে যৌনতৃপ্তি দানে অক্ষম বা তাদেরকে কেউ পছন্দ করে না এমন ধরনের ধারণা তাদেরকে যৌনসঙ্গম থেকে বিরত রাখে। এ ধরনের মানসিক দুশ্চিন্ত ও সামাজিক দৃষ্টভঙ্গি বা সুযোগের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকলে তারা যৌন সঙ্গমে অক্ষম হয়ে যেতে পারে। আসলে এটি বর্তমানে একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এ বিষয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক গবেষণাও হয়েছে। গবেষণায় কিছু ফলাফল উল্লেখ করা হলো-

মোটা মানুষের বেলায় শারীরিক যৌন চাহিদা স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে। তবে সঙ্গমের বেলায় অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিবাহিত জীবনে ও যৌন সঙ্গমই মোটা লোকদের আনন্দলাভের গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

অবিবাহিত মোটা লোকদের বেলায়ও দেখা যায় তাদের স্বাভাবিক যৌন বাসনা রয়েছে। তবে মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে অর্থাৎ তাদের সাথে কেউ যৌনসঙ্গম করতে পছন্দ করে না এমন ধারনা তাদের যৌনজীবনকে বাধাগ্রস্ত করে।

মোটা লোকদের যারা যৌনসঙ্গী খুঁজে পায় না তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় মোটা লোকেরা যৌন সঙ্গমে অধিক পারদর্শী এবং তাদের যৌনবাসনাও বেশি।

মোটা লোকদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো-তারা সঙ্গমের ক্ষেত্রে কোন আসনে যৌনসঙ্গম করলে তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে তা নির্ধারন করতে পারে না। তবে সঠিক আসন বেছে নিয়ে যৌনসঙ্গম করলে তারাও স্বাভাবিক আনন্দ লাভ করতে পারবে।

আসলে মোটা মানুষের ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে পারলে মোটা লোকদের স্বাভাবিক আত্মবিশ্বাস থাকলে তাদের যৌন জীবনের অনেক সমস্যাই কেটে যাবে।

যৌন সঙ্গমের কিছু আসন

অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, মোটা লোকেরা তাদের যৌন সঙ্গমের ক্ষেত্রে সঠিক আসন বেছে নিতে পারে না। মনে রাখা প্রয়োজন, মানুষের শরীর মোটা হলে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেদ জমলেও যোনিপথ বন্ধ হয়ে যায় না বা পুরুষাঙ্গ অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় না। আসলে মোটা হলেও প্রকৃতিগতভাবেই সব যৌনসঙ্গমের জন্য উপযুক্ত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা জানা দরকার তা হলো- সঙ্গমের উপযুক্ত আসন বা কৌশল। প্রয়োজন মনে করলে আপনি এক্ষেত্রে একজন যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

নিুে প্রয়োজনীয় কিছু যৌন আসনের কৌশল উল্লেখ করা হলো-

পুরুষপ্রধান আসন

এই আসনটিকে সাধারণত মিশনারি আন বলা হয়ে থাকে। সাধারণত মহিলাটি তার পুরুষ সঙ্গীর চেয়ে মোটা হলে এ ধরনের আসন বেশি কার্যকর হয়। এক্ষেত্রে মহিলাটি চিৎ হয়ে শুয়ে দুই পা কটির দিকে বাঁকিয়ে রাখবে এবং হাঁটু সম্পূর্ণ বাঁকিয়ে দুই উরু যতটা সম্ভব ফাঁক করে ধরবে। এতে করে তার যোনিমুখ সম্পূর্ণভাবে সঙ্গম উপযোগী হবে। তার ভুড়ি খুব বড় হলে এ সময় সে দুই হাতে যোনিমুখ থেকে তা ওপরের দিকে টেনে ধরতে পারে। অন্ততপক্ষে পুরুষ সঙ্গীটি তার উরুর মধ্যে সঙ্গম উপযোগী আসন নেয়ার আগ পর্যন্ত এমনটি করা যেতে পারে। এতেও যদি সঙ্গম করা কষ্টকর হয় তবে মহিলাটি একটি বা একাধিক বালিশ তার নিতম্ব বা পাছার নিচে রাখতে পারে। এক্ষেত্রে সঙ্গম করা সহজতর হয় কারণ এতে করে যোনিমুখ ওপরে উঠে আসে। নিতম্বের নিচে একাধিক বালিশ স্থাপন করলে শুধু সঙ্গম করাই সহজ হয় না বরং সঙ্গমের ক্ষেত্রে ভিন্নতাও আসে। সঙ্গমকালে পা দুটি বিভিন্ন উচ্চতায় উঠালে সঙ্গমের ভিন্ন রকম স্বাদ পাওয়া যায়। যৌন বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মাত্র তিন ইঞ্চি পরিমাণ উচু নিচু করলে যৌন সঙ্গমের অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। এই আসনটিকে মেইল আপারেইট আসন ও বলা যেতে পারে। প্রয়োজন মনে করলে সঙ্গমের সময় পুরুষটি তার নিতম্বের ওপর বসে নিতে পারে। এক্ষেত্রে দুই হাত দিয়ে শরীরের উত্তেজক অংশগুলোতে শৃঙ্গার করতে পারে।

এই আসনের মাধ্যমে সঙ্গম করার সময় পুরুষটি মোটা হলে কতগুলো সাধারণত নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সঙ্গমের পূর্বে সে তার শরীর ওপরে তুলে ধরবে এবং দুই হাতে ভুড়ি ওপিরে টেনে ধরবে, এতে করে মহিলাটি তার সঙ্গীটির পুরুষাঙ্গ সহজে তার যোনিপথে প্রবেশ করাতে পারবে। এক্ষেত্রেও মহিলাটি তার নিতম্বের নিচে বালিশ দিয়ে নিতে পারে। এসময় প্রথমেই মহিলাটির ওপর তার শরীরের সম্পূর্ণ ওজন ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। দ্ ুহাতের ওপরে শরীরের ভর রেখে, আস্তে আস্তে চাপ প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। তবে মজার ব্যাপার হলো- উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে একজন চিকন বা শুকনো মহিলাও অনেক মোটা শরীরের চাপ সহজেই সহ্য করতে পারে।

আরেকটি বিষয় এখানে মনে রাখা প্রয়োজন তাহলো, মোটা পুরুষের ক্ষেত্রে কিভাবে সে তার শরীরের ওজন মহিলা সঙ্গীটির ওপর প্রয়োগ করবে, তা আসলে নিজেরাই পারস্পরিক বোঝা পড়ার মাধ্যমে ঠিক করে নিতে পারে। যদিও যৌনসঙ্গমের সময় যোনিপথে পুরুষাঙ্গ চাপ দিতে শরীরের ওজন প্রয়োগ করা জরুরি নয় তবে অনেক সময় দেখা যায় শরীরের ওজন কৌশলে কেন্দ্রীভূত করে শুধু যৌনাঙ্গের ওপর প্রয়োগ করলে অধিক আনন্দ পাওয়া যায়।

মহিলাপ্রধান আসন

যৌনসঙ্গী অতিরিক্ত মোটা হলে বা দুজনেই মোটা হলে এ ধরনের আসন বেশি কার্যকর বলে যৌন বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। এই আসনে পুরুষটি চিৎ হয়ে শুয়ে পা সোজা করে রাখবে। এসময় হাঁটু দুটো হাল্কা বাকিয়েও রাখা যায়। ভুড়ি মোটা থাকলে তা দুই হাতে ওপরে টেনে ধরা বাঞ্ছনীয়। এসময় মহিলা তার হাটু বাকিয়ে পুরুষটির যৌনাঙ্গের ওপর মুখোমুখি বসে পুরুষাঙ্গ সহজেই যোনিতে প্রবেশ করিয়ে যৌনসঙ্গম করতে পারে। তবে এই ধরনের আসনে মহিলাটি অতিরিক্ত মোটা হলে কিছু সমস্যা হতে পারে বলে কিছু লোক মনে করে থাকেন। যেমন এতে মহিলাটির অতিরিক্ত চাপে পুরুষটি আহত হতে পারে। তবে অধিকাংশ যৌন বিশেষজ্ঞরা এই আসনটিকে একটি আদর্শ আসন বলে থাকেন। গবেষনায় দেখা যায়, অধিকাংশ মোটা মহিলারা এই আসনটিকে বেশি পছন্দ করে। তবে এই আসনে যৌনসঙ্গম করতে কিছুটা চর্চা ও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

বিপরীতমূখী নারীপ্রধান আসন

পুরুষ ও নারী উভয়েরই অতিরিক্ত ভুড়ি থাকলে এই আসনে যৌনসঙ্গম করা যেতে পারে। এই আসনে পুরুসটি চিৎ হয়ে বা পা দুটো সোজা রাখবে বা হাটু হাল্কা বাকিয়ে রাখতে পারে। এসময় মহিলাটি পুরুষটির মুখের দিকে পিঠ দিয়ে হাটু বাঁকিয়ে পুরুষটির উরুর ওপর বসে সহজেই পুরুষাঙ্গ তার যোনিপথে প্রবেশ করাতে পারে। এই ধরনের আসনে দুজনের তলপেট একসাথে হয় না বলে সহজেই সঙ্গম করা যায়। এসময় পুরুষটি তার মোটা ভুড়ি ওপরে টেনে ধরে মহিলাটিকে সঠিকভাবে বসতে দেয়া প্রয়োজন। তবে এতে সঠিকভাবে সঙ্গম উপযোগী অবস্থান নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

পেছনের দিক সঙ্গম করার আসন

পুরুষ ও মহিলা অধিক মোটা হলে বা মহিলাটি গর্ভবতী হলে এই আসনে সঙ্গম করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে মহিলাটি হাটু বাকিয়ে সামনের দিকে ঝুকে পা দুটো হাল্কা ফাক করে ধরবে এবং শরীরের ওপরের অংশ নিচু করবে। ফলে যোনিমুখ ওপরে উঠে আসবে। এ সময় পুরুষটি পা বাকিয়ে হাটুর ওপর ভর দিয়ে ভুড়িটি ওপরে টেনে ধরে মহিলাটির পেছন দিক দিয়ে পুরুষাঙ্গ যোনিপথে প্রবেশ করাতে পারে। পুরুসাঙ্গ যোনিপথে প্রবেশ করাতে পারে। পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে তলপেট মহিলাটির নিতম্বের ওপর চেপে রেখে সহজেই সঙ্গম করা যায়। তবে পুরুষাঙ্গ আকারে ছোট হলে বা যোনিমুখ ও যৌনাঙ্গের ভেতরের গঠন অস্বাভাবিক হলে পেছন দিক দিয়ে সঙ্গম করতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। আবার মহিলাটির উরু অত্যাধিক মোটা হলে তার হাটু গেড়ে বসতে সমস্যা হতে পারে।

সিম’র আসন

এই আসনটিও পেছন দিক দিয়ে যৌনসঙ্গম করার মত এক ধরনের আসন। এক্ষেত্রে মহিলাটি একদিকে ফিরে শুয়ে হাটু বাকিয়ে ওপরে পা যতটা সম্ভব মাথার দিকে টেনে তুলবে এবং নিচের পা সোজা থাকবে। এতে করে যোনিমুখ ওপর দিয়ে বা পেছন দিয়ে সঙ্গমের উপযোগী হবে। এ সময় পুরুষটি তার দুটি পা মহিলাটির নিচের পায়ের দু দিকে রেখে হাটু গেড়ে বসে পেছন দিকে দিয়ে যৌনসঙ্গম করতে পারে। প্রয়োজন হলে পুরুষটি তার হাটুর নিচে বালিশ দিয়ে নিতে পারে। মহিলাটি পুরুষটির চেয়ে অধিক মোটা হলে এ ধরনের আসনে যৌনসঙ্গম করা যেতে পারে। এ আসনটি একটু জটিল তবে চেষ্টা করলে বা চর্চা করলে এই আসনে সঙ্গম করা যেতে পারে।

উল্টা আসন (অপসাইড ডাউন পজিশন)

এতে পুরুষ ও মহিলা এমনভাবে বিছানায় কাৎ হয়ে শোবে যাতে একজনের পা অন্যজনের মাথার দিকে থাকে। এভাবে আস্তে আস্তে যৌনাঙ্গ সঠিকস্থানে এনে এই আসনে যৌনসঙ্গম করা যেতে পারে। এতে দুজনের পেটে কোনো সংযোগ ঘটে না।

টি-বর্গ আসন

এই আসনে মহিলাটি তার পা দুটি যতটা সম্ভব ফাঁক করে পিঠের ওপর যথারীতি শোবে। পুরুষটি তার কটির ওপর কাৎ হয়ে শুয়ে মহিলাটির পা দুটি ওপরে তুলে ধরে সহজেই সঙ্গম করতে পারে। এতে তলপেটের সংযোগ ঘটে না।

এক্স-আসন

এটি অনেকটা টি-বর্গীয় আসনের মতই। এক্ষেত্রে মহিলাটি চিৎ হয়ে শুয়ে পা দুটি বাকিয়ে উরুদ্বয় যতটা সম্ভব ফাক করে ধরবে। এই সময় যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করাবার পর মহিলাটি তার পা দুটি একসাথে করবে এবং পুরুষটির শরীরে তখন ৪৫ ডিগ্রি কোণ সৃষ্টি করবে। এতে করে দুইজনের অবস্থান ইংরেজি বর্ণমালা এক্স-এর আকারের হবে। তবে এটি করার সময় মহিলাটির যোনির পেশি এমনভাবে চেপে রাখা প্রয়োজন যাতে পুরুষাঙ্গ বের হয়ে যায়। এই আসনে পরস্পরের ভুড়ি সঙ্গমের বেলায় বাধা সৃষ্টি করে না।

দাঁড়িয়ে সঙ্গম করার আসন

এক্ষেত্রে মহিলাটি কোনো বিছানা বা টেবিলের কিনারায় বসে হাল্কা হেলান দিয়ে পা দুটি ফাক করে দুটি চেয়ারের ওপর রাখতে পারে। পুরুষটি তখন মহিলাটির পায়ের মাঝে দাড়িয়ে বা প্রয়োজন হলে হাটু গেড়ে বসে যৌন সঙ্গম করতে পারে। প্রয়োজন হলে মহিলাটি শুয়ে থাকতেও পারে। এরপর মহিলাটি দাড়িয়ে তার পা দুটি পুরুষটির পায়ের দুদিকে দিয়ে যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সঙ্গম করতে পারে। এসময় প্রয়োজন হলে পুরুষটি তার পিঠের নিচে বালিশ দিয়ে নিতে পারে। সুতরাং এই আসনটি দুইভাবে চর্চা করা যায়। তবে এই আসনে যৌনসঙ্গম করতে গেলে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় মহিলাটি সামনের দিকে ঝুকে হাত দুটি বিছানার ওপর রাখলে পিছন দিক দিয়ে যৌনসঙ্গম করা যায়। এসময় এক পা ওপরে তুলে রাখলে সঙ্গম আরো সহজতর হয়।

অতিরিক্ত মোটা হলে যৌন সঙ্গমের বেলায় তাদের সঙ্গমকে সফল করতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যেমন-প্রয়োজনীয় বিছানা, টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি।

ওরাল সেক্স 

ওরাল সেক্স উপভোগ করতে জানলে অত্যন্ত আনন্দদায়ক হতে পারে। সাধারণত মোটা মহিলারা ওরাল সেক্সের বেলায় বেশ পটু হয়ে থাকে। তবে যে জিনিসটি মনে রাখা প্রয়োজন তা হলো- ওরাল সেক্স আসলে এক তরফা কিছু নয়। মুখ মেহনের মাধ্যমে যৌনসঙ্গী দুজনই পরস্পরকে আনন্দ দিতে পারে। যৌন বিশেষজ্ঞরা ৬৯ পদ্ধতির ওরাল সেক্সের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মুখ মেহন বা ওরাল সেক্স যৌনসঙ্গমের অংশও বটে। এর মাধ্যমে যৌনসঙ্গমকে আরো অধিক আনন্দময় করা যেতে পারে।

সঙ্গমবিহীন যৌনতা

যোনিপথে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ না করিয়েও অনেক সময় যৌন আনন্দ লাভ করা যায়। যেমন- যোনিপথে কৌশলে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে মহিলাটিকে যৌন আনন্দ দেয়া যায় যৌন উত্তেজক আলোচনা, শৃঙ্গার, হাসি ঠাট্টা, স্পর্শ করা, উত্তেজক বই পড়া বা উত্তেজক ছবি দেখা ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে যৌন আনন্দ লাভ করা যায়। মনে রাখা প্রয়োজন পরস্পর খুব কাছাকাছি থাকার ফলে সঙ্গমের আনন্দ লাভ না করতে পারলেও অন্তত ভালোবাসার আনন্দ পাওয়া যায়।
 
সত্র: ওয়েব দুনিয়া.কম


বিবাহের প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক প্রস্তুতি


বিবাহের  প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক প্রস্তুতি

বয়স হয়ে গেলো, বসন্ত একের পর টা টা দিচ্ছে, অথচ অনেক এখন আবিয়াইত্যা। আমি পোলাপাইনদের কথা বলছি। যারা বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে বসে আছে, বিয়ের পর কি কি করবে তার উষ্ণ পরিকল্পনাও করে রেখেছে। গল্প-উপন্যাস-মুভি-নাটক পড়ে/দেখে বা বন্ধুদের কথা শুনে কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছে, অথচ ফানুস কিন্তু হঠাৎই ফুসস্ হয়ে যাবে, যদি কল্পনাটা বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা না হয়।যেহেতু অনেকেরই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নাই দৈহিক সম্পর্ক বা বিবাহ পরিবর্তী প্রাথমিক কার্যকলাপের তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পোলাপাইনরা নানা রকম ভুল ধারনা নিয়ে বসে থাকে। তার সাথে পর্নোছবি-বই (চটি) আর অনেকের বাড়িয়ে বলা অভিজ্ঞতায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়। কেউবা একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে চিন্তা ভেবে বসে থাকে, আর বিয়ের পর তার এদিক ওদিক হলে টেনশনে পরে। কেউ বা হীনমন্যতায় ভুগে বিয়ের দিকেই যেতে চায় না। দ্বিতীয় শ্রেনীর অবস্থা আরো কাহিল করে রাস্তায় বিলানো মঘা-ইউনানীর লিফলেটগুলো।এটা একটা ইন্ট্রো। বিস্তারিত পরের পর্ব গুলোতে আসবে। বিষয় গুলো আসবে বিয়ে ঠিক হবার পর কি কি করনীয় তার ভিত্তিতে।আবিয়াইত্যাদের জন্য বিবাহিত ভাইদের একটা উপহার সরুপ। তাই বিবাহিত ভাইদের মন খুলে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শমুলক কমেন্টের আহবান জানানো হচ্ছে। এদের ভয় না দেখিয়ে কিভাবে বিয়ের জন্য ভালোভাবে তৈরি করে দেয়া যায় সেই প্রচেষ্টা থাকা উচিত
বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আংটি পড়ানো শেষ। এবার বিয়ের তোরজোর চলছে। গায়ে হলুদ-বিয়ে আর বৌভাতের ডেট ঠিক করা হবে, এরপর মোহরানা, কমিন্যুটি সেন্টার, ক’জন অতিথী, গেটে কত দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ওসব মুলতঃ অভিভাবকরাই করবেন। পাত্র হিসেবে আপনার কাজ কি?
করনীয় ১:
মোবাইল নম্বর এতদিনে অবশ্যই আদান-প্রদান হয়েছে! এটা খুবই জরুরী। বিয়ের আগে অনেক কিছুই ফিক্স করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। মানসিক-শারীরিক অনেক বিষয় আলোচনায় আসবে যা বিয়ে পরবর্তী জীবনের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।অপশনালঃ বিয়ের ডেট ঠিক করা নিয়ে একটু বলি। অনেকেই বিয়ের রাতে আবিস্কার করে যে তার নববধুর পিরিয়ড চলছে। সো এতদিনের “প্রথম রাইতে বিলাই মারা”র প্ল্যান কুপোকাত। এটা যদিও খুব জরুরি কোন বিষয় না, পিরিয়ড শেষ হয়ে যাবে সর্বোচ্চ ৩-৪ দিনের মধ্যে। তারপর প্ল্যানমাফিক…তবে মেয়ে বা আত্মীয়াদের মধ্যে কারও সাথে যদি ফ্রি থাকেন তবে একটা ট্রাই করা যেতে পারে। যেমনঃ আপনার ভাবী আছে, তাকে বলুন যেনো বিয়ের সময় মেয়ের কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে। ভাবীরা এই লাইনে “আকেলমন্দ”, তাই ইশারা বুঝে ঠিকই হবুবধুকে পরবর্তি পিরিয়ডের ডেট জিজ্ঞেস করে সেভাবে বিয়ের ডেট ফিক্সে ভুমিকা রাখতে পারেন। তারপরেও অনেক সময় বিয়ের টেনশনে অনেক সময় মেয়েদের অসময়ে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। তাই আবারও বলছি এটা বড় কোন ইস্যু না।
করনীয় ২
হবু বধুর সাথে ফ্রী হয়ে নিন। টেলিফোনে আলাপ যেহেতু শুরু হয়ে গেছে। এইবার তার সাথে শারীরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করুন। তবে রয়ে-সয়ে। সরাসরি প্রথম ১/২ দিনেই শুরু করলে কিন্তু বিপদ। কিভাবে শুরু করবেন নিজেই চিন্তা করুন। মনে রাখবেন এই আধুনিক যুগে মেয়েরা কিন্তু সবই জানে। জানার সোর্স আপনার মতই। এটাকে নেগেটিভলি দেখার কিছু নাই। বরং পজেটিভলি দেখুন, ভাবুন তার এই জানা আপনার কাজকে সহজ করে দেবে। তবে মেয়েরা জানলেও প্রকাশ করবে না, কারন তার মনে ভয় কাজ করবে যে আপনি তাকে ভুল বুঝতে পারেন। তাই প্রথম স্টেপ আপনি নিন। জানা বিষয় আলাপ শুরু করুন, তবে তত্ত্বীয় বিষয় গুলো।
করনীয় ৩
শারিরীক ভাবে সুস্থ থাকুন ও শক্তিশালী হোন। না, কোন বটিকা বা সালসা খাওয়ার কথা বলবো না। স্রেফ মধু খান ডেইলি এক চামচ করে। দুধে মিশিয়ে খেলে আরো ভালো। আর স্বাভাবিক খাবারতো খাবেনই। ভুড়িটাকে বেশি বাড়তে দিয়েন না। বাসর রাতে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটা খারাপ হয়ে যাবে তাইলে। আর প্রচুর পানি খান। চেহারা ফ্রেশ থাকবে। পরর্বতী পর্বে আলাপ হবে সরাসরি বাসর রাতের প্রস্তুতি নিয়ে। কি কি কিনতে হবে আর সাথে রাখতে হবে।এই পোষ্টের বিষয়ে কারও কোন প্রশ্ন থাকলে করার আহবান জানাচ্ছি। এবং এই লাইনের গাযীদের মতামত আশা করছি।
করনীয় ৪
লুব্রিকেন্ট বা জেল কিনে রাখুন। ভালো কোন ফার্মেসী থেকে লুব্রিকেন্ট কিনে রাখুন। বন্ধুরাও অনেক সময় গিফট দেয়, কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে বিপদ। এই লুব্রিকেন্ট বলতে গাড়ীর লুব্রিকেন্ট বুঝানো হয় নি। এটা সার্জিক্যাল জেল। ভালো মানের একটা লুব্রিকেন্টের নাম বলি। জনসন এন্ড জনসনের “KY Gelly”। বড় ফার্মসীগুলোতে পাবেন, KY Gelly বল্লেই দিবে। আর এক টিউব দিয়ে দশ-বারোজন বন্ধুর সংসার শুরু হয়ে যাবে। কারন একজনের বেশি লাগে না। এই সার্জিকেল জেল না পেয়ে অনেকে নারিকেল তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করে। এদুটোই কিন্তু রাফ, ইভেন কনডম ফেটে যেতে পারে। গ্লিসারিন কখনও র’ অবস্থায় ইউজ করবেন না। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে গ্লিসারিনের ব্যবহার সাধারনত নিরুৎসাহিত করা হয়।কেন ও কি ভাবে ব্যবহার করবেন:আমরা সবাই কম বেশি জানি যে অনাঘ্রাতা মেয়েদের যৌনাংগের প্রবেশপথটা খুব সরু থাকে। অর্থ্যাৎ চাইলেই সহজে সেখানে আপনার অংগ প্রবেশ করবে না। এর সাথে আছে হাইমেন বা বা সতিচ্ছেদ বা পর্দার প্রতিরোধ। তাই প্রথমদিকে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে অনেক হতাশ হয়ে পড়ে। এটা নিয়ে টেনশন না করে আপনি প্রথমে আপনার এসাইনমেন্ট ঠিক করুন “প্রবেশ করাতে হবে”।এই সরু পথে জোর করেই প্রবেশ করতে হবে, জোর করা মানেই শক্তি প্রয়োগ, এবং স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার সংগীনি ব্যাথা পাবে। তাই শক্তি প্রয়োগটা গোয়াড়ের মত না করে ভালোবাসার সাথে করুন। দুইস্থানেই জেল লাগিয়ে এবার চেষ্টা করুন, একদিনে না হলে দুইদিনে হবে। আরো এক/দুইদিন বেশি লাগলেও পরিশ্রম কমবে, দুঃশ্চিন্তা কমবে, ব্যাথা কম পাবে, শুরু করা যাবে তাড়াতাড়ি।কিছু ভুল ধারনাঃপ্রথমতঃ অনেকে প্রথম প্রবেশের সময় নববধুর কুমারিত্বের পরীক্ষা নেয়ার ইচ্ছাও মনে মনে পোষন করে। ভুলেও একাজ করবেন না। একটা প্রচলিত ধারনা আছে কুমারী বা অনাঘ্রাতা মেয়ে মানেই সতিচ্ছেদ বা হাইমেন থাকবে, তাই স্বামীই সেটা বিদীর্ন করে বউনি করবে। এটা এই যুগে হাস্যকর। সাইকেল চড়লে-দৌড়াদৌড়ি-খেলাধুলা করলে হাইমেন ফেটে যাবেই, তাই সেটা ন্যাচারাল, স্বামীকে দায়িত্ব নিতে হবে না। কেউ হাইমেনের উপস্থিতি না পেলে আবার নববধু সম্বন্ধে খারাপ ধারনা করে বসে থাকবেন না।দ্বিতীয়তঃ আর একটা ভুল ধারনা হলো রক্তপাত না হলে মেয়ে কুমারী না। এটা বিশ্বাস করা মুর্খতার সামিল। যদি হাইমেন ফেটে গিয়ে থাকে আগেই, বা আপনি যদি লুব্রিকেন্ট ইউজ করেন তবে অনেক সময়ই রক্তপাত নাও হতে পারে। তাই এসব কোন মানদন্ড না।তৃতীয়তঃ বিভিন্ন পর্নো কাহিনী পড়ে অনেকের ধারনা হয় যে সেক্স করার সময় যোনীপথ পিচ্ছিল কামরসে ভেজা থাকবে, তাই উঠো..যাতো, আলাদা লুব্রিকেন্ট ইউজের প্রয়োজন নেই। আসলে ব্যাপারটা তা না। এই ফ্লুইডটা বের হবে উত্তেজিত হলেই। আর নতুন নতুন বাবা-মাকে ছেড়ে আসা ভয়-শংকা-লজ্জায় থাকা একটা মেয়ের পক্ষে উত্তেজিত হওয়া এত সহজ না। ইভেন অনেকে তো প্রথম প্রথম কোন অনুভুতিই পায় না। তাই ফ্লুইড না বের হলে ভয়ের কিছু নেই, সময় নিন কয়েকদিন, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।চতুর্থতঃ স্তনের স্থিতিস্থাপকতা ও কোমলতা দেখেও অনেকে টাচড-আনটাচড কন্ডিশন বের করতে চান। শক্ত-টানটান হলে নাকি আনটাচড। এটা সবচে বড় বোকামী। আমাদের মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে নরম প্রকৃতির। তাই স্তনও নরম হতে পারে। মুভির নায়িকার টান-টান বুক বউয়ের কাছে আশা করবেন না, কারন বুক টানটান রাখতে শোবিজের লোকেরা অনেক টাকা খরচ করে, কসরত করেপঞ্চমতঃ টিনএজ থেকেই হস্ত-মৈথুনে অভ্যস্ত ছেলেরা অনেক সময় বিয়ের করতে ভয় পায়। মঘা-ইউনানীর লিফলেট পড়ে আবিস্কার করে তার “আগা মোটা গোড়া চিকন”,তাই তাকে দিয়ে স্ত্রীকে সুখ দেয়া সম্ভব হবে না। এটা নির্মম রসিকতা। এসব নিয়ে টেনশন না করে লাফ দিয়ে নেমে যান বিয়ে করতে। এত মানুষ দেখেন আশে পাশে সবাই কি ধোয়া-তুলসি পাতা? সবাই অনাঘ্রাতা বউই চাই আমরা। আর নিজে যদি অভিজ্ঞতাহীন হই, তবে একই আশা করবো নববধুর কাছ থেকে। সর্বোপরি কারও যদি সন্দেহপ্রবন মন থাকে, তবে সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে নেয়া উচিত আগেই। এনগেজমেন্ট বা বিয়ের আগেই মেয়ে সম্বন্ধে সব খোজ-খবর নিয়ে নিন। বিয়ের পর আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। মনে রাখবেন, সন্দেহের পোকা একবার মনে ঢুকলে সেখানেই বাসা বেধে বসে যাবে। তাই আগে থেকেই সব ক্লিয়ার হোন। বিয়ের পর নো টেনশন আগের ব্যাপার নিয়ে। ভালবাসতে শুরু করুন যেভাবে পেয়েছেন সে অবস্থা থেকেই।
করনীয় ৫
আত্মবিশ্বাসী হোন, অযথা ডাক্তারের কাছে দৌড়াবেন না। টিন-এজে স্বমেহনের কারনে অনেকেই অপরাধবোধে ভোগে, মনে শংকা তৈরি হয় শারীরিক ভালোবাসায় পারংগমতা দেখাতে পারবে কিনা। অনেকে দৌড়ায় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না তা নয়। তবে যদি নিজের দৈহিক সুস্থতা থাকে আর পুরুষাংগের প্রাত্যহিক উত্থান (সকালে, যাকে “মর্নিং গ্লোরী” বলা হয়।) হয় তবে ভয়ের কিছু নেই। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার রিস্ক হচ্ছে অনেকে এই সুযোগে টু-পাইস কামানোর ধান্ধায় আপনার উল্টো ক্ষতি করে দিতে পারে। অনেকে আবার মঘা-ইউনানীর মত ফ্রডের কাছে যান, ওখানে গেলে নাকি লাইফ হেল করে দেয়।তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় আমলে আনা হয় না, সেটা হলো ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউরিন ইনফেকশন। ইউরিন ইনফেকশন হয় কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারনে, এবং পুরুষরা এটাতে আক্রান্ত হয় টয়লেট ব্যবহারের মাধ্যমে। পুরুষদের সবাইকে কম-বেশি পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। ইউনি’র হল-অফিসের টয়লেটকেও পাবলিক টয়লেট হিসেবে ট্রিট করুন এখানে। এসব টয়লেট নানা ধরনের মানুষ ব্যবহার করে। এবং অনেক টয়লেটেই পানির সুব্যবস্থা থাকে না। এদের মধ্যে কারও যদি ইনফেকশন থেকে থাকে তবে সে টয়লেট ব্যবহারের পর ভালো ভাবে পানি না দিয়ে গেলে, বা নতুন ব্যবহারকারী পানি দিয়ে ফ্লাশ না করে ব্যবহার করলে প্যানে থাকা ব্যাক্টেরিয়া আক্রমন করে। এভবেই পানি ইউজ না করলে ইনফেকশন হয়। এটা একটা “যৌনবাহিত রোড (STD)”, এবং স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীরা এটা পেয়ে থাকে। তাই যদি আপনি প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা পেইন অনুভব করেন তবে বিয়ের আগেই একবার টেষ্ট করুন, থাকলে ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন আপনার স্ত্রী আক্রান্ত হলে প্রেগন্যান্সির সময় এটা এক্সট্রা টেনশন এড করবে। হাই এন্টিবায়োটিক খেতে হবে তখন।
করনীয় ৬
যৌনমিলনের সেফ পিরিয়ডঃ নিজে জানুন, হবু বধুকে জানান। সেফ পিরিয়ড মানে যে সময় কোন প্রতিরোধক (কনডম বা এ জাতীয়) ছাড়াই দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন, এক্সিডেন্টালী প্রেগন্যান্ট হওয়ার ভয় থাকবে না। এটা অনেকেই জানেন, আবার একটু রিভাইস করে নেই।মেয়েদের মেন্স বা পিরিয়ডের সাথে সেফ পিরিয়ডের সম্পর্ক। ধরলাম কোন মেয়ের পিরিয়ড হয় ৩০ দিন পর পর (কম বেশিও হতে পারে) এবং এই মাসে তার পিরিয়ড শুরু হয়েছিলো ১ তারিখে। তার আগের মাসেও ১ তারিখে। এটাকে এক সাইকেল বলা হয়। নরম্যালি ওভুলেশন হয় সাইকেলের মাঝামাঝি সময়ে, ধরলাম ১৪ দিনে। তাহলে ১৪ তারিখে ওভুলেশন হচ্চে। এই ওভুলেশনের হওয়ার আগের এক সপ্তাহ ও পরের এক সপ্তাহ ফার্টাইল বা উর্বর সময়। এসময়ে প্রোটেকশন না নিলে প্রেগন্যান্ট হবেই। তাহলে মাসের ৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখ প্রটেকশন ছাড়া এগোনো যাবে না। বাকী সময় সেফ, থিওরিটিক্যালী কোন প্রটেকশনের দরকার নেই।এটা ন্যাচারাল পদ্ধতি, তবে সমস্যা হলো পিরিয়ড এর ডেট বিয়ের পর বদল হতে দেখা যায়। এবং অনেকের ক্ষেত্রে সাইকেলটাও স্ট্যাবল থাকে না। তাই সাইকেল স্ট্যাবল না হওয়া পর্যন্ত প্রটেকশন নেয়াই উচিত। যদি দ্রুত বাচ্চা নেয়ার প্ল্যান না থাকে তাহলে প্রটেকশন নিয়েই শুরু করতে হবে। নো হান্কি পান্কি। তবে কখনই প্রথম বাচ্চা হবার আগে আপনার স্ত্রীকে বার্থকন্ট্রোল পিল খাওয়াবেননা। এটা স্বাভাবিক ডেলিভারিতে সমস্যা তৈরি করে থাকে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
করনীয় ৭:
জানুন প্রি-ম্যাচ্যর ইজাকুলেশন কি? প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন মানে খুব দ্রুত বা সময়ের আগেই বীর্যপাত। সময়ের আগে মানে পার্টনারের অর্গাজমের আগেই আর দ্রুত সময় মানে ১.৫ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। অধিকাংশ পুরুষই (৯০-৯৫%) জীবনের প্রথম যৌনাভিজ্ঞতায় প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনের সম্মুখীন হয়। প্রথম দিকে এটা নরমাল, এবং সময়ের সাথে সাথে এটা ঠিক হয়ে যায়। কেন হয়?প্রথমেই দুটো কারন আসবে, অনভিজ্ঞতা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। অনভিজ্ঞ একজন পুরুষ তার প্রথম সেক্সের সময় প্রচন্ড উত্তেজিত থাকে। উত্তেজিত অবস্থায় নারী সংগীর সাথে শারীরিক খেলায় মেতে উঠার সময় থাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে, অল্প সময়ে বেশি পথ বিচরনের চেষ্টায় নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। পাশাপাশি প্রবেশ করানোর পর যোনীর ভেতরের উচ্চ উষ্ণতায় দিশেহারা হয়ে যায় অনেক সময়ই। ফলাফল খুব অল্প সময়েই নারী সংগীর অরগাজম হবার আগেই বীর্যপাত।দ্বিতীয় কারন হিসেবে আসবে “টেনশন”। নতুন বিয়ে বা সম্পর্কে নিজেকে শারীরিক ভাবে সামর্থবান হিসেবে তুলে ধরতে চাওয়ার মানসিক চাপ থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন, ফলে নিজের উপর কন্ট্রল থাকে না। তৃতীয় কারন হলো “সংগীনির তৈরি না হওয়া”। প্রথম দিকে শান্ত ও ধীর-স্থির ভাবে সংগীনিকে উত্তেজিত করার কাজটা অধিকাংশ পুরুষই করে না। ধরে নেয় তার নিজের মতই তার সংগীনিও উত্তেজিত হবে। ঘটনা উল্টা। মেয়েদের উত্তেজিত হতে পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই সে তৈরি হবার আগেই পুরুষ সংগী উত্তেজনার চরমে পৌছে যায়। ফলাফল অকাল বীর্যপাত।সমাধানঃঅনভিজ্ঞতার সমস্যা সমাধানের দরকার নেই, এই খেলায় অভিজ্ঞতা কাম্য নয়। বাকি থাকলো অধিক উত্তেজনা ও টেনশন। নতুন বিয়ে, প্রথমবার কাছে পাওয়া, উত্তেজনা তো থাকবেই। এটা আপনার উপর এখন,অধিকাংশ পুরুষই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, যদি আপনি পারেন তাহলে “স্যালুট”। না পারলে কোন সমস্যা নেই। আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছেন এটা পেপারে বা টিভিতেও আসবে না। তাই যা স্বাভাবিক তাই হোক।টেনশন কিভাবে দুর করবেন? প্রথমে ভাবুন আপনাকে কি আপনার সংগীনির সামনে নিজেকে বিশাল কিছু-প্রচন্ড সামর্থবান প্রমান করতে হবেই? নাকি স্বাভাবিক একজন মানুষ হিসেবে? যাই করুন না কেন আপনার স্ত্রী আপনারই থাকবে। সুপারম্যানের প্রতি মুগ্ধতা থাকে, ভালোবাসা থাকেনা, আপনি সুপারম্যান হতে চাচ্ছেন কিনা নিজেই ভাবুন।আর “সংগীনির তৈরি না হওয়ার” দোষটা পুরোপুরি পুরুষের উপর বর্তায় না। পুরুষকে ধৈর্য্য ধরে স্ত্রীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে হবে, শরীরের স্পর্শকাতর অংশগুলোতে কোমল ভাবে স্পর্শ করে বা ঘষে, কিস করে। ব্যাকনেক, কানের আশে-পাশে, ঠোট-জিহবা, স্তন-নিপল, তলপেট-নাভী, যৌনাংগ-উরু, হাত-পায়ের আংগুল ইত্যাদি স্পর্শকাতর স্থান বলে পরিচিত। স্ত্রীর নিজেরও দায়িত্ব থাকে এ চেষ্টায় সাড়া দেয়ার। এক হাতে তালি বাজে না।
দীর্ঘায়িত করতে চাইলে সমাধানঃ

১। এর কোন স্বীকৃত ঔষধ নেই। তাই বাজারে প্রচলিত ঔষধ না খাওয়াই ভালো।
২। একটা কার্যকর এক্সারসাইজ আছে। এখন থেকেই নিজের বীর্যপাত ঠেকিয়ে রাখার প্র্যাক্টিস করতে পারেন। আমরা যে ভাবে প্রস্রাব আটকাই, সেভাবে ডেইলি বিভিন্ন সময় একলাগা ১০ বার প্রস্রাব আটকানোর কসরত করুন। যখন সময় পাবেন। প্রস্রাব না ধরলেও করুন।
৩। যখনই চরম মুহুর্ত আসবে মনে হয়, তার আগেই থেমে গিয়ে পুরুষাংগ বের করে নিন, প্রস্রাব আটকানোর মত করে বীর্যপাত আটকান।
৪। বীর্যপাত আটকানোর সাথে সাথে দীর্ঘায়িত করার জন্য অন্য কিছু চিন্তা করতে পারেন, এতে উত্তেজনা ডাইভার্ট হবে কিছুক্ষনের জন্য।
৫। আর একটা পদ্ধতি হলো আগেই একবার বীর্যপাত ঘটানো। এটা নিজে করে নিতে পারেন, অথবা সংগীনি যদি হেল্পফুল হয় তবে সেই হাত দিয়ে সাহায্য করবে। তবে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় না। অনেকেই আগাম দুর্বল হতে চায় না।
৬। কনডমের ব্যবহার কিছুটা হেল্প করে সংবেদনশীলতা কমাতে, তাই উত্তেজনাও কিছুটা কমানো যায়।আর কোনো পদ্ধতি জানা থাকলে বলতে পারেন।
করনীয় ৭:
কনডম সম্বন্ধে জানুন। বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের কনডম প্রচলিত আছে। সম্ভবত দেশে সবচে বেশি চলে সেনসেশন। এছাড়াও ইউ&মি, প্যান্থার, ল্যাটেক্স, টাইটানিক, ডুরেক্স, রাজাও ব্যবহৃত হয়। সেনসেশন সহ সব ব্র্যান্ডেরই কম বেশি নানা টাইপ/ফিচারড কনডম বাজারে পাওয়া যায়। যেমনঃ ডটেড, এক্সট্রা রিবড, সেন্টেড, প্লেইন, থিন, এক্সট্রা থিন, কন্ট্যুরড, লংলাস্টিং, ডটেড প্লাস রিবড, এক্সট্রা লং ইত্যাদি। এগুলো একেকটা একেক সময়ে/পর্যায়ে কার্যকর। সব সবার জন্য না, সব সময়ের জন্যও না।এক নতুন ব্যবহকারীর ক্ষেত্রে প্লেন অথবা ডটেড কনডম শুরু করার জন্য আদর্শ। অর্থ্যাৎ জাস্ট প্রটেকশনের জন্য। এক্সট্রা ফিচারড কনডম গুলো শুরুতে ব্যবহার না করাই ভালো, এতে প্রথমেই এক্সট্রা ফিচারডে অভ্যাস হয়ে গেলে কনডম ছাড়া বা নরমালী এত ভালো লাগবে না। এই কনডম গুলো সময়ের সাথে সাথে যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।কিভাবে কনডম ব্যবহার করবেনঃএটা খুব কঠিন কিছু না। কনডমের প্যাকেটে লেখা থাকে ইন্সট্রাকশন। ফলো করলেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ভেতরে কোন বাতাস না থাকে, তাই কনডমের টিপটা চেপে ধরে কনডম পড়তে হয়। বাতাস থাকলে সেক্সের সময় কনডম ফেটে যেতে পারে, তাতে প্রটেকশনের কাজ আর হলো না।এখানে পাবেন কিভাবে কনডম পড়তে হবে।
করনীয় ৮:
রোমান্টিক হউন, চিন্তা-চেতনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। বিয়েটা শুধু সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে শারীরিক মিলনের অনুমোদন না, মনের মিলনের অনুমোদনও। ভালোবাসার এমন সহজ সুযোগ আর কোন সিস্টেমে নেই। তাই ভালোবাসুন, সুযোগটা কাজে লাগান। শরীরকে শুধু প্রাধান্য না দিয়ে মনের কথাও ভাবুন। একটা মানুষ সব ছেড়ে আপনার কাছে আসছে, এটা অনুভব করার চেষ্টা করুন, দেখবেন মনটা তার জন্য এমনিতেও নরম হয়ে আসছে। রোমান্টিক হোন, কবিতা পড়ুন, দু’একটা তার সামনে কোট করুন, রোমান্টিক গান শুনুন। গুনগুন করে গাইতে চেষ্টা করুন। বিয়ের পরে বাসর ঘরে প্রবেশের সময় যেনো সানাই বাজে সেই ব্যবস্থা করুন। রুমে ফুল রাখুন, হালকা সুগন্ধী ব্যবহার করুন, ডিমলাইট ব্যবহার করুন রাতে। কেয়ার করুন প্রথম দিন থেকেই, তাই বলে দৃষ্টিকটু ভাবে পিছু পিছু ঘুরে বেড়িয়ে তাকে সবার সামনে অস্বস্তিতে ফেলবেন না। ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করুন। একলা থাকার অনুভুতিটা প্রথম কয়েকদিন যেনো না পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বাইরে যাচ্ছেন, সে তৈরি হলো, বলে দিন “খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে”। ন্যাকামি না করেই বলে দিন তার সৌন্দর্যে আপনার মুগ্ধতার কথা, প্রকাশ করুন ভালোবাসার কথা, তবে লাউড স্পিকারে না, একান্ত ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে। আর বাইরে যাওয়ার ৩-৫ ঘন্টা আগে জানিয়ে দিন কখন বেরোতে চান, নিজে তাড়া দিন যেনো তৈরি হয়। না হলে শাড়ি-গহনা চুজ করা-সাজগোজ করাতেই রাত হয়ে যাবে।শারীরিক মিলনের শুরুতেও ভালাবাসার প্রকাশ রাখুন, রোমান্টিকতা আগে, পড়ে পেরেক মারার কাজ।বাসর রাতে রোমান্টিক আলাপ দিয়েই শুরু করুন, এরপর ভবিষ্যত স্বপ্ন আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা, পারিবারিক বিভিন্ন রীতি-নীতির কথা স্বাভাবিক টোনে বলে যান। জোর করার কিছু নেই, শুধু জানিয়ে দিন এসব দরকারী ব্যাপার। মন ভালো হলে সংসারের খারাপ চাইবেনা সে।হানিমুনের জন্য এক্সট্রা কিছু টাকা আগেই আলাদা করে রাখুন। বিয়ের ডামাডোলে সব টাকাই খরচ হয়ে যায়, তাই সাবধান।খুনসুটি করুন, মজা করুন, নরমাল ও ১৮+ কৌতুক গুলো বলার জন্য একজন রেডিমেড শ্রোতা পেয়ে গেছেন, কাজে লাগান। তবে বোকার মত নিজে অতীতে কি করেছেন, আপনি কত বাহাদুর তা একের পর এক না বলে গিয়ে তাকেও বলতে দিন। তার মজার কথা গুলো, বাবা-মা-ভাই-বোন-বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে অভিজ্ঞতা গুলো বলার সুযোগ দিন। আপনি নিশ্চিত জেনে যাবেন তার পছন্দ-অপছন্দ-ভালো লাগা-দুর্বলতা। দুজন দুজনকে আবিস্কার করুন। জীবন আপনাদেরই, ভালোভাবে আপনাদেরই শুরু করতে হবে। তাকে বিশ্বাস করুন ১০০%। চিন্তা ভাবনায় বৈচিত্র্যতা আনুন। এটা আনন্দময় বিবাহিত জীবনের মুলমন্ত্র। বিবাহিত জীবনে অনেক সময়ই একঘেয়েমী চলে আসে। মন ও শরীর দুই ক্ষেত্রেই। বৈচিত্র্যতা আনুন দুই ক্ষেত্রেই। ঘুরতে যান, মুভি দেখুন। সেক্সের জন্য নানা রকম আসন ট্রাই করুন, নানা ধরনের কনডম ট্রাই করুন। অনেক সময় ভালো মানের পর্নো ছবিও যৌনজীবনে বৈচিত্র্যতা আনতে সাহায্য করে।
করনীয় ৯:
এন্টাসিড/ইমোটিল/ফ্ল্যাটামিল/ইনো সল্ট কিনে রাখুন। বিয়ে মানেই খাওয়া দাওয়া, জোর করেই খাওয়াবে। তেল-মসলার রকমারী। পেট কিন্তু বিদ্রোহ করে বসতে পারে। বদহজম কমন একটা ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে ইনো সল্ট বা ফ্ল্যাটামিল খুব কাজে দেয়। মনে রাখবেন, পেটে শান্তি না থাকলে সেক্স করতে ইচ্ছেও করবে না। এসিডিটির প্রব্লেম মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, ব্যবস্থা নিন।
করনীয় ১০:

মিষ্টি-ফল-দুধ-ডিম খান বেশি করে। সেক্সের পরেই মিষ্টি-মধু-দুধ-ডিম বা বিভিন্ন ধরনের ফল খান। প্রথম দিকে ক্লান্তিটা বেশি আসবে, তাই এসব শক্তিদায়ক খাবার সাথে রাখুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে এত কিছু লাগবে না। বিয়ের আগের কয়েকদিন অযথা রাত না জেগে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অন্তত দিনে ৬ ঘন্টা যেনো পুরন হয়। নতুন জীবন সুস্থ-সবল ভাবে শুরু করুন। আপনেগ কোন আইডিয়া থাকলে জানাবেন।

দ্রুত বীর্যপাত হওয়া বা প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন

দ্রুত বীর্যপাত হওয়া বা  প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাত হওয়া।
 

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। পরিসংখ্যানে ভিন্নতা রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। যদিও এটি একটি সাধারণ সমস্যা যার চিকিৎসা রয়েছে কিন্তু অনেক পুরুষ এ বিষয়ে তাদের চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে কিংবা চিকিৎসা নিতে সঙ্কোচ বোধ করেন।

এক সময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়গুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে।

আপনি আর দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে জীবন কাটাবেন না বর্তমানে অনেক চিকিৎসা বেরিয়েছে যেমন বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলিং এবং বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো আপনার বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে।

উপসর্গ
একজন পুরুষ বীর্যপাত করতে কতটা সময় নেবেন সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনো আদর্শ মাপ নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা হয়ঃ

এক. প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এটা হলো আপনি যৌন সক্রিয় হওয়া মাত্রই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া।

দুই. সেকেন্ডারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনঃ এ ক্ষেত্রে আগে আপনার যৌনজীবন তৃপ্তিদায়ক ছিল, কিন্তু বর্তমানে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে।

কারণ
কী কারণে বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় ধারণা করা হতো যে এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে আমরা জানি, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল ব্যাপার এবং এর সাথে মানসিক ও জৈবিক দু’টিরই সম্পর্ক রয়েছে।

মানসিক কারণ
কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রাথমিক বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি ধরনে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, পরবর্তী জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন
লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়।
অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

এর মধ্যে রয়েছে

পুরুষত্বহীনতা
যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন সেসব পুরুষের দ্রুত বীর্যস্থলন ঘটে।

দুশ্চিন্তা
দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে।

দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

জৈবিক কারণ
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে

হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
বীর্যস্খলন ব্যবস্থার অস্বাভাবিক ক্রিয়া
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ এবং সংক্রমণ
বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
খুব কম ক্ষেত্রে নিচের কারণগুলোর জন্য দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে
সার্জারি কিংবা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হওয়া।

নারকোটিকস বা মাদক কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।

যদিও অধিকাংশ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক দু’টি বিষয়ই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে দায়ী হলো শারীরিক কারণ যদি সেটা জীবনভর সমস্যা হয়ে থাকে (প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন)।

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ঃ 
বিভিন্ন বিষয়ে আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন
পুরুষত্বহীনতাঃ যদি আপনার লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হয়, কিংবা মাঝে মাঝে উত্থিত হয় কিংবা উত্থিত হলেও বেশিক্ষণ উত্থিত অবস্থায় না থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যৌন সঙ্গমের সময় আপনার লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না এমন ভয় আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনের এ ধরনের লিঙ্গোত্থান সম্পর্কিত দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থাকে।

স্বাস্থ্য সমস্যাঃ যদি আপনার এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে আপনি যৌন মিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করেন, উদাহরণ স্বরূপ যদি আপনার হৃদরোগ থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানসিক চাপঃ আপনার জীবনে আবেগজনিত কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

ওষুধঃ
 কিছু ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটাতে পারে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেনঃ বেশির ভাগ যৌনমিলনের সময় যদি আপনি আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর আকাঙ্ক্ষার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। আপনার যৌন জীবন মধুর করার জন্য আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ঃ 
চিকিৎসক আপনার বিস্তারিত যৌন ইতিহাস জেনে, তার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত বীর্যপাত রোগ নির্ণয় করেন। চিকিৎসক আপনাকে অনেক একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং আপনার সঙ্গিনীকেও উপস্থিত থাকতে বলতে পারেন। যদিও সেক্স সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলতে আপনাদের দু’জনেরই অস্বস্তিবোধ হতে পারে। তবুও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আপনার চিকিৎসক আপনার সমস্যার কারণ নিরূপণ করতে সাহায্য করবেন এবং সবচেয়ে ভালো চিকিৎসাটা দিতে পারবেন।

আপনার চিকিৎসক আপনার স্বাস্থ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তিনি আপনার সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন।

আপনার চিকিৎসক আপনার কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেনঃ

কত দ্রুত আপনার বীর্যপাত ঘটে?

একজন বিশেষ সঙ্গিনীর বেলায় কি আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়?

আপনি যতবার যৌনমিলন করেন, ততবারই আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে?

আপনি কতবার যৌনমিলন করেন?

দ্রুত বীর্যপাত আপনার যৌন আনন্দ লাভে এবং আপনার সার্বিক জীবনে কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলে?

আপনার লিঙ্গ উত্থান হতে কি দীর্ঘ সময় উত্থান অবস্থায় থাকতে কি সর্বদা সমস্যা হয়?
আপনি এ সমস্যার জন্য কী কী ওষুধ গ্রহণ করেন?

আপনার দ্রুত বীর্যপাতের কারণ উদঘাটন করতে আপনার কিছু মানসিক বিষয়ও জানা প্রয়োজন। আপনার চিকিৎসক আপনার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেনঃ

আপনার ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষা

আপনার প্রাথমিক যৌন অভিজ্ঞতা

আপনার অতীত ও বর্তমানের যৌন সম্পর্ক

আপনার বর্তমান সম্পর্কের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ

যদি আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে থাকে এবং আপনার লিঙ্গোত্থানে সমস্যা হয় তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনার পুরুষ হরমোনের মাত্রা (টেসটোসটেরন) দেখার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্ষা করতে দিতে পারেন।

জটিলতাঃ
 যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিন্তু এটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন

সম্পর্কে টানাপড়েনঃ দ্রুত বীর্যপাতের সবচেয়ে সাধারণ জটিলতা হলো যৌন সঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি। যদি দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনার সঙ্গিনীর সাথে মনোমালিন্য চলে, আপনি দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আপনার চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে দ্বৈত থেরাপিও থাকবে। 

বন্ধ্যত্ব সমস্যাঃ দ্রুত বীর্যপাত মাঝে মাঝে আপনার বন্ধ্যত্ব ঘটাতে পারে।

যেসব দম্পতি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন সেটা অসম্ভব হতে পারে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর দু’জনেরই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।



Wednesday, March 28, 2012

পুরুষের যৌনতা নিয়ে কিছু কথাঃ অবশ্য পাঠ্য

যৌনতার নানা সমস্যা থাকলেও সেক্স থেরাপিস্টার ইদানীং নতুন এক সমস্যার ব্যাপকতা দেখতে পাচ্ছেন। এটি হলো যৌনতার ইচ্ছার অভাব এবং পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যা। এই ধরনের সমস্যা যেমন যৌন ক্ষুধার অভাব এবং যৌনকর্মের অনীহার বিষয় নিয়ে তারা বর্তমানে বেশ চিন্তিত। নতুন নতুন রোগীদের কেসহিস্ট্রিগুলো প্রায় একই ধরনের হচ্ছে। অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষেরা নিজেদের এই সমস্যা মেটানোর বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছেন নিজেরাই। পরবর্তীতে তারা যৌনসুখ এবং সুখী যৌন জীবন উপভোগ করছে। তবে এই হার খুবই নগণ্য। ধারণা করা হচ্ছে অনুভূতির ব্যাপারে পুরুষেরা খুবই সন্তুষ্ট না হলেও যৌনমিলনে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।
ইচ্ছা সংক্রান্ত সমস্যা-
দুই ধরনের ইচ্ছা এবং সমস্যা আলোচনায় আসে যেমন-
১. ব্যক্তিগত যৌনতার ক্ষেত্রে। যেমন কোনো পুরুষের একা একা যৌনতার ব্যাপারে অনীহা থাকতে পারে। সেই ক্ষেত্রে এটি হলো ব্যক্তিগত যৌনতার ইচ্ছার অভাব।
২. দম্পতিদের ক্ষেত্রে। দম্পতিদের যে কোনো একজনের বিশেষ করে পুরুষের যৌন ইচ্ছার অভাব। যার ফলে যৌনমিলন সšত্তষ্টজনক হয় না।

উত্থানের ইচ্ছা-
উত্থান সংক্রান্ত ইচ্ছা এবং সমস্যার ব্যাপারে পাশ্চাত্যে নানা গভেষণা চলছে। চারটি মূল কনসেপ্ট এই ব্যাপারে সাহায্য করে যে, সমস্যাটা মূলত কোন পর্যায়ের। অনেক সময় মানসিক আবেগ, ভয়-ভীতির জন্য উত্থান দৃঢ় হয় না। অনেক সময় আবার এও দেখা যায় যে, অতি সুন্দরী রমণী দেখেও মৈথুন ইচ্ছা জাগ্রত হয় পরবর্তীতে আবার উত্থান স্তিমিত হতে পারে। অনেকের আবার যৌন ইচ্ছা খুব বেশি তীব্র থাকে না। এটা জন্ম থেকেই হতে পারে। অনেকে শৈশবকালীন সময়ে যৌন যে কোনো ভীতির জন্য পরবর্তী জীবনে অভ্যস্ত হতে পারে না। নারীদের ক্ষেত্রে উত্থান সমস্যা নেই। তবে সমস্যাটা হলো নারীর ভেতরে কোনো উত্তেজনা থাকে না তারা একেবারেই যৌন ইচ্ছা অনুভব করে না। আবার মাসিক চলাকালীন সময়ে নারীর কোনো কোনো সময় তীব্র যৌন ইচ্ছা জাগে পরবর্তীতে আবার তা ঝিমিয়ে পড়ে। তবে পুরুষ এবং নারী উভয়েই বয়সের সাথে সাথে যৌনতার ব্যাপারে ন্যুব্জ হতে থাকে। এটা শারীরিক বা মানসিক কারণে হতে পারে। আবার মনোদৈহিক উভয় কারণেই হতে পারে। পাশ্চাত্যে এনিয়ে নতুন নতুন গবেষণা চলছে।
ইচ্ছা কেন-
মূলত খুবই মূল্যবান প্রশ্ন হলো ইচ্ছা কেন জাগবে। পুরুষের ক্ষেত্রে যৌন ইচ্ছা জাগবে নারীর সাথে মনের নানা সুখের কথা চিন্তা করে। কিন্তু এটা স্থিতিস্থাপক ব্যাপর নয়। পুরুষের এমনিতেও লিঙ্গ দৃঢ় হতে পারে। যেমন দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব জমে থাকলে কিংবা প্রাতঃকালীন সময়ে দেখা যায় যে লিঙ্গ শক্ত হয়ে আছে। এটা হলো পৌনপুনিকতা। পুরুষের ইচ্ছার সাথে এক্ষেত্রে পুরুষ সন্তুষ্ট হয় না, যার ফলে স্বমেহনের পথ বেছে নেয়। এতে করেও ইচ্ছার একটি বিষয় জড়িত থাকে। অনেক ক্ষেত্রে যৌনতার ইচ্ছার শেষ কথা যৌনমিলন থাকে না। অন্য কারণেও ইচ্ছা প্রকাশ পেতে পারে। পাশ্চাত্যের সেক্স থেরাপিস্টার মনে করেন, যৌনতা হলো মূলত ইচ্ছার ব্যাপার, তবে অনেক ক্ষেত্রেই মূলত ইচ্ছার উপরে নির্ভর করেই যৌনতা এগিয়ে চলে না।
নারী বা পুরুষের যৌনতার তীব্রতা তাদের ইচ্ছার ওপর প্রভাব ফেলে। ব্যাপার স্বাভাবিক। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইচ্ছা বেশি থাকলেও তীব্রতা ততোটা থাকে না যার ফলে য়ৌন সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।
সঙ্গিনীর মাধ্যমে লিঙ্গের উত্তেজনা-
আপনার সঙ্গিনী হাতে পিচ্ছিল পদার্থ নিয়ে আপনার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করবে। শরীরের অন্যান্য স্থানে মর্দন করা হলেও মূলত যৌনাঙ্গ হবে প্রধান টার্গেট। অনেক পুরুষ এইভাবে উত্তেজিত হতে পছন্দ করে। তারা নারীর একান্ত স্পর্শগুলো চায় তাদের যৌনাঙ্গে। মূলত চুমু কিংবা মুখের লেহন তাদেরকে অতিমাত্রায় উত্তেজিত করতে পারে। দেখুন এইভাবে যদি আপনার উত্তেজনা চূড়ান্ত না হয় তবে আপনার যৌন সমস্যা রয়েছে। মূলত সমস্যাটি যৌন অনুভূতি কেন্দ্রিক। চেষ্টা করুন কিংবা সঙ্গিনীর সাহায্য নিন। একবার অথবা বারবার। এভাবে করতে থাকলে যৌনতার ইচ্ছা বেড়ে যাবে। আপনি এভাবে যদি স্পর্শকাতরতা অনুভব করেন এবং অধিক মাত্রায় তা অনুভব করেন তবে বুঝতে হবে আপনার উত্তেজনা একেবারে ফুরিয়ে যায়নি। আপনি যৌন সক্ষম এবং এটি যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর একটি বিশেষ কৌশল।
যৌনাঙ্গ স্পর্শ ছাড়া শরীর স্পর্শ-
এটি ব্যাপক উত্তেজনা বাড়ানোর কৌশল । সঙ্গিনী তার শরীর দিয়ে, চুল দিয়ে,হাত দিয়ে, মুখ দিয়ে আপনার শরীর উত্তেজিত করে তুলবে। কিন্তু আপনার যৌনাঙ্গে স্পর্শ করবে না। এতে করে আপনার যৌন উত্তেজনা চূড়ান্ত হবার সম্ভাবনা আছে। আপনি যদি দেখেন আপনার সঙ্গিনীর এসব স্পর্শে আপনার লিঙ্গ একাই দৃঢ় এবং শক্ত হচ্ছে, তবে বুঝতে হবে আপনি যৌন সামর্থ্য হারাননি। বিষয়টি কিন্তু খুবই ইতিবাচক। এভাবে সঙ্গিনীর মাধ্যমে যৌন স্পর্শের দ্বারা যৌনানুভূতি তুমুল করে তুলতে চেষ্টা করুন।
উত্থানকে বাড়ানো কমানো-
এটি অন্য একটি কৌশল যা সঙ্গিনীর দ্বারা বা আপনি নিজের হাতেই করতে পারেন। শরীরকে সম্পূর্ণ উত্তেজিত করে আবার অনুত্তেজনা অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। এতে করে শরীরে উত্থান কমে যাবে। এরপর আবার শরীরকে উত্তেজিত করতে হবে। এটি স্বমেহনের মাধ্যমে বা সঙ্গিনীর স্পর্শের মাধ্যমে হতে পারে। যৌন অনুভূতি চূড়ান্ত হতে থাকলে আবার শরীরকে উত্তেজনাহীন করতে হবে। মনে হয় এটি সবচেয়ে স্মিক্স প্রক্রিয়া শরীরে যৌনতা বাড়ানোর কৌশল হিসেবে। অনেক ক্ষেত্রেই এটি খুব কষ্টকর হতে দেখা গেছে। আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে যৌনতা এক ধরনের খেলা এতে হারজিতের কিছু নেই। সুষ্ঠুভাবে অংশগ্রহণ করতে পারাই মূল বিষয়। চেষ্টা করুন এবং সফল হন। যৌনতার ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য এই কৌশলটি খুবই উপকারী।
আপনার লিঙ্গে উত্তেজনা কোথায়-
আপনাকে খুজে দেখতে হবে আপনার লিঙ্গে কোথায় উত্তেজনা লুকিয়ে আছে। অনেকে মনে করেন লিঙ্গের পুরোটাতেই উত্তেজনা থাকে। ব্যাপারটি কিন্তু পুরোপুরি সত্যি নয়। পরীক্ষা করে দেখুন, হাতে পিচ্ছিল পদার্থ নিয়ে লিঙ্গে ঘষতে থাকুন। লিঙ্গের কোনো এক অংশে তুমুল উত্তেজনা লুকিয়ে আছে। আপনি বুঝতে চেষ্টা করুন যৌনমিলনের সময় এই অংশটাতেই অধিক চাপ এবং স্পর্শ পাবার চেষ্টা করুন। এতে করে উত্তেজনা স্থায়ী হবে। এভাবে কৌশলটিকে রপ্ত করার চেষ্টা করুন।
লিঙ্গের মুখের লেহন-
অনেক দম্পতিই হয়তো এটি পছন্দ করেন না। বিশেষ করে নারীরা এটি অপছন্দ করেন বেশি। পুরুষ সঙ্গীর লিঙ্গ মুখে নিয়ে চুষে, চেটে দেয়া এবং আলতো কামড় দিতে থাকলে পুরুষের উত্তেজনা সীমাহীন পর্যায়ে পোঁছে যায়। অনেক দম্পতি অবশ্য একে অরুচিকর মনে করেন। আপনার সঙ্গিনী যদি এটি পছন্দনা করেন তবে জোরাজুরি করবার দরকার নেই। অনেক ক্ষেত্রেই তা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বুঝতে চেষ্টা করুন যে, যৌনমিলন হলো পারস্পারিক সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির বিষয়ে যেমন তার হাতের সাহায্য নিতে পারে।
যৌনিতে আস্তে আস্তে লিঙ্গ সঞ্চালন-
যৌনমিলনের সময় প্রথমেই লিঙ্গ যোনিতে ঢোকানো উচিত নয়। এতে করে পুরো তৃপ্তি অনেক সময়ই পাওয়া যায় না। অন্যান্য যৌনক্রীড়ার পরে চূড়ান্ত উত্তেজনার পূর্বে পর্যন্ত যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের প্রয়োজন নেই। নারীকে উত্তেজিত করে তুলুন এবং নিজে উত্তেজিত হোন। তারপর যোনিতে ধীরে ধীরে লিঙ্গ সঞ্চালন করুন। এর ফলে যৌনতৃপ্তি ঘনীভূত হবে বেশি। লক্ষ্য রাখবেন যৌনমিলনের কোন আসনে বা কোন পর্যায়ে আপনার স্খলন দ্রুত হয়। সেই আসন বা পর্যায়গুলো পরিত্যাগ করুন। এতে করে যৌনমিলন অধিক সুখকর হবে।
যৌনিতে লিঙ্গ সঞ্চালন-
দেখা যেতে পারে যোনির ভেতর আপনি কতক্ষণ অবস্থান করতে পারেন। প্রথমে আলতোভাবে আপনার লিঙ্গ তার যোনিতে স্থাপন করুন। চাপ দিন এবং ধীরে ধীরে সঞ্চালন শুরু করুন। খুব মৃদুভাবে লিঙ্গকে যাতায়াত করাতে থাকুন। এতে করে উত্তেজনার মাত্রাকে পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে। আস্তে আস্তে যাতায়াতের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন এবং দ্রুতলয়ে লিঙ্গ যাতায়াত করাতে থাকুন। আপনি আপনার স্ত্রীর যোনিতে যত বেশি সময় অবস্থান করতে পারবেন ততো আপনার যৌন ক্ষমতা বেশি তা প্রমাণ হবে। এই কৌশলে প্রথম প্রথম ব্যর্থ হলেও এটিকে রপ্ত করতে থাকুন। লিঙ্গ দৃঢ় করার পরে তার যোনিতে কিছু সময় রাখার পরে তা বের করে আনুন। নিস্তেজ হোন, আবার সক্রিয় হোন। এই ভাবে দীর্ঘক্ষণ যৌনমিলনের কৌশল আয়ত্ত করুন।
জোর ইচ্ছা-
পূর্বের আলোচনারই ধাপ এটি। যৌনতার ইচ্ছা হলো বিশেষ এক ধরনের শক্তি। ধারণা করা হয় ইচ্ছা ছাড়া যৌনতা সম্ভব নয়। যৌনমিলনের পূর্বে নানা রকম শারীরিক ক্রীড়া বা যৌনক্রীড়া পুরুষ এবং নারীকে অতি মাত্রায় উত্তেজিত করতে পারে। এগুলো হলো যৌনতা সহায়ক। আর যৌনতার সহায়ক হলো ইচ্ছা। এটি ছাড়া মূলত যৌনমিলন কখনোই সম্ভব হতে পারে না।
যৌনতার ইচ্ছা বা আগ্রহের বিষয়ে কিছু বাধা-
কিছু কিছু সমস্যা এবং বাধা যৌনতার ইচ্ছা বা আগ্রহের ব্যাপারে বিশাল কারন হয়ে দাঁড়ায়।
সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে যৌনতার অসামঞ্জস্যতা-
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যে কোনো একজন অন্যজনের ওপর যৌনতার ব্যাপারে সন্তুষ্ট। এর ফলে আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছা কমে যেতে পারে। আবার অনেক স্বামীর অভিযোগ এমন থাকে যে, তার স্ত্রী খুব একটা আবেদনময়ী নয়, যার ফলে তার যৌনমিলনের ইচ্ছা জাগে না। এরকম অভিযোগ অনেক স্ত্রীদের কাছ থেকেও শোনা যেতে পারে।
অসন্তোষমূলক যৌনতা-
সঙ্গিনী অধিকাংশ সময় মনে করে এবং কার্যত দেখতে পায় যে, তার সঙ্গী তার প্রতি অধিক মনোযোগী নয়। যা আদৌ তার পছন্দ নয়। এর ফলে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় যৌনমিলনের ক্ষেত্রে।
ওষুধ-
অনেক আছে যা গ্রহনের ফলে যৌনতার ইচ্ছা হ্রাস পায়। এ সম্বন্ধে সচেতন হওয়া উচিত।
শারীরিক সমস্যা-
শারীরিক নানা সমস্যার জন্যও যৌনতার ইচ্ছায় ভাটা পড়তে পারে। যেমন-অনেক ক্রমিক রোগ আছে যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকার ফলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ এবং ইন্দ্রয়গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রায় ক্ষেত্রেই যৌনমিলনের আকাক্সক্ষা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের প্রকোপ ইত্যাদি কারণে যৌন ইচ্ছা দূরীভূত হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে মাসটেকটোমি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা যৌনমিলনে অনাগ্রহী হয়।
ডিপ্রেশন-
পৃথিবীব্যাপী লক্ষ লক্ষ লোক এই সমস্যায় ভোগে এবং এর ফলে যৌনতার ইচ্ছা হারায় অনেকে। যদি কেউ ডিপ্রেশনের জন্য যৌনতার ইচ্ছা হারায় তবে সেক্স থেরাপির পরিবর্তে আগে ডিপ্রেশনের চিকিৎসা করা উচিত।
মনোদৈহিক চাপ-
অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মনোদৈহিক চাপের কারণে অনেকে যৌনতার ইচ্ছা হারায়। তারা কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারে না এমনকি যৌনতাতেও নয়।
অতিরিক্ত কাছাকাছি থাকার ভয়-
অনেক নারী এবং পুরুষ বেশি মাত্রায় কাছাকাছি চলে আসার পর দেখা যায় যে তারা যৌনমিলনে স্পৃহ হারায়। এই রকম ভীতির জন্য তারা যৌনমিলনে অপারগতা হয় । এটি এক ধরনের মানসিক রোগ। থেরাপি এবং যৌনতার কৌশল পরিবর্তনে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যৌন ভীতি-
অনেক নারী বা শিশু নানা রকম নির্যাতনের মুখোমুখি হবার পর যৌনতার ব্যাপারে ভীতি, ভয়ে ভুগতে থাকে। ফলে যৌনমিলনে তারা কখনোই সঠিকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এটিও এক ধরনের মানসিক সমস্যা। উঁচু মাত্রার থেরাপিতে এটি আরোগ্য হতে পারে

নারীদের প্রকারভেদ

নারীদের চেনা আসলেই কঠিন। তবে প্রকারভেদ করে ফেললে চিনে ফেলাটা মনে হয় একটু সোজা হয়ে যায়। দীর্ঘ এই জীবনে আশে পাশে তো কম রমণী দেখিনি,তাই তাদের দেখে যা শিখলাম তাই তুলে ধরার ক্ষুদ্র প্রয়াস এই পোস্ট।B-)

ঘরপ্রিয় নারী :
এই ধরনের নারীরা সাধারণত ঠাণ্ডা প্রকৃতির হয়। সাংসারিক কাজে আগ্রহ থাকে বেশি। বসে বসে টিভি সিরিয়াল দেখাই এদের বিনোদনের অন্যতম প্রধান উৎস। এরা অল্পতে অভিমান করে , অল্পতেই খুশিও হয়। কারো প্রতি কোন রাগ বা অভিমান থাকলে তা প্রকাশ না করে বছরের পর বছর মনের মধ্যে পুষে রাখতে পারে।

উচ্চাভিলাষী নারী : 
এই ধরনের নারীদের জনপ্রিয় হবার বাসনা প্রবল। সবার উপরে কিভাবে যাওয়া যায় সেই চেষ্টায় এরা সর্বদাই মগ্ন থাকে। এই শ্রেণীর নারীদের অর্থের প্রতিও বিশেষ দুর্বলটা দেখা যায়। বিত্তের জন্য এরা যে কোন কিছুই করতে সর্বদা প্রস্তুত। তবে ব্যক্তিগত জীবনে এরা তেমন সুখী হয়না। কারন উচ্চে উঠার বাসনা কখনো বাড়ে বৈ কমে না। :D

বুদ্ধিমতী নারী : 
সবচেয়ে কম সংখ্যক নারী এই শ্রেণীভুক্ত। বাস্তবিকভাবে অনেক নারী নিজেদের বুদ্ধিমতী ভাবলেও তারা এই শ্রেণীভুক্ত হতে পারে না। বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তা দুটো আলাদা জিনিস। বিচক্ষণতার সাথে অভিজ্ঞতা জড়িত, বুদ্ধিমত্তার সাথে নয়। বুদ্ধিমতী নারীরা অনেক সময় জীবনের চরম সত্য গুলো আবিস্কার করে অনেক মূল্যহীনতায় ভুগে। অনেকে তাদের বুদ্ধির জোরেও এই সমস্যাকে মাথা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে। তবে এরা সাধারনত জীবনের চাওয়া পাওয়ার ব্যাপারে অনেক সন্তুষ্ট হয় অল্পতেও।

ফটকা নারী :
এরা সাধারণত বন্ধু কিংবা বান্ধবী বেষ্টিত হয়ে থাকতে পছন্দ করে। সব ধরনের উৎসবমুখর কর্মকাণ্ডে এদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। দৈনন্দিন জীবনে এদের বেশিরভাগ সময় কাটে ইন্টারনেটে বিভিন্ন মেসেঞ্জার এ টাংকি বাজি করে। এরা খুবই অস্থির প্রকৃতির হয়ে থাকে। সাংসারিক কাজ এদের ভালো লাগে না যেমন ,তেমনি এক পুরুষকেও বেশীদিন ভালো লাগেনা এদের। /:) 

সহজ সরল নারী : 
বাংলাদেশে এ ধরনের নারীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এরা সাধারণত খুব সহজেই অন্যর দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ কারনে এরাই সবচেয়ে বেশি প্রতারনার ও শিকার হয়। এদেরকে সৎ পথে ও ভালো রাখার জন্য অভিভাবকত্ব খুবই জরুরী। সাংসারিক জীবনেও এরা বেশ সুখী হয়।

ক্যাচাল প্রিয় নারী / ঝগড়াটে নারী : 
এরা সাধারনত সব ধরনের কাজেই ঝামেলা করে মজা পায়। দিনের মধ্যে না চিল্লাচিল্লি করলে এদের পেটের ভাত হজম হওয়া কষ্টকর। এরা আধিপত্য করতে ভালোবাসে। এসব নারী প্রেমিকা হিসেবে ভালো হলেও বৌ হিসেবে অত্যন্ত ভয়াবহ।:-/

সন্দেহপ্রবন নারী :
এদের জীবনের মুল লক্ষ্যই হল যেকোনো কাজের মধ্যে গভীর কোন অর্থ খুজে বের করা। এদের জীবন কাটে স্বামীর টেলিফোন ,প্যান্টের পকেট , ড্রয়ার প্রভৃতি জিনিস পত্র চেক করে। এরা তাদের স্বামীকে খুব সাবধানে আগলে রাখতে চায়। জায়গা জমি কিনবা ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়েও এরা প্রচুর দুশ্চিন্তায় ভোগে। 

আত্মাভিমানী নারী :
এরা কোন এক অজ্ঞাত কারনে সব দোষ নিজের উপর টেনে আনতে পছন্দ করে। এরা ইচ্ছা করে নিজেরা কষ্ট পেতে পছন্দ করে। কষ্টের জন্য চোখের জল ঠিকই পড়ে কিন্তু এটা যে নিজেরই তৈরি সেটা কখনো মনে করে না।
এরা সারা জীবনভর শুধু কষ্টই পায়। এদের জীবনে সুখ কম।

আহ্লাদী নারী : 
এরা সবসময় ছোট বাবুর মতো নাকি সুরে কথা বলতে ও শুনতে পছন্দ করে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারে আহ্লাদী নারী প্রায় জন্মায় না বললেই চলে। এরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উচ্চবিত্ত বেশি হয়। খুব সাধারণ ব্যবহার্য জিনিসে নাক সিটকানোর একটা অদ্ভুত প্রবনতা দেখা যায় । এরা আহ্লাদী হয় কারন এরা তাদের বাবা মা এর কাছ থেকে মানুষ হবার যোগ্য শিক্ষা পায় না।

দু মুখো নারী : 
এরা প্রচুর পরিমানে বানিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে । মুহূর্তের মধ্যেই কথা ঘুরিয়ে ফেলার আশ্চর্য এক ক্ষমতার অধিকারী এই শ্রেণীর নারীরা । এদের জন্য মানুষে মানুষে সাধারণত হানাহানি , ঝগড়া বিবাদ বেশি হয় । এদের দেখামাত্র ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করা প্রত্যেকের অবশ্য কর্তব্য।

জ্ঞানী নারী : 
সমাজে এদের অবস্থান বেশ উপরের দিকে। যদিও এরা নিভৃতে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় তারা ব্যয় করে উচ্চশিক্ষার পিছে। অর্জিত যে কোন ধরনের জ্ঞান ই তারা ব্যবহার করে তাদের বাস্তব জীবনে আদর্শ নারী সমাজ গড়ে তোলার পিছে তাদের অবদান চিরদিন ছিল,আছে ,থাকবে।

পল্টিবাজ নারী : 
এরা খুব স্বার্থপর ধরনের হয়। স্বার্থের জন্য যেটা ভালো , সেটাই এরা করে ছাড়ে। কে কি বলল না বলল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। এরা ন্যায় অন্যায় বিচার করতে পারলেও এটা নিয়ে মনে মনে দুঃখ করা ছাড়া এদের কার কোন কাজ নেই। এরাও খ্যাতির পিছেই ছোটে , কিন্তু খ্যাতিও এদের বোকাই বানায়। 

কনফিউজড নারী :
যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে এরা হতাশায় ভোগে। এদের সবসময় মনে হয় সে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ,সেটা সঠিক নয়। এ ধরনের নারীরা খুব অল্প ব্যর্থতাতেই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এদের জন্য কাউন্সেলিং জরুরী।

আত্মকেন্দ্রিক নারী : 
নিজেকে নিজের মাঝে গুটিয়ে রাখতে এরা পছন্দ করে। এদের পৃথিবীতে অন্যর হস্তক্ষেপ কিনবা অভিবাসন এরা একেবারেই পছন্দ করে না। এরা বেশিরভাগই কল্পনাপ্রবন হয়। এদের আত্মসম্মান বোধ অতিমাত্রায় প্রবল। এরা গৃহিণী হিসেবেও বেশ ভালো ।

ধার্মিক নারী :
এদের সাধারণত আপাদমস্তক সবসময়ই ঢাকা থাকে। এরা সবাই রক্ষণশীল নীতি মেনে চলে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মাঝে এধরনের নারী বেশি থাকলেও উচ্চবিত্তদের মাঝে এদের সংখ্যা কম নয়। এরা সাধারণত ঠাণ্ডা প্রকৃতির ও স্থির মেজাজের হয়। মাঝে মাঝে কিছু নারী এই ধার্মিকতার লেবাস ধরলেও তারা আসলে এই শ্রেণীভুক্ত নয়।

ছলনাময়ী নারী / প্রতারক নারী :
পোশাক আশাক কিনবা আচার ব্যবহারে অন্যদের থেকে এদের আলাদা করা অসম্ভব কঠিন। এদের প্রায় পুরোটুকুই মিথ্যা। এরা বেশি থাকে বাস টার্মিনালে, লঞ্চ ঘাট কিনবা ট্রেন স্টেশনে। এসব জায়গায় যেচে পড়ে কেউ এগিয়ে এলে সতর্ক হোন। নিরপরাধ ও সহজ সরল মানুষেরা এদের শিকার হয় প্রায়শই। এদের দেখা আর ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখা একই কথা।

ক্রিমিনাল নারী : 
এরা আমাদের দেশে কম । বাইরের দেশে এদের সংখ্যা বেশি । এরা সাধারণত ভেঙে যাওয়া পরিবারের সন্তান। শৈশবের কিংবা কৈশোরের কোন ঘটনা যা তাকে ভুগিয়ে থাকে ,নির্দোষ হবার পরেও ,তারা সাধারণত অনেক বড় ধরনের অপরাধী হয়। আর এর সাথে যদি যোগ হয় বুদ্ধিমত্তা ,তাহলে তো খবরই আছে। এরা অনেক বেশি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে থাকে।

লুল প্রিয় নারী :
অবিশ্বাস্য ভাবে পুরো পৃথিবীতেই এদের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। :-/ এরা সবসময় এদের চারপাশে একদল মুগ্ধ পুরুষ দেখতে ভালোবাসে। এরা নিজেরা নিজেদের সীমানা টুকু ভালোই চেনে , কিন্তু বেচারা ছাগল পাগল ছেলেরা পরে বাঁশটা খায়। এরা সর্বদাই সুখী হয়। দুঃখ এদের জীবনে থাকলেও তা হয় খুবই সাময়িক ।:)

কিশোরীর স্তন বিশাল বড় হয়ে যাওয়া

অনেক সময় কিশোরী বয়সে অর্থাৎ মেয়েদের বয়োসন্ধির সময় স্তন বিশাল বড় হয়ে যেতে দেখা যায়। অনেক মেয়ে প্রথম গর্ভধারনের সময় ও এমন সমস্যায় পরতে পারে। বয়োসন্ধির সময় ইস্ট্রোজেন (Oestrogen) হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের স্তন এর স্বাভাবিক পূর্ণতাপ্রাপ্তি ও বৃদ্ধি শুরু হয়। কোনো মেয়ের যদি এই ইস্ট্রোজেন এর প্রতি অস্বাভাবিক স্পর্শকাতরতা (altered sensitivity) থাকে তাহলে স্তনের এমন অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি শুরু হয়। এমনটি হলে স্তন এতো বড় হয়ে যায় যে বসা অবস্থায় দুই পাশের স্তনই মেয়েটির হাটু পর্যন্ত এসে পৌছতে পারে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুই পাশের স্তন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি অস্বস্তিকর এবং অনেক সময় তা দৃষ্টিকটু হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাই এর চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন আছে। অনেক সময় ইস্ট্রোজেন বিরোধী (Antioestrogen) অসুধ ব্যবহার করে এই সমস্যায় ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এতে যদি স্তন ছোটো হয়ে না আসে তা হলে রিডাকশন ম্যামোপ্লাস্টি (Reduction mammoplasty) নামক অপারেশন করিয়েই এর স্থায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। 
নেট থেকে

স্তনের জন্য ব্রা এর ব্যাবহার ও যত্ন



স্তনের জন্য ব্রা এর ব্যাবহার ও যত্ন
স্তনের জন্য ব্রা এর ব্যাবহার ও যত্নঅনেক দিন ধরেই চিন্তা করছি মেয়েদের স্তনের যত্ন ও পরিচর্যা নিয়ে লিখবো, কিন্তু লিখবো-লিখবো করে লিখা হয়নি।আমাদের দেশে মেয়েরা যে ব্রা`র সাইজ কিনেন ও ব্যাবহার করেন, তা কতটুকু ঠিক? এই বিষয়ে ই আমার এই লিখা। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে, আর কাজে লাগলে ই আমার এই লিখা সার্থক হবে।সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, প্রায় ৯৫% মহিলাদের দেখা যায় ভুল মাপের ব্রা পরতে; হয় খুব আটো (টাইট) কিংবা ঢোলা গড়নের ব্রা পরে যা কিনা পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মেরুদণ্ডে ব্যাথা, ঘাড়ে ব্যাথা, মানসিক অস্বস্তি খুবই সাধারন যা প্রায়ই দেখা যায়। অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, ভুল মাপের ব্রা ব্যবহারে স্তন ঠিক জায়গায় না থেকে বরং নিচের দিকে ঝুলে পরার প্রবনতাকে বৃদ্ধি করে।এখানে ব্রা এর সঠিক মাপ সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে।
স্তনের উপর থেকে মাপ দিন।যেমন ধরুন
63-67 cm হলে,আপনার সাইজ 65
এই রকম
68-72 cm = 70
73-77 cm = 75
78-82 cm = 80
83-87 cm = 85
88-92 cm = 90
93-97 cm = 95
98-102 cm = 100
103-107 cm = 105
108-112 cm = 110 হবে।
এখন আসি স্তনের কাপের কথায়;
কি ভাবে সঠিক সাইজ জানবেন?স্তনের উপর থেকে প্রথমে মাপ নিন, পরে আবার স্তনের নীচে থেকে মাপ নিন। ওপরের ছবিতে দেখুন;
13 cm সেঃমিঃ ফারাক হলে আপনার সাইজ হবে Aকাপের
15 = B
17 = C
19 = D
21 = E
24 = F
26 = G
এখন দেখুন,স্তনের উপর এবং নীচের মাপের কতখানি ফারাক। সে অনুসারে আপনি যেমন;A,B,C,D,E সাইজের কাপের ব্রা কিনবেন।
লেখাটি ভালো লাগলে মতামত দিন প্লিজ!

যৌন-রোগ এবং যৌন-বিকৃতিঃ পেডোফিলিয়া(Pedophilia)

পেডোফিলিয়া কি?
পূর্ন বয়স্ক ব্যাক্তিরা যখন শিশুদের উপর যৌন-ক্রিয়া করে , তাকে পেডোফিলিয়া বলে, বা সংক্ষেপে “পেডোফিল” ও বলা হয়। এটা এক ধরনের বাধ্যতামূলক যৌন বিকৃতি।এই সব ব্যাক্তিরা শিশুদের দেখে তীব্র যৌন-উত্তেজনা বোধ করে। ফলে,তারা সুযোগ বুঝে শিশুদের উপর যৌন-ক্রিয়া করে। এই রোগ পুরুষদের মধ্যেই বেশী দেখা যায়। বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ পুরুষদের মধ্যেই এদের সংখা বেশী। মেয়েদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায় , তবে খুব কম। কিংবা মানুষ জানতেই পারে না,বা ধরা পড়ে না।
কারনঃ

মনস্তাত্বিক কারনেই এই ধরনের যৌন বিকৃতি সৃষ্টি হয়।যেমনঃ যৌনদূর্বলতা,নিরাপত্তাহীনতা,সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যার্থতা এবং আগ্রাসন-মূলক (Agression) মনোভাবের প্রকাশ হিসাবেও ব্যাক্তি-বিশেষ এই ধরনের অবৈধ যৌনকর্মে অংশ গ্রহন করে থাকে।
চিকিৎসাঃ
যৌন বিকৃত ব্যাক্তি যদি স্বক্রীয় ভাবে এই সব মনস্তাত্বিক বাধা দূর করতে সমর্থ হয়, তাহলে তার সমস্যাও দূর হতে পারে। রোগী যদি নিজে নিজে এই সমস্যার সমাধান করতে না পারে, তা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দেশের সবগুলো সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন। এ ছাড়ারা ও পাবনা মানসিক হাসপাতাল, বি এস এম এম ইউ (পিজি হাসপাতাল) ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

যৌন বিষয়ে প্রশ্ন উত্তরঃ আমরা যা ভুল জানি

অনেক প্রশ্নের মুখমুখি হতে হয় , সেক্স এডুকেসন না জানার ফলে অনেক স্বাভাবিক ব্যাপার গুলো আমরা রোগ মনে করি, আর এক শ্রেনির প্রতারকরা হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা । লজ্জায় গোপনে কারও কাছে বলতেও পারিনা । এক সময় সাইকোসোমাটিক ও সাইকো সেক্সুয়াল রোগে ভুগতে থাকি । অথচ এগুলো আমাদের না জানার ফল ……অজ্ঞতার ফল , এ ফল খুব কষ্টের ……… ।
মা-বাবা মনে করে যৌন বিষয়টা ওরা বড় হলে জেনে নিবে , কিন্তু কার কাছ থেকে জানবে ? শিশুর কৌতুহল পুরন করবে কে, তার ভুল জ্ঞানের জন্য কে দায়ি ?
মা-বাবা রা এসব কবে যে বুঝবে !!!!!!!!
(বিদ্রঃ এই পোস্টে কেউ পন্ডিতি জাহির করবেন না , চিকিৎসক ছাড়া কেউ মেডিকেল বিষয়ক পরামর্শ দিবেন না । এই পোস্টের লেখা মেডিকেল সায়েন্সের আলোকে , ধর্মের অলোকে না ।ধর্মের আলোকে লেখার যোগ্যতা আমার নাই । পোস্টের বিষয়ের বাহিরে কেউ কোন প্রশ্ন করবেন না )
প্রশ্নঃ  আমার লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন , কি করি?
উত্তরঃ এটা কোন রোগ না । এটার লিঙ্গের স্বাভাবিক গঠন …… সো নো টেনশন ।
প্রশ্নঃ  হস্তমৌথুনের কারনে কি কোন সমস্যা হয় ?
উত্তরঃ  হস্তমৌথুন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । অতিরিক্ত কোন কিছু ভাল না , তবে আপনি যদি হস্তমৌথুন করার পর অপরাধ প্রবনতায় ভোগেন , তাহলে মনযৌন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রশ্নঃ  স্বপ্নদোষ হছে , কি করবো ?
উত্তরঃ  “স্বপ্নদোষ” এই নামটাই ভুল । স্বপ্নে তো কোন দোষ হচ্ছে না , তাহলে আমরা কেন এটাকে স্বপ্নদোষ বলছি ? এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । মেয়েদের মিন্স/মাসিক যেমন স্বাভাবিক, ছেলেদের স্বপ্নদোষ তেমন স্বাভাবিক । মাসে ১৫ বারের বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন ।
প্রশ্নঃ  আমার লিঙ্গ ছোট , বিয়ে করতে পারব তো?
উত্তরঃ কমন একটা প্রশ্ন, একটা মেয়েকে(স্ত্রী) যৌন তৃপ্তি দেওয়ার জন্য আপনার লিঙ্গ উত্তেজনার সময় ২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা হলেই চলবে । স্কেল নিয়ে মেপে দেখুন, কি উত্তর পেয়েছেন? হেহেহে আপনি সুস্থ্য ।
প্রশ্নঃ লিঙ্গ বড় করার কোন মালিশ, ওষুধ ,ক্রিম , মেশিন কি আছে ?
উত্তর:  নাই … নাই …… নাই , বাজারে যত মালিশ, ওষুধ ,ক্রিম , মেশিন আছে সব ভুয়া । এর সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নাই। (কেউ মালিশ, ওষুধ ,ক্রিম , মেশিন এর সাথে লিঙ্গ বড় করার বিষয়ে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক – এর কথা বললে অবশ্যই প্রমান সহ বলবেন । মনে রাখবেন হাতুড়ে চিকিৎসা বিষয়ক কোন কথা মানা হবে না )
প্রশ্নঃ আমার বীর্য পাতলা , আমি কি বাবা হতে পারবো?
উত্তরঃবীর্য পাতলার সাথে বাবা হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই । বীর্যের মধ্যে শুক্রের পরিমান ও গুনগত মানের উপর নির্ভর করে আপনি বাবা হতে পারবেন কিনা । “বীর্য পাতলা” এটা কোন রোগ না। এর সাথে যৌন দুর্বলতারও কোন সম্পর্ক নাই। 
প্রশ্নঃ মেয়েদের কি স্বপ্নদোষ হয়না? নাকি তাদের শুধু মিন্স হয়? 
উত্তরঃস্বপ্নদোষ” এই নামটাই ভুল । স্বপ্নে তো কোন দোষ হচ্ছে না , তাহলে আমরা কেন এটাকে স্বপ্নদোষ বলছি ? এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।মিন্স আর স্বপ্নদোষ এক করে ফেলা ঠিক না । মেয়েরা ও ছেলেরা সবাই সেক্স করা নিয়ে সপ্ন  দেখে, এতে অসুবিধার কিছু নাই , যৌন জীবনের উপর এর কোন প্রভাবও নাই। 
নেট থেকে

কেজেল ব্যায়াম এর মাধ্যমে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন

কেজেল ব্যায়াম যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা, অকাল বীর্যপাত, দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যারও সমাধানের এক অসাধারণ ব্যায়াম।
কিভাবে কেজেল ব্যায়াম করবেন?

… পেলভিস ফ্লোর মাসল অর্থাত শ্রোণী মেঝের পেশী খুঁজে বার করা এবং সেটা কিভাবে সংকুচন/প্রসারন করবেন- সেটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব কিছু নয়।

১. সঠিক পেশী খুঁজে নিন
পেটে বায়ু জমলে সেটা বের হয়ে যাওয়া রোধ করতে গেলে বা প্রস্রাব করা কালে হঠাত প্রস্রাব বন্ধ করে দিলে পেটের নিম্ন ভাগে পিছনের দিকে যে পেশীগুলো আঁটসাঁট হয়ে যায় সেগুলোই পেলভিস ফ্লোর মাসল অর্থাত শ্রোণী মেঝের পেশী। আয়নায় দেখলে দেখবেন লিঙ্গ কিছুটা তলপেটের কাছাকাছি চলে আসে এবং অণ্ডথলি উপরের দিকে উঠে আসে।
২. পন্থা/পদ্ধতি/টেকনিক সঠিককরণ
ব্যায়ামের আগে ঠিকমতো প্রস্রাব করে নেবেন। প্রথম দিকে উচিত হবে মেঝেতে শুয়ে এই ব্যায়াম করা। মেঝেতে শুয়ে পেলভিস ফ্লোর মাসল ৩ সেকেণ্ড সংকুচন করে রাখুন, তারপর ৩ সেকেণ্ড প্রসারণ করে রাখুন। এভাবে টানা কয়েকবার করবেন। তবে খুব বেশী না। মাসল ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে শুরু করলে বসে, দাঁড়িয়ে বা চলন্ত অবস্থায়ও করতে পারবেন।
৩. মনোযোগ বজায় রাখুন
ভালো ফলাফলের জন্য যখন সংকুচন করবেন তখন গভীর ভাবে মনোযোগ দিয়ে করবেন। অনেকেই ভুল করে পেটের বা তলপেটের, উরু, এবং নিতম্বের পেশী সংকুচন করে ফেলেন। এটা ঠিক নয়। দম বন্ধ বা ধরে রাখবেন না। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
৪. কতবার করবেন
প্রত্যহ ৩ টা সময় (যেমন সকালে দুপুরে বিকেলে) চেষ্টা করবেন। প্রতিবার ১০ রেপস্-এর (repetitions) ৩ সেট করবেন।
(৩ সেকেণ্ড সংকুচন + ৩ সেকেণ্ড প্রসারণ = ১ রেপ। ১০ রেপ = ১ সেট)
মাঝে মাঝে অন্য কাজের সময় (যেমন দাঁত মাজা) এটা প্রাকটিস করে নিতে পারেন। তলপেটে চাপ পড়ে এমন কিছু কাজকর্মের সময়ও (যেমন হাঁচি, কাশি, হাসা, ভারী বস্তু উত্তোলন) আপনার পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন হতে পারে। এছাড়া যৌনমিলনের সময় পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন করে লিঙ্গ আরো অধিকক্ষণ উত্থিত রাখতে পারেন বা অকাল বীর্যপাত রোধ করতে পারেন।
লিন্কঃ http://ca.askmen.com/dating/love_tip_60/67_love_tip.html

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More