Sunday, October 9, 2011

পুরুষ-নারীর কাম ক্রীড়া

যৌনসঙ্গমের সঙ্গে হৃদয়াবেগজনিত ও শারীরিক ব্যাপারগুলো অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে সম্পর্কিত। প্রাক সঙ্গম ভূমিকায় এই উভয় দিকের কথাই বিবেচিত হওয়া উচিত।
 
  হৃদয়াবেগের ক্ষেত্রে ভালোবাসা জানানোর রীতি সঙ্গীদ্বয়ের সাংস্কৃতিক পটভূমিকায় ব্যক্তিগত ইন্দ্রিয়ানুভূতি, মানসিক প্রবণতা এবং সেই বিশেষ মুহূর্তের মনোভাব অবস্থার ওপর নির্ভর করে। বলাবাহুল্য, তার প্রকাশভঙ্গি অসংখ্যরকম হতে পারে সে প্রকাশভঙ্গি একজনের কাছে এক সময়ে উদ্দীপনাময় সেই প্রকাশভঙ্গিই অন্য সময়ে, অন্য একজনের কাছে কুৎসিত বলে মনে হতে পারে। কখনো কখনো দীর্ঘ কাম ক্রীড়ার তুলনায় সামান্য একটা কথা, একটা ভঙ্গি, একটা ইঙ্গিতপূর্ণ রসালো মন্তব্য বা সুগন্ধ অনেক বেশি কার্যকরী হয় আচরণের বাধা-ধরা রীতি পদ্ধতি বা নিয়ম-কানুন আগে থাকতে বলা সম্ভবও নয়,বাঞ্ছনীয়ও নয়, মানব সম্পর্কের এই অন্তরঙ্গ ব্যাপারে ব্যক্তিগত স্বতঃস্ফূর্তি বা নৈপুণ্য এবং সেই সঙ্গে পারস্পরিক অনুভূতি ও অভিযোজনের ওপরই প্রধানত নির্ভর করা উচিত সূক্ষ্ম আবেগপ্রবণ ভঙ্গি, প্রবল যৌনলিপ্সা জাগাবার পক্ষে যথেষ্ট, তবে যৌনমিলনের আগে অনেক সময়ে প্রত্যক্ষ শারীরিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করাটা বাঞ্ছনীয়। প্রত্যক্ষ শারীরিক উদ্দীপনা বলতে বোঝায় স্পর্শ, চুম্বন, দংশন, লেহন, আলিঙ্গন, মর্দন, ঘর্ষণ। পুরুষের কামস্থান মোটামুটি একটা জায়গায় অবস্থিত কিন্তু নারীর কামস্থান সারা শরীর জুড়ে বিসতৃত ও ছড়ানো-ছিটানো। অনুকূল মানসিক অবস্থায় দেহের যে কোনো অংশের স্পর্শন ঘটলেই যৌন উদ্দীপনা জাগরিত হয়, ম্যান্টিগাজা যৌন প্রেমকে, উচ্চতর স্পর্শেন্দ্রিয়ের চাঞ্চল্য বলে অভিহিত করেছেন ঠোঁট, ঘাড়, কাঁধ, গলা, কান, কানের লতি, কানের নিম্নাংশ, স্তন, স্তন বোঁটা, এরিওলা, স্তন ভাঁজ, স্তনের চূড়া এগুলো বিশেষভাবে স্পর্শকাতর এবং এসব অঞ্চলে হাত বোলালে বা চুমো দিলে, হাল্কা কামড় দিলে, লেহন করলে অনেক সময় প্রবল যৌন উদ্দীপনা জাগে। বিবাহের গোড়ার দিকে জননেন্দ্রিয়ের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের চেয়ে সাধারণভাবে দৈহিক সংস্পর্শের দ্বারাই নারীরা বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠে স্বাভাবিক লজ্জাশীলতা ও সংকোচ ক্রমে ক্রমে কেটে যাওয়ার পরই জনন প্রদেশের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে যৌন উদ্দীপনার উদ্রেক করে।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More