This is default featured post 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured post 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Tuesday, September 27, 2011

হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি

মেনোপজ পরবর্তীকালে একজন নারী পিল, প্যাচেজ অথবা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন তাদের পেরিমেনোপজ এবং আফটার মেনোপজের সময়ে শেষ হয়ে যাওয়া এস্ট্রোজেন এবং অন্যান্য হরমোনকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করতে পারেন।
এস্ট্রোজেন হটফ্লাসকে লাঘব করে, ত্বকের অবস্থাকে ভালো রাখে, যোনির দেয়ালকে পুরু রাখে এবং যোনির পিচ্ছিলতাকে বৃদ্ধি করে। এটা নারীর যৌনতার মনোযোগ ও প্রতিক্রিয়া রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। প্রাথমিকভাবে এটাকে ব্যবহার করা হয় কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (হার্টের রোগ) এবং ওস্টিওপেরোসিস, ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্য হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য।
প্রোজেস্টিন প্রায়ই হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির কাজে ব্যবহার করা হয়। এর দ্বারা যোনির ও জরায়ুর মধ্যস্থিত লাইনিংগুলোর অতিবৃদ্ধিকে কমিয়ে আনা হয়, যেগুলো এস্ট্রোজেন দ্বারা তৈরি হতে পারে। যৌন ইচ্ছাকে বাড়ানোর জন্যও টেস্টোস্টেরন ব্যবহার করা যেতে পারে। যেসব নারী এস্ট্রোজেন ব্যবহার করে তাদের এন্ড্রোমেট্রিক্যাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অধিক হয়ে থাকে, যদি তারা তাদের HRT-তে একটা প্রোস্টোজেন যোগ না করে।
HRT ব্যবহার করতে হবে কি না তা ঠিক করার জন্য প্রত্যেকটি নারীকে আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের স্বাস্থ্য চিকিৎসা সহকারীর পরামর্শ অনুযায়ী।

মেনোপজের সম্ভাব্য লক্ষণসমূহ যা একজন নারীর যৌনতাকে আক্রান্ত করে

  • ক্লান্তিবোধ , আকস্মিক উষ্ণ উচ্ছ্বাস , ঘুম ঘুম ভাব
  • মাথা ঘুরানি , যোনি শুকিয়ে যাওয়া
  • ভারসাম্য রক্ষা করায় কষ্ট , যৌন ইচ্ছার পরিবর্তন
  • অনেক বেশি ঘাম দেয়া
  • সপর্শে অনেক কম আনন্দ অনুভূত হওয়া
  • দ্বিতীয় যৌনাঙ্গের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঃ স্তনের পূর্ণতা কমে আসা, যোনি কপাট, নিতম্ব, কমর এবং বয়স্ক যোনি লোম কমে আসা।
  • যোনির টিস্যুগুলো পাতলা হয়ে আসা
  • ত্বকে চুলকানি অথবা জ্বালাপোড়া
  • কাপড় পরিচ্ছদে অথবা সপর্শে সপর্শকাতরতা
  • পায়ের এবং হাতের অনুভব কমে আসা
  • এসব অবস্থায় জড়িত হয়ে পড়ে রজঃস্রাবপূর্ব লক্ষণসমূহ।
  • এছাড়াও এস্ট্রোজেনের কমতির কারণে খুব বেশি শিরঃপীড়া হতে পারে।
  • অল্প সময়ের জন্য স্মৃতিভ্রষ্ট হতে পারে
  • মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে
  • চাপ এবং দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে।
যেহেতু প্রতিটি নারীই আলাদা আলাদাভাবে মেনোপজের অভিজ্ঞতা লাভ করে, তাদের একজনের লক্ষণসমূহ অন্যজনের চেয়ে পার্থক্যপূর্ণ হয়ে থাকে। এই লক্ষণসমূহের কারণ হচ্ছে শরীরে এস্ট্রোজেন তৈরি কমে আসা এবং এর প্রতিক্রিয়া হতে পারে হাল্কা থেকে কঠিন। তারা বেশি বেড়ে যায় শেষ রজঃস্রাবের দু বছর পূর্ব থেকে এবং দু বছর পর পর্যন্ত। চল্লিশ-এর দশকের প্রথমভাগে এসে একজন নারী তার প্রথম রজঃস্রাবজনিত পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং তার ঘুমের আদলের কিছুটা পরিবর্তনও দেখতে পান। এছাড়াও রাতে তার বেশি ঘাম এবং শরীরে জ্বালাপোড়া অনুভব করতে পারেন। এ সময়ে হরমোনের ঢেউ-এর কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অতি তাড়াতাড়ি। একজন মহিলা এই রাত্রিকালীন ঘাম দেয়ার সময়ে এবং শরীর জ্বালাপোড়ার সময়ে অনেক কম যৌন ইচ্ছা অনুভব করতে পারেন।
যদিও মেনোপজ হতে পারে একটা সময়ের ব্যাপার। তবে এর দ্বারা কী আশা করা যায়, তা হচ্ছে এই যে এর বেশিরভাগ লক্ষণই স্থায়ী নয় এবং তা হচ্ছে একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া। এটা জানা থাকলে কোনো ভয়ের কারণ থাকে না। এখানে কিছু স্থায়ী শারীরিক পরিবর্তন আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে একটু বেশি মাত্রায় মুখের পশম গজানো দেখা দিতে পারে এবং কণ্ঠস্বর গভীর হতে পারে। ভগাঙ্কুর অনেকটা বেড়ে যায় এবং যোনিরও পরিবর্তন হয়। যোনি দেয়ালসমূহ পাতলা ও শুকনো হয়ে যায়। স্বাভাবিক পিচ্ছিলতা না থাকায় যৌনসঙ্গম কষ্টদায়ক হতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে ভেজিটেবল অয়েল অথবা তার পরিবর্তে অন্য লুব্রিক্যান্ট যেমন ‘অ্যাসট্রোগ্লাইড আর অথবা রিপ্লেনস আর’ ব্যবহার করলে সমস্যা দূর হতে পারে।
অনেক নারী এ সময়ে যোনি অঞ্চলের পেশির সুস্থতা হারিয়ে ফেলেন। তারা হাঁচি দেওয়ার সময়, কাশি দেওয়ার সময় অথবা লাফ দেওয়ার সময় সামান্য প্রস্রাব ত্যাগ করতে পারেন। এটাকে বলা হয় incontinence. এটা বিশেষ করে ওইসব নারীর জন্য সাধারণত হয়ে থাকে যারা অনেক বেশি সন্তান জন্ম দিয়েছেন সাধারণ উপায়ে (অর্থাৎ অপারেশন বা সিজারিয়ান ছাড়া)। নিম্নে প্রদত্ত কেজেল ব্যায়ামটি এই ধরনের প্রস্রাব ক্ষরণ ব করে, যোনির দেয়ালকে শক্ত করে ও যৌনপুলক ও শীর্ষ আনন্দকে বাড়াতে পারে।

রজঃনিবৃত্তি

নারীর প্রথম বয়ঃসরি স্তরকে বলা হয় পেরিমেনোপজ। গ্রিক ভাষায় পেরি অর্থ হচ্ছে চতুর্দিকে। সুতরাং পেরিমেনোপজ শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় রজঃনিবৃত্তির চতুর্দিক। এটা হলো বদলির সময় যার শেষে রজঃনিবৃত্তি শুরু হয়। এ সময়টা হচ্ছে নারীর মধ্য জীবনে যখন তার রজঃস্রাব শেষ হয়ে যায়। মেনোপজ এক সময়ে ছিল এক ধরনের হেঁয়ালি, প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলতেন না। আমরা বলতে শুনেছি মেনোপজ সম্ব েলোকে বলে ‘পরিবর্তন’। তা বলাও যথেষ্ট ন্যায়সঙ্গত। পেরিমেনোপজের সময় একজন নারী একটি শারীরিক পরিবর্তনের পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যায়। পরিবর্তনের এই পদ্ধতিটি শুরু হয় ৪০ বছরের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু আমাদের অন্যান্য যৌনতার ভ্রমণের মতো সব নারীই মেনোপজে এসে পৌঁছায় বিভিন্ন সময়ে। যেহেতু একজন নারীর জীবনকাল ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত আশা করা যায় সুতরাং বেশিরভাগ নারীই তাদের দ্বিতীয় অর্ধেক জীবনের ভ্রমণ কাটিয়ে দেয় রজঃনিবৃত্তির পরেই।
৪০ বছর বয়সের কাছাকাছি সময়ে ডিম্বকোষের মধ্যে এস্ট্রোজেন তৈরি কমে আসে। রজঃস্রাব চলতে থাকলেও তা অনিয়মিত হয়ে ওঠে। অবশেষে ডিম্বকোষে কোনো পরিপক্ব ডিম তৈরি করে না বা হয় না। এটা হওয়ার পর এস্ট্রোজেন তৈরি নাটকীয়ভাবে কমে যায়। লিভার, আড্রেনাল গ্ল্যান্ডসমূহ এবং চর্বিযুক্ত টিস্যু যেভাবেই হোক খুব সামান্য এস্ট্রোজেন তৈরি করতে থাকে। কম মাত্রার এস্ট্রোজেন নারীদের যৌনতাকে আক্রান্ত করে।

মধ্যজীবনে আমাদের যৌনতার ভ্রমণ

যখন আমরা মধ্য জীবনে পৌঁছাই তখন আমাদের জীবন অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। শিশুকালের সময় থেকে আমরা অনেকটা পথ অতিক্রম করে এসেছি। অনেক লোকই ভুলবশত একথা ভেবে থাকেন যে, বিবাহ করার পর অথবা কারো সাথে অনেক বছর পর্যন্ত জীবনযাপন করার পর জীবনটা বোরিং লাগবে। এটা সত্য হওয়ার নয়। আমাদের যৌনতার বৃদ্ধি কখনো থেমে যায় না, ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত তাতে কোনো পরিবর্তন আসে না অথবা তার ব্যবহারে কোনো কমতি হয় না। আমাদের যৌবনপ্রাপ্ত মধ্য জীবনের সময় হচ্ছে একটি নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ যৌন ভ্রমণের একটি অঙ্গস্বরূপ। মধ্য জীবন বা মধ্যবয়সকে সাধারণত বিবেচনা করা হয় ৪০ বছর বয়স থেকে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত। আমাদের মধ্য জীবনের যৌনতাকে ঘিরে রয়েছে দুটি বৃহত্তম কল্পকথা-(১) বেশি বয়সী লোকেরা এখন আর যৌনতার প্রতি আগ্রহী নন এবং এখন আর যৌনমিলন করে না এবং (২) বেশি বয়সী লোকেরা যৌনতায় অসমর্থ।
এই অংশে আমরা মধ্যবয়সী লোকদের সাথে সম্পৃক্ত যৌনতা নিয়ে গবেষণা করব। আমরা তার সাথে আরো তাকিয়ে দেখব আমাদের মধ্যবয়সের সাথে সংযুক্ত আরো কিছু বিষয়ের দিকে। আমাদের যৌন ইচ্ছা এখন আর সেরূপ যৌবনকালের মতো ততটা উচ্ছ্বাসপ্রবণ এবং ততটা আকর্ষণীয় নয়। আমরা এখন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীর এবং আমাদের নিজেদের চিন্তাভাবনা নিয়ে ব্যস্ত। এখন আত্মমূল্যায়ন হয়ে উঠেছে শারীরিক চেহারার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যমানের। এই নিয়েই এখন আমাদের চিন্তাভাবনা।

মধ্য জীবনের সময়ের দৈহিক পরিবর্তনসমূহ
জীবনের এই সময়ে আমরা এমন একটি স্তরে এসে পৌঁছাই যাতে আমাদের শরীরের এমন পরিবর্তন ঘটে যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নাটকীয়। পরিবর্তনের এই স্তরকে বলা হয় বয়ঃস িবা ঋতুজরা। বয়ঃস িহচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের পর্যায়ক্রম, যা আমাদের মধ্য জীবনে ঘটে থাকে। নারী-পুরুষ উভয়েরই এই বয়ঃসকিাল আসে। নারীদের জন্য এটা আরো বেশি নিশ্চিত এবং চূড়ান্ত স্তর কারণ তারা এ সময়ে উর্বরতা থেকে অনুর্বরতা স্তরে চলে যায়। পুরুষেরা এই পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করে না। পুরুষরা মৃত্যুর দিন পর্যন্ত উর্বর থাকে। নারীরা তাদের মধ্য জীবনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করে। পুরুষের পরিবর্তন ততটা লক্ষণীয় হয় না এবং তাদের অনেক কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়।

যৌনতা ও গর্ভধারণ

গর্ভধারণ একজন নারীর যৌনতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থায় তার যৌন ইচ্ছা বাড়তেও পারে অথবা কমতেও পারে। এটা মাসের থেকে মাস অথবা দিনের থেকে দিন ওঠা-নামা করতে পারে। সার্বক্ষণিকভাবে হরমোন লেভেল পরিবর্তিত হতেই থাকে। প্রথম তিন মাস সময়কালে, গাবনিভাব, স্তন শক্ত হয়ে যাওয়া এবং ক্লান্তভাব একজন নারীকে যৌনতার দিকে অনেক কম মনোযোগী করতে পারে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক পিরিয়ডে তার যৌন ইচ্ছা বাড়তে পারে, কারণ তার শরীর তখন সামঞ্জস্য হয়ে অনেকটা ভারসাম্যতা গ্রহণ করে। সাধারণভাবে গর্ভধারণকালে সব সময়ই তার যৌনতার ইচ্ছা কম থাকে, তার মধ্যে সবচেয়ে কম হয়ে থাকে তার তৃতীয় ত্রৈমাসিক পিরিয়ডের সময়।
গর্ভধারণ যদি সঠিকভাবেই বাড়তে থাকে এবং নারীটি স্বাস্থ্যবতী হয়; স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে সাধারণত পরামর্শ দেবে যৌনসঙ্গম নিরাপদে করা যেতে পারে গর্ভধারণের শেষ চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত। যদি গর্ভধারিণীর যোনিতে কখনো রক্ত দেখা যায় তবে তখন যৌনসঙ্গম ব করে দিতে হবে। তার তলপেটে ব্যথা দেখা দিলে অথবা গর্ভপাতের অন্য কোনো চিহ্ন দেখা দিলে অথবা পানি ভাঙলে তাৎক্ষণিক যৌনমিলন ব করে দিতে হবে।
আপনার যৌনসঙ্গীর সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটা সহনীয় এবং অত্যধিক আরামপ্রদ একটি যৌন আসন বেছে নিতে হবে। কোনো আসনের সামান্য পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হতে পারে। তথাকথিত মিশনারি পজিশন যাতে পুরুষ উপরে নারী নিচে থাকে; অস্বস্তিকর হতে পারে নারী যদি গর্ভবতী হন। পাশেপাশে অবস্থান নিয়ে অথবা নারী উপরে পুরুষ নিচে থেকে এবং পেছনের দিক থেকে যৌনসঙ্গম অনেকটা আরামপ্রদ হতে পারে। ওরাল সেক্স এবং হাত দিয়ে একে অন্যের যৌনাঙ্গ নিয়ে খেলা করা ও উত্তেজনা দেয়া, তাছাড়া একে অন্যের শরীর সপর্শ করা বা আলিঙ্গন দেয়াও সুখপ্রদ হতে পারে। যদি কোনো সঙ্গীর যৌন রোগ শনাক্ত হয়ে থাকে তবে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে। আন্তরিকতা যৌন জাগরণ এবং যৌনতৃপ্তি বাড়াতে পারে এবং চলতে পারে গর্ভধারণ অবস্থায়। নারীদের পরিবর্তনশীল দেহ এবং অনুভবের প্রতি সপর্শকাতর হলে এবং সজাগ থাকলে তার সাথে আরো নারীর সাথে সমঝোতা করার প্রয়োজনীয়তাকে গ্রহণ করা হলে তাতে আপনার যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরো উত্তেজনা যোগ হতে পারে।
কিছু কিছু গর্ভবতী নারী যৌন সম্ভোগ করতে পারেন আবার অন্যরা তা পারেন না এর কারণ কী? যৌনমিলন করতে কিছুটা শারীরিক অসুবিধার কারণে অনেকে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন, অনেকে নিজেকে ভারী এবং অনাকর্ষণীয় মনে করেন অথবা ভ্রূণে আঘাত লাগার ভয় পান। গর্ভ ধারণের শেষপ্রান্তে এসে ভ্রূণ সম্পর্কে একটি বাড়তি সচেতনতার এমন অনুভব হয় যেন সেক্স করাটা একসাথে অনেকগুলো মানুষের একত্র সমাবেশ ঘটানো। গর্ভধারণ অবস্থায় অনেক নারী অত্যধিক বেশি যৌনকামী হয়ে পড়েন। তারা বেশি নারীত্ব ও কম বাধা নিষেধ অনুভব করেন। তাদের শরীর নিয়ে অনেক বেশি সচেতনতার কারণে অনেক বেশি ইন্দ্রিয় সচেতন হয়ে ওঠেন। গর্ভধারণ অবস্থায় যৌনাঙ্গসমূহের রক্তচাপ অনেক বাড়ে। এই বাড়ন্ত রক্তচাপ কোনো কোনো নারীর যৌনেচ্ছাকে বাড়িয়ে তোলে এবং সেভাবে তারা প্রতিক্রিয়া দেখান।

চুক্তি বা ঐকমত্য পিতৃত্ব-মাতৃত্বের জন্য

দুজন সঙ্গীই একমত হবেন যে তারা সন্তান চান কিংবা চান না। এটাও খুবই জরুরি যে দুজনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কয়টি সন্তান চান।
বিবাহ করলেই তা আমাদের জন্য সবকিছু যথাস্থানে ঠিকঠাক করে দেবে না। অন্য যে কোনো আত্মীয় সম্পর্কের মতো বিবাহোত্তর সমঝোতার প্রয়োজন আছে। আমরা একে অন্যের সাথে তাল মিলিয়ে চললেই হলো না, আমাদের বু-বাব ও পরিবারের সাথেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বিবাহিত হলে তা আমাদের একটি নতুন সামাজিক পরিচয় দেয় এবং আমরা নিজেদের দেখতে পারি যে, আমাদের বু-বাব ও পরিবারের সাথে ভিন্নভাবে মেলামেশা করতে শুরু করেছি। আর একটি জরুরি পরিবর্তন হচ্ছে টাকা।
যখন দুজন লোক বিয়ে করে রাষ্ট্র কর্তৃক তাদের একটি একক সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর অর্থ হচ্ছে এটা শিক্ষা করা যে, কীভাবে একটি পরিবারের জন্য আয়ের, খরচের এবং সরকারি কর পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হয়। সকলেই সমভাবে আয়, ব্যয় এবং অর্থ সঞ্চয় করে না। অনেক দম্পতিই টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং দুশ্চিন্তার শিকার হয়। কী করে টাকার সমস্যার উপরে সমঝোতা ও সংবাদ আদান-প্রদান করতে হয় তা হচ্ছে খুবই জরুরি একটি জিনিস। যে কেউ টাকা আয় করুন না কেন উভয় সঙ্গীর মিলিত মতামতের ওপর অর্থ ব্যয় করা হলেই তা সবচেয়ে সুখকর হয়।
সম্ভবত আমাদের যৌনতার মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হচ্ছে যে আমরা কীভাবে তা ব্যক্ত করি। পুনর্বার বলা চলে যে, খোলাখুলি এবং সৎভাবে সংবাদ আদান-প্রদান এই অবস্থার প্রাপ্তির সময়কাল সহজ করতে পারে এবং প্রত্যেকটি সঙ্গীকে শিখতে সাহায্য করতে পারে যে, কীভাবে আমরা আন্তরিকতার সাথে পরসপর পরসপরকে যৌনতার সম্পর্কে পরিতৃপ্ত করতে পারি। এর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে-
  • কত ঘন ঘন আমরা যৌনমিলন করব
  • কখন কোন সময়ে আমরা সেক্স করব
  • যৌন কাজকর্মকে বাছাই করে নেব
  • কতটা অযৌন বিষয়ে একে অন্যের প্রতি মনোযোগী হব।
এটাও খুব জরুরি যে, প্রত্যেকটি সঙ্গীরই অধিকার থাকবে সেক্সের বেলায় ‘না’ বলার, তাতে কোনো পরিণতির ভয়-ভীতির কথা আসতে পারবে না। আমাদের সকলেরই সময় আছে যখন আমাদের এটা করার প্রয়োজন। এ বিষয় নিয়ে সঙ্গীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করলে সঙ্গী আপনার অনুভবের অবস্থার কথা বুঝতে পারবে। অমৌখিকভাবে ফিরিয়ে দিলে আপনার সঙ্গীর মনে সম্পর্কের বিষয়ে দুশ্চিন্তা আসতে পারে। আমাদের সকলেরই রয়েছে নিজস্ব পছন্দ। আমাদের সঙ্গীদের পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারটা জানা এবং তার সাথে মিলমিশ করা অনেক কষ্টকর হতে পারে, কিন্তু পারসপরিক যৌন জীবনকে পরিতৃপ্ত করা হচ্ছে একটা আশ্চর্যজনক পুরস্কার।

নব্য যৌবনপ্রাপ্তিকালে সামাজিক চাপ ও দায়দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসাথে বসবাস করা

অনেক লোক আত্মীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একত্রে বসবাস করার পূর্বে বিবাহবনে আবদ্ধ হয় না। অবিবাহিত অবস্থায় একসাথে বসবাস ও যৌন সম্পর্ক গঠনকে অনেক সময় কো-হেবিটেশন বা একত্রে বসবাস বলা হয়। অনেক লোকে এটা করে থাকে, কারণ তারা আইনসঙ্গতভাবে বিবাহ করতে প্রস্তুত নন। অন্যরা এমনও আছেন যারা কখনোই বিবাহ করতে চান না। অনেক লোক আছেন যাদের পূর্বে বিয়ে হয়েছিল এবং আর কখনো বিয়ে করতে চান না। লেসবিয়ান নারীরা এবং গাই পুরুষরা আইনসঙ্গতভাবে বিয়ে করতে পারেন না। তাদের দেখা যায় সব নারী-পুরুষের মতোই একই ইচ্ছা ও যুক্তি রয়েছে একজনের সাথে বসবাস করার জন্য- কারো কারো আন্তরিকতা লাভ করার জন্য, কাউকে সাথী করে নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য এবং আর্থিক দিক দিয়ে আরো সচ্ছলভাবে বসবাস করার জন্য।
আমাদের একত্রে বসবাসের ধারণা গঠিত হয় আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের এবং আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের দ্বারা। বিবাহ ছাড়া একত্রে বসবাস করাটাকে সকল দম্পতি সমর্থন করে না। অনেক ধর্মেই বিবাহপূর্ব যৌনসঙ্গম সমর্থন করে না, যার কারণে একত্রে অবিবাহিত বসবাসকে তারা গ্রহণযোগ্য মনে করে না। একত্রে বসবাস করার সিদ্ধান্তগ্রহণ নির্ভর করে দুজন সঙ্গীর মধ্যের মূল্যবোধ ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে মতামতের মিলের ওপর। একসাথে বসবাস করা হচ্ছে দুজন সঙ্গীর মধ্যে দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। বিবাহের মতো এর জন্য সংবাদ আদান-প্রদানের চাতুর্যের প্রয়োজন। একটি আলাপ-আলোচনা করার মতো এবং সমঝোতা করার মতো একটি প্রতিশ্রুতির দরকার। এটা উভয় লোকের জন্য খুব জরুরি যে, তারা তাদের উদ্দেশ্য সম্ব েপরিষকার ধারণা রাখবে এবং তাদের সম্পর্কের জন্য আশা-আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে সম্যক উপলব্ধ হবে।
বিবাহ
আমেরিকাবাসীরা বিবাহবনে আবদ্ধ হতে চায়, যদিও পূর্বের চেয়ে আজকাল অনেক কম সামাজিক চাপ আছে যেমনটি ছিল আমাদের দাদা-দাদীদের জামানায়। এর একটা কারণ হচ্ছে এই যে, এর জন্যে অনেক কম সামাজিক নিন্দা রয়েছে একক মাতৃত্বের ব্যাপারে। অনেক নারীই বিবাহ ছাড়াই সন্তান ধারণ পছন্দ করেন। আর একটি কারণ হচ্ছে এই যে, অনেক নারীই এখন স্বনির্ভর এবং বিবাহের উপরে তাদের নির্ভরশীল থাকতে হয় না আর্থিক নিরাপত্তার জন্য।
বিবাহ হচ্ছে একটি জনস্বীকৃতি যে, দুজন লোক একসাথে বসবাস করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। আরো হচ্ছে এটা একটি আইনগত চুক্তি। এক্ষেত্রে আমাদের খুবই সতর্ক থাকা প্রয়োজন যে কাকে আমি বিয়ে করছি, কখন করছি অথবা আদৌ আমি বিয়ে করছি কি না। সকলের জন্য বিয়ে নয়। অনেক লোক আছে যারা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আবেগিক দিক দিয়ে বিবাহের জন্য সাবালক নয়। আমরা কীভাবে জানব যে কখন আমরা বিবাহের জন্য প্রস্তুত। নিম্নবর্ণিত জিনিসগুলোর ওপর চিন্তা করলে ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য হতে পারে।
বয়স
যখন আমরা বিয়ে করি তখন আমাদের বয়স কত? এই প্রশ্নটি একটি কৃতকার্য বিবাহের ক্ষেত্রে একটি ভালো নির্দেশক হতে পারে। সাধারণত আমরা যত বেশি বয়সের হই ততই মঙ্গল। অল্পবয়সী চারজন বালক-বালিকার বিয়ের মধ্যে তিনটিই ভেঙে যায়।
স্বাধীনতা
আর্থিক দিক দিয়ে স্বাধীন হলে এবং একজন নিজের জীবন পালনের জন্য উপযুক্ত হলে একটি কৃতকার্য বিবাহিত জীবনের জন্য তা খুবই জরুরি।
আবেগী সাবালকত্ব
আমাদের আবেগী প্রয়োজনগুলো এমনভাবে মেটাতে সক্ষম হতে হবে যে তার দ্বারা অন্য কাউকে বিরক্ত করা না হয়। এর ফলে বিবাহিত জীবন ভালো কাটানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সামাজিক সাবালকত্ব
মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সামাজিকভাবে অভিজ্ঞ হলে যেমন পূর্বে ডেটিং করা, বিবাহপূর্বে একাকী স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করার অভিজ্ঞতা এবং অর্থনৈতিক সমস্যার ব্যবস্থা করার অভিজ্ঞতা বিবাহিত দম্পতির মধ্যে সমতা রক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।
নমনীয়তা
সকল বিবাহিত জীবনের জন্য মিলমিশ, সমঝোতার প্রয়োজন। আমরা অর্ধেক পথেই আমাদের সঙ্গীদের মেলানোর চেষ্টা করব, কারণ স্বাদ গ্রহণে, প্রয়োজনে, ইচ্ছায়, কখনোই দুজন লোক এরকম নয় এবং অবশ্যই আমরা একে অন্যের পার্থক্যগুলো সমর্থন করব এবং তার প্রশংসা করব।
ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য
এটাতে অনেক সাহায্য হয় যদি দুজন সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব একই রকমের হয় এবং যদি মৌলিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ দুজনেরই একরকম হয়।
পারসপরিকতা
এটা বোঝা খুব দরকার যে, বিবাহ দুজন সঙ্গীরই প্রয়োজনীয়তাকে পূর্ণ করে। এটা যদি একতরফা হয় তার কারণে মানসিক চাপ ও নৈরাশ্য বাড়ে।
শক্তির ভারসাম্য
কীভাবে শক্তির ব্যবহার হয় এবং ভাগাভাগি হয় এর দ্বারা সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়িত্ব নির্ধারিত হয়।
সংবাদ আদান-প্রদান
এটা প্রয়োজনীয় যে আমরা যে কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে পারব।

নব্য যৌবনপ্রাপ্তিকালে যৌন বৈচিত্রতা

নারী ও পুরুষ যাদের রয়েছে লিঙ্গের পরিচয় এবং যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতা, যা সামাজিক আদর্শ থেকে ব্যতিক্রমী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্কের, যদিও তাদের সামাজিক স্বীকৃতি নেই বরং রয়েছে সামাজিক বাধানিষেধ। তাদের বেলায় সম্পর্কের সম্পাদন, সমস্যা এবং সিদ্ধান্তসমূহ যা এসব লোক গ্রহণ করেন- তাদের সম্পর্কের মধ্যে, তা হচ্ছে ওইসব স্ট্রেইট নারী ও পুরুষের মতো যারা সমাজের মধ্যে আদর্শগতভাবে মিশে গিয়েছে।
গাই এবং স্ট্রেইট দম্পতিরা যৌনতার একই পৌনঃপুনিকতার অভিজ্ঞতা লাভ করে। তারা কথা বলে কে যৌনতার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে তারা সন্তান ধারণ করবে কি না। তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমভাবে সন্তুষ্ট। অনেক গাই লোক তাদের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতা গোপন রাখে। সাধারণভাবে তারা বলে থাকে তাদের নিজস্ব খাস কামরার মধ্যে। তারা তাদের ভালোবাসার লোক হারানোর ভয়ে যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে গোপন রাখে, তাদের বাসস্থান ও চাকরি হারানোর ভয়েও তারা প্রকাশ করে না। বেশি সংখ্যার গাই লোক এবং যারা বেশি মূল্যের বলে তাদের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতাকে মূল্যায়ন করে। তারা খোলা জায়গায় তাদের জীবনযাপন করে এবং অন্যের সাথে বাইরে চলাফেরা করে।
অনেক লোক আছে যারা নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক লোকের সাথে বাইরের জীবন কাটাতে ভালোবাসে- তাদের সহকর্মীদের সাথে, কিন্তু পরিবারের সাথে নয়। অন্যরা সব মানুষের সাথে বাইরে জীবন কাটাতে পছন্দ করে। বাইরে চলে আসাটা হচ্ছে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা এমন একটি সিদ্ধান্ত যা গাই লোকদের বারবার করতে হয়। প্রত্যেকবারেই তাদের জীবনে নতুন মানুষের আবির্ভাব ঘটে। আমাদের সমাজে হোমোফোবিয়া ও অ্যান্টিগাইদের পক্ষপাতের প্রতিক্রিয়ার ফলে গাই লোকেরা তাদের নিজস্ব সম্প্রদায় গড়ে তুলেছে, যেখানে তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করে। বর্তমানে গাইদের সংস্কৃতি একটি বাড়ন্তরূপ নিয়েছে। অনেকগুলো নগরে যেমন নিউইয়র্ক ও সানফ্রানসিসকোতে গাই হওয়াটা এখন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে যাচ্ছে।
গাই সম্প্রদায়ের জন্য এখন রয়েছে পানশালা, রেস্তোরাঁ, ড্যান্স ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার এবং ম্যাগাজিন। ১৯৬০ দশকের শেষের দিকের গাই মুক্তির পর থেকে লেসবিয়ান, গাই এবং বাইসেক্সুয়াল নারীরা এবং পুরুষরা একই অধিকার অর্জনের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন, যেসব অধিকার স্ট্রেইট লোকদের জন্য দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনের ও নাগরিক অধিকার যা বিবাহিত স্ট্রেইট লোকদের দেয়া হয়েছে।

লাল চুলোদের শুক্রাণুর বাজার নেই!



কোপেনহেগেন: লাল চুলওয়ালা পুরুষের শুক্রাণুর চাহিদা কম থাকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শুক্রাণু (স্পার্ম) ব্যাংক এই বৈশিষ্ট্যের লোকদের কাছ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে।

শুক্রাণু ব্যাংক ক্রায়োস-এর পরিচালক ওলে সুচাউ জানান, শুকাণু দাতাদের সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি পরিমাণে বাড়ানোর ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুকাণু দাতার সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গেছে।

ডেনমার্কের দৈনিক এক্সট্রাব্লাডেটকে তিনি বলেন, ‘লাল চুলওয়ালা পুরুষরা যে পরিমাণ শুক্রাণু দেন, সেই তুলনায় এই শুক্রাণুর চাহিদা কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারো সঙ্গী লাল চুলওয়ালা না হলে সে সাধারণত লাল চুলওয়ালা লোকের শুকাণু নিতে চায় না। আলাদা থাকেন এরকম নারীরা কখনও কখনও লাল চুলওয়ালা পুরুষদের পছন্দ করেন তবে সেই সংখ্যা খুবই নগণ্য।’

তবে আয়ারল্যান্ডে লাল চুলওয়ালা লোকদের শুক্রাণুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেখানে এটা ‘হট কেকের’ মতো চলে।

ক্রায়োসের সংগ্রহে এখন ৭০ লিটার বীর্য আছে এবং আরও ৬০০ দাতা অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন বলে জানান ক্রায়োসের পরিচালক।

বাদামি চুল ও বাদামি চোখের লোকদের বীর্যের চাহিদা সবসময়ই বেশি। এর কারণ ব্যাখা করে সুচাউ বলেন, ‘এই ব্যাংকের গ্রাহকরা মূলত ইতালি, স্পেন এবং গ্রিসের নাগরিক। এসব দেশের মানুষের বৈশিষ্ট্যও ওই রকম।’

অপরদিকে ভারতীয় পুরুষের বীর্য পাওয়া খুবই কঠিন। কারণ, ভারতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দুটোই রপ্তানি করা নিষিদ্ধ। এ কারণে সন্তানহীন প্রবাসী ভারতীয় দম্পতিদের বড় সমস্যা হয়।

ক্রায়োস স্পার্ম ব্যাংক একজন শুকাণু দাতাকে ৫০০ ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়ে থাকে। আর এই সংরক্ষিত বীর্য এরা ৬৫টি দেশে পাঠায়।

বয়ঃসন্ধির অবাক বিস্ময়



বয়ঃসন্ধির পর ছেলেমেয়েরা মা-বাবার কাছে গোপন এক রহস্যে পরিণত হয়। ছেলেমেয়ের বয়স ১২-১৩ বছর পার হওয়ার পর মা-বাবা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন এই ভেবে যে, যাক ওরা বড় হয়েছে। এখন থেকে নিজের ভালো-মন্দটা বুঝে-শুনে চলতে পারবে। কিন্তু ঘটে তার উল্টোটি।

ছেলেমেয়ে বড় হয়েছে বলে মা-বাবা ওদের একটু স্বাধীনতার স্বাদ নিতে দেন। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। কেননা স্বাধীনতা পেয়ে দিনে দিনে ওরা হয়ে ওঠে বেপরোয়া। ওরা নিজেকে ‘বড় হয়ে গেছি’ ভাবতে শেখে। ভাবে, কাউকে আর তোয়াক্কা না করলেও চলবে। এ অবস্থা দেখে মা-বাবা হঠাৎ সচেতন হয়ে পড়েন। যাকে তারা মনে করেছেন বড় হয়েছে, সে যে আসলে বড় হয়নি, এটা বোঝার পর নতুন এক দুশ্চিন্তা তাদের জাপ্টে ধরে। সন্তান যদি মেয়ে হয় তাহলে তাকে রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপে বন্দি করার চেষ্টা করেন। আর ছেলের জন্য জারি করেন কঠিন কঠিন নিষেধাজ্ঞা। এরপর ঘটতে থাকে নানারকম সমস্যা। মা-বাবা আর কুলিয়ে উঠতে পারেন না। অপরদিকে ছেলেমেয়েরা পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজেকে আড়াল করতে থাকে। তখন মাবা-বাকে মনে করে তাদের ঘোর শত্রু।

দুই.
একটা ভুল ধারণা কমবেশি আমাদের সবার মনেই আছে। আমরা মনে করি ১২ বা ১৩-তেই মানুষের বোধশক্তি পূর্ণতা পেয়ে যায়। তাই ছেলেমেয়েদের প্রতি প্রত্যাশা বাড়ে। তাদের কোনো অপরিপূর্ণ কাজকে আমরা সমর্থন বা গ্রহণ করতে পারি না। যেমনটি ঘটে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট হলে। তাছাড়া প্রতিটি কাজেই থাকে মা-বাবার সজাগ দৃষ্টি। ‘এটা করেছো কেন, ওটা করোনি কেন?’ এ ধরনের প্রশ্নের পর প্রশ্নে ওরা একেবারে মরিয়া হয়ে ওঠে। অথচ মা-বাবা বুঝতেই চান না, ওরা যে অপরিপক্ক। কিংবা ওদের এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো বয়স হয়নি।

বিজ্ঞানীদের মতে, ২৫ বছরের আগে মানুষের বোধশক্তির পূর্ণতা আসে না। আসলে শৈশবের পর খুব সামান্যই বৃদ্ধি ঘটে মস্তিষ্কে, বিশেষত টিনএজে পা দেওয়া পর্যš। তাই টিনএজ হচ্ছে মানুষের জীবনে সবচে জটিলতম একটা অধ্যায়। এ সময় মস্তিষ্কে পরিবর্তনের তোলপাড় শুরু হয়। এর ভেতর দিয়েই পরিপক্কতা আসে মস্তিষ্কে। সবচেয়ে আগে ম্যাচিউরিটি আসে মস্তিষ্কের যে অঞ্চলগুলোর, তার মধ্যে আছে দেখা, শোনা, স্পর্শ এবং স্থানসংক্রান্ত জ্ঞান। এর পরের ধাপে ম্যাচিওরড হয়ে এই কাজগুলোতে সহায়তা করে এমন অঞ্চলগুলো। যেমন রাতের অন্ধকারে সুইচ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে যে অঞ্চল। মস্তিস্কের যে অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ম্যাচিওরড হয় তা হলো ‘সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার ক্ষমতা। অর্থাৎ প্যানিং, চিন্তার শৃঙ্খলা, আবেগ সংযত করা, কাজের প্রায়োরিটি স্থির করা, কার্যকারণ বিশ্লে¬ষণ করা ইত্যাদি।

তিন.
হরমোন বিশাল একটা ভূমিকা পালন করে টিনএজারদের লাগামহীন কাজকর্মে। হরমোনের ফলে শরীর পায় প্রাপ্তবয়স্ক আকার। যৌনাঙ্গ পরিণত হয়, বাহুমূল এবং জানুসন্ধিতে কেশোদ্গম হয়। ছেলেদের কণ্ঠে পরিবর্তন আসে। মেয়েরা গুটিয়ে নেয় নিজেদের। এ সময় তীব্র আবেগ ভর করে ওদের মনে। অযংযত আবেগ বন্য ঘোড়ার মতো ছুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এদের মধ্যে একটা উগ্র বাসনা কাজ করে। মন তখন রঙিন আকাশ। নিজের মনের ভেতরে কী আছে তা খোঁজার জন্য বুঁদ হয়ে পড়ে কেউ কেউ। তীব্র আকাক্সক্ষা এবং রহস্যপ্রিয়তা অনেক সময় ওদের জন্য হুমকির কারণ হিসেবে ধরা দেয়। তাই মনের মধ্যে জন্ম নেয় বিপ্লবী চেতনা, ঘৃণা, ঈর্ষা, ড্রাগ আসক্তি, প্রেমে উন্মাদনা, চুরি, খুন, ধর্ষণসহ নানারকম ভয়ঙ্কর বাসনা।

চার.
বয়ঃসন্ধির গোড়ার দিকে ছেলেমেয়েদের মনে উঁকি দেয় হাজার রকমের প্রশ্ন। কেন তাদের এমন পরিবর্তন হলো, এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য তারা পাগলের মতো হয়ে পড়ে। তারপর আরো নানান প্রশ্ন। বিশেষ কিছু শব্দ আছে যেগুলো শুনলেই ওরা শিহরিত হয়। যেমন প্রেগন্যান্সি, কিস, লাভ, সেক্স ইত্যাদি। অনেক সময় বিশেষ কোনো শব্দের অর্থ জেনেও তারা শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়ে বসে শব্দটির মানে কী? একটিমাত্র শব্দ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তীব্র আকর্ষণ সৃষ্টি করে। তাই নাওয়া-খাওয়া, পড়াশুনা ভুলে এই রহস্যময় জগতে ডুবে থাকে। ওরা খুঁজতে থাকে নির্জনতা। তাই পরিবার থেকে নিজেরদের আলাদা ভাবতে থাকে। নিজের সিদ্ধান্তকে বড় মনে করে ওরা এমন সব কাজ করে বসে যার কারণে মা-বাবার মাথা হেট হয়ে যায়। ওরা যে অপূর্ণ, অপরিপক্ক মা-বাবা তা ঘুণাক্ষরেও মনে করেন না।

আমাদের দেশে অপরিণত বয়সে প্রেমের কারণেই সবচে বেশি সমস্যা হয়। ওরা লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করে। পড়ার টেবিলে বসে লেখে প্রেমপত্র কিংবা রাত জেগে কথা বলে মোবাইল ফোনে। এছাড়া সাইবার ক্যাফেতে দেখে পর্নো ছবি। এসব কারণে পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করে।

পাঁচ.
এ সময়টাতে ওরা খুব বেশি যৌন-সচেতন হয়ে পড়ে। জীবজগতের সমস্ত পশুপাখির সাথে মানুষের যৌনতাকে গুলিয়ে ফেলে। ওরা মনে করে যৌনতাই বড় সুখ। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর নেই কিছু পৃথিবীতে। ফলে ওদের স্বাভাবিক বিচার-বুদ্ধি লোপ পায়। পরিণামে এমন সব কাজকর্ম করতে থাকে, যা তার পরিবার ও সমাজকে বিব্রত করে।

প্রাকৃতিকভাবে ওদের একটা পরিবর্তন আসে এটা সত্যি। তাই বলে অতটা লাগামহীন হওয়া কি সমর্থনযোগ্য? অবশ্যই না। তাহলে কেন এই অপ্রত্যাশিত কাজকর্ম?

ছয়.
এর পেছনে মা-বাবার ভূমিকাও আছে! বিস্ময়কর হলেও কথাটা একেবারে মিথ্যে নয়। ওই বয়সে বাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই থাকে। মা-বাবাও ওরকম বয়স পার করে এসেছেন। তারা জানেন এই বয়সের খারাপ দিকগুলো। তাদেরই মনে করতে হবে তারা কোন শক্তিবলে সেসব কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। হয়তো সাহায্য করেছে বই, সঙ্গীত কিংবা খেলাধুলা।

সুতরাং মা-বাবারই উচিত নিজ সন্তানের সিদ্ধান্ত ঠিক করে দেওয়া। খানিকটা বড় হলেও ওরা তো অপরিণত। এক্ষেত্রে মা-বাবার ভূমিকা হবে বন্ধু আর উপদেষ্টার মতো। একই সাথে ওদের প্রতিটি আচরণ নিয়ে ভাবতে হবে গভীরভাবে। মনে রাখতে হবে বয়ঃসন্ধিকাল বিপদজ্জনক। মা-বাবাকে এগিয়ে আসতে হবে ভালোবাসা নিয়ে। অতিরিক্ত শাসন যেমন সন্তানের মানসিক বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে, তেমনি সন্তানকে দূরে ঠেলে দিলেও সমূহ বিপদ ঘনিয়ে আসে। তাই সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক হওয়া চাই বন্ধুসুলভ। একসাথে সময় কাটানো, খেলাধুলা, ওর স্কুল-কলেজের গল্প শোনা, নতুন বন্ধুদের বিষয়ে জানা-- ওর মতো করেই বিচরণ করতে হবে ওর জগতে। খুব রঙিন আলোয় ভরা ওর জীবন। মা-বাবাকে সেই জগতের সব হদিস জেনে রাখতে হবে। কখনো বিপদ ঘটলে যাতে তারা চট করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর যদি কিছুই না জানেন তাহলে শাসানো ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না। ফল হবে আরো খারাপ। অতিরিক্ত শাসন ওরা পছন্দ করে না। একসময় মা-বাবার মতামতকে চ্যালেঞ্জ জানাতেও শুরু করে দেবে। যদি একবার হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে ফিরিয়ে আনা কঠিন। তাই সাবধানতার বিকল্প কিছু নেই।

আসলে ওদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সত্যিকারের বন্ধুকে টিনএজাররা অবহেলা করে না। সুতরাং মা-বাবা যদি হন সেই বন্ধু, ক্ষতি কি? তাই বলে শাসন থাকবে না? অবশ্যই থাকবে। এমনভাবে থাকবে যাতে ওরা শাসনকে শাসন মনে না করতে পারে। নিয়মের বাঁধন হালকা হবে ধীরে ধীরে। ম্যাচিওরিটির সঙ্গে।

সাত.
সন্তানের কাছে মা-বাবার প্রত্যাশা অন্তহীন। কিন্তু সেই প্রত্যাশার একটা সীমা থাকা দরকার। সন্তান যেন মা-বাবার সঙ্গে খোলাখুলি মিশতে পারে। বুঝতে পারে পুরোপুরি। পিতামাতা বলেই যে তারা তাদের সব হুকুম পালন করবে-- এখন আর সে যুগ নেই। অযৌক্তিক শাসনকে না মেনে নেওয়ার সাহস যে কেউ দেখাতে পারে। ফলে সময়ের তুলনায় মা-বাবাকে পিছিয়ে পড়লে চলবে না। সন্তানের প্রতিটি আচার-আচরণ গুরুত্বের সঙ্গে বুঝে নিতে পারাটাই আসল কাজ।

সন্তানের চিন্তাজগৎ প্রসারিত করতে মা-বাবার ভালোবাসা আর মুক্ত আলোচনা খুবই জরুরি। তাদের খুব সহজে বুঝিয়ে দিতে হবে বংশগতির ধারা বজায় রাখার জন্য নারী এবং পুরুষ-এ দুটি লিঙ্গের সৃষ্টি। জননক্রিয়া যে বিজ্ঞানসম্মত তা বুঝাতে হবে। এভাবে বয়ঃসন্ধির শারীরিক ও মানসিক বিকাশগত পাঠ জরুরি। সে দায়িত্ব স্কুল-কলেজের। যেহেতু স্কুলে সব পড়ানো হয় না, সুতরাং মায়ের দায়িত্ব এটা। শারীরিক আকর্ষণের জন্য বা সঙ্কোচমুক্ত জীবনযাপনের জন্য যখন দুটি প্রজননসক্ষম নারী-পুরুষ পরস্পরের কাছাকাছি আসে, তখন টিনএজারদের সুকুমার মন ওই সম্পর্কটির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ওদের পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে তিরস্কার না করে সুন্দর করে বুঝানো উচিত। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণের কারণ বুঝিয়ে দেওয়ার ফলে সমস্যার সমাধান আশা করা যায়। এটা সম্ভব হলে অনেক বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কারণ এখান থেকেই জন্ম নেয় হতাশা, ঘৃণা, দুঃখবোধ কিংবা হত্যা বা খুন করার মতো সিদ্ধান্ত। বন্যার আগে যেমন বাঁধ, ঝড়ের আগে যেমন শক্ত বেড়া প্রয়োজন তেমনি প্রথম যৌবনের আগে থেকেই মা-বাবাকে খেয়াল রাখা উচিত সন্তান কী হতে চলেছে। বা কোন পথে চলছে। কেননা প্রত্যক মা-বাবাই তার সন্তানের জন্য একজন পারফেক্ট গাইড অ্যান্ড ফিলোসফার।

যৌনতা ও ভালোবাসা

অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহামমদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
E-mail : professorfiroz@yahoo.com
অনেক সময় আমাদের যৌনতার আন্তরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গীদের জন্য এতটা যত্নবান হই যতটা আমরা নিজেদের প্রতি যত্ন নিয়ে থাকি। এটাকে বলা হয় পারসপরিক সম্পর্ক। এর অর্থ হচ্ছে যে, আমরা আত্মত্যাগ ও সমঝোতা করতে ইচ্ছুক। অনেক সময় আমরা অনুভব করি যে, আমরা যে আত্মত্যাগ ও সমঝোতা করতে যাচ্ছি তা আমাদের পিতা-মাতার পছন্দনীয় নয়। এটা অনেকটা বেশি করে আমাদের যৌনখেলা ও আন্তরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
এসব সমস্যার ক্ষেত্রে সবসময়ই খোলাখুলি আলাপ-আলোচনা জরুরি। এটা আলোচনা করতে হবে যে, আমরা কী পছন্দ করি ও কী আশা করি। এটাতে আমরা যে সমঝোতা ও ত্যাগ স্বীকার করি তাকে যত্নসহকারে মূল্যায়ন করে এবং হিসাব করতে চেষ্টা করে যে তারা কী কাজে আসতে পারে এবং সময়ের সাথে তারা আত্মীয়তার ক্ষেত্রে কী অর্থ বয়ে আনতে পারে। একটি সম্পর্কের মধ্যে আন্তরিকতা ওঠা-নামা করতে পারে। আমাদের প্রত্যেকেরই উত্থান-পতন রয়েছে। আন্তরিকতার প্রকৃতি ও গুণাগুণ আমাদের আত্মীয়তার মধ্যে প্রত্যেকটি উত্থান ও প্রত্যেকটি পতনের সাথে পরিবর্তিত হয়। এটা হচ্ছে আমাদের আত্মীয়তার মধ্যের সেই আবেগী আন্তরিকতা যা আমাদের সাবালকত্নের সময়ে ভিন্নতর হয়ে থাকে বয়ঃসকিালের চেয়ে। এর দ্বারা আমাদের যৌন আনন্দকে পারসপরিক ভাগাভাগি করে নেয়া সম্ভব হয়।
পারসপরিকতা হচ্ছে রোমাঞ্চকর ভালোবাসার একটি দিক। রোমাঞ্চকর ভালোবাসা হচ্ছে দুটি মানুষের মধ্যে পছন্দ, যৌন আকর্ষণ এবং গভীর আবেগী মিথস্ক্রিয়ার সমন্বয়। দুই প্রকারের রোমাঞ্চকর ভালোবাসা আছে। উৎসাহী প্রগাঢ় ভালোবাসা হচ্ছে অনুভূতির শক্তিশালী সমন্বয়। অনেক সময় এটা বিভ্রান্তিকরও হতে পারে।
কারণ এটা একই সাথে একত্রিত করতে পারে-আন্তরিকতা, যৌন ইচ্ছা, উল্লাস-আনন্দ, যন্ত্রণা, দুশ্চিন্তা, আরাম, পরার্থবাদ এবং ঈর্ষাকে।
প্যাশনেট লাভ বা উৎসাহী প্রগাঢ় ভালোবাসা ঘটে থাকে প্রায়ই রোমান্টিক লাভের শুরুতে। যেমনি সময় অতিবাহিত হতে থাকে তা আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে বা ‘সহসঙ্গীর ভালোবাসায়’ পরিণত হয়। কম্পানিওনেট লাভ প্যাশনেট লাভের চেয়ে অনেকটা কম আবেগীভাবে প্রগাঢ় হয়ে থাকে। এর সাথে যৌন সম্পর্ক জড়িত আছে। কিন্তু বুত্বের আন্তরিকতায় তা মধ্যম পন্থার হয়ে দাঁড়ায় এবং প্রতিশ্রুত আবেগী কাজকর্মের দ্বারা গভীর হয়।
ব্যক্তি হিসেবে আমরা অন্যের প্রতি সব ধরনের ভালোবাসা উপলব্ধি করতে সক্ষম। অনেক সময় বুত্বের মধ্য দিয়ে ভালোবাসা হয়ে যায়। অন্যান্য সময়ে আমাদের জীবনে নতুন মানুষের সাথে ভালোবাসার বন হয়ে যায়। অনেকের আবার প্রথম দর্শনেই ভালোবাসা হয়ে যায়। এমন সময় আসতে পারে যখন মনে হয় আমরা ভালোবাসায় পড়েছি, আসলে কিন্তু তা নয়। আমরা কারো সাথে বা কারো দ্বারা বিমুগ্ধ হতে পারি। বিমুগ্ধ হওয়া হচ্ছে এক ধরনের শক্তিশালী যৌন আকর্ষণ কারো কারো জন্য। এটা নির্ভর করে কারো (স্ত্রী বা পুরুষের) আদর্শের ভালোবাসার মানচিত্রে একই রকমের হওয়ার ওপর। ইনফ্যাটুয়েশন হচ্ছে খুবই সাধারণ ঘটনা এবং এটা স্বাস্থ্যকর। এটা বুঝতে আমাদের বেশি সময় লাগে না যে, আমরা প্রকৃতপক্ষে বিমুগ্ধ হয়েছি এবং ভালোবাসায় পড়িনি। বিমুগ্ধকরণটা অনেক সময় শেষ হয়ে যায় যখন আমরা লোকটিকে জানতে পারি এবং বুঝতে পারি যে আমরা তার বাহ্যিক গুণাবলী দেখে আকর্ষণবোধ করেছিলাম, তার ভেতরের প্রকৃত বস্তু অবলোকন করে নয়। এমন একটি infatuation বা বিমুগ্ধভাব যা এতই শক্তিশালী যে তাকে আমরা মনের মধ্য থেকে বের করতে পারি না, তাকে বলা হয় Limerance বা চূড়ান্তসীমা।
ঈর্ষা হচ্ছে আর এক ধরনের আবেগ অনেক সময় যা হয়ে ওঠে আমাদের রোমান্টিক ভালোবাসার অংশবিশেষ। ঈর্ষা তখনই ঘটে যখন আমরা বিশ্বাস করি যে, অন্য আরো কেউ আমাদের সঙ্গীর ভালোবাসায় ভাগ বসাচ্ছে। আমরা সকলেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে আমাদের ভালোবাসাকে হারানোর ভয়ে থাকি। এই চিন্তা যে, আমার ভালোবাসা, অন্য কারো ভালোবাসায় আগ্রহ দেখাতে পারে, এর কারণে আমাদের দুশ্চিন্তা ও রাগের উদ্রেক হতে পারে। এর দ্বারা আমাদের আত্মসমমানবোধকে নিচে নামিয়ে নিতে পারে। সংবাদ আদান-প্রদান এবং সরলতাই হচ্ছে ঈর্ষার হাত থেকে বাঁচার সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। আমাদের সকলের জন্য এটা মনে রাখা একান্ত প্রয়োজন যে, আমাদের জীবনে আমরা একসাথে অনেক লোকের জন্য যত্নবান হতে সামর্থ্যবান।
একটি ভালো, স্বাস্থ্যকর, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য উভয় সঙ্গীর পক্ষ থেকে কাজ করা প্রয়োজন। আমরা যদি বসে বসে ভাবি যে নিজে থেকেই এটা হয়ে যাবে, তাতে চলবে না। সংবাদ আদান-প্রদান এবং সাধুতাই হচ্ছে স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের দুটি উপাদান, কিন্তু তারা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। পরবর্তী পৃষ্ঠায় কয়েকটি সাহায্যকারী উপদেশ দেয়া হয়েছে যা সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে। তাদেরকে খুব সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় যে, আমরা সহজ জিনিসটাই ভুলে যাই।
যখন আমরা সম্পর্ক গড়ে তুলি তখন একের পর এক সিদ্ধান্ত তৈরি করি। এই সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে থাকে জন্মনিরোধক ব্যবহারের কথা, প্রতিশ্রুতির কথা এবং বাসস্থানের ব্যবস্থার কথা। বয়স্ক মানুষ হিসেবে আমাদের যৌনতা, যৌনশিক্ষার ও যৌন স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এটা আমাদের জন্য করে দেওয়ার আশায় পরিবার ও বুদের দিকে চেয়ে থাকতে পারি না।

Sunday, September 25, 2011

মাসিক (প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন :সবারই জানা উচিত)

মেয়েদের মাসিকঋতুচক্র (Menstrual cycle) এমন যে এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস (Safe period) হিসেবে ধরা হয়।এই দিবস গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর অবাধ মিলনের (Sexual act) ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবার সম্ভাবনা থাকে না।যেহেতু এই পদ্ধতিটি প্রকৃতি গত ভাবেই নির্দিষ্ট করা তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়।অনেক সময় একে ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলা হয়।
পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোন গুলো।এজন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কি না, হলে তা কত দিন পরপর হয়।এবার সবচেয়ে কম যত দিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে দিনটিই হলো প্রথম অনিরাপদ দিন।আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশী যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে দিনটিই হলো শেষ অনিরাপদ দিন।ধরুন আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ০দিন পরপর হয়।তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিন গুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই সঙ্গম করা যাবে।১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম আনতে হবে।আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিক চক্র তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০তম দিন আপনার জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস।২১তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাধ সঙ্গম করতে পারবেন।এর অর্থ এই উদাহরনে শুধু ১০ম থেকে ২০ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাধ সঙ্গম করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভ ধারন করার সম্ভাবনা আছে।তবে এই দিবস গুলোতে কনডম (Condom) ব্যবহার করে আপনারা অতি সহজেই ঝুকিমুক্ত থাকতে পারেন।
জেনে রাখা ভালো অনিয়মিত ভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এপদ্ধতি কার্যকর নয়।তবে কারো যদি হিসাব রাখতে সমস্যা হয় তবে সহজ করার জন্য বলা যায় মাসিক শুরুর পর ১ম ৭দিন এবং মাসিক শুরুর আগের ৭দিন অবাধ সঙ্গম করা নিরাপদ।
প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রন ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ।সাধারনত হিসেবে গন্ডগোল করে ফেলা, অনিরাপদ দিবসেও সূযোগ নেয়া বা ঝুকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া এসব কারনে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে।তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।কিছু পুরুষের শুক্রানুর আয়ু বেশী হওয়ার কারনে তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে।অনেকে এটা Programmed sex বলে একে ঝামেলা পুর্ণ মনে করেন, কিন্ত একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটা বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More