Sunday, July 24, 2011

শিশু, বালক ও বালিকাদের যৌন শারীরতত্ত্ব

আমাদের যৌনাঙ্গসমূহ আমাদের জন্মের পূর্বেই গঠন হয়। প্রথম দিকে যৌনাঙ্গ ও অন্য সব প্রজনন অঙ্গ সব মানুষেরই সমান থাকে। তাদের সবার অঙ্গকেই নারীর অঙ্গ বলে মনে হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত ভ্রূণের জন্য পুরুষ জেনেটিক কোড না পায়। তবে ভ্রূণ নারীরূপেই বড় হতে থাকে। অন্যথায় সেই জেনেটিক কোড সিগনাল দ্বারা শরীরের হরমোন পরিবর্তিত হয়ে একটি পুরুষাঙ্গের সৃষ্টি হয়। যে টিস্যুগুলো অন্যথায় ভগাঙ্কুরে পরিণত হতো, তা-ই শিশ্নের রূপ ধারণ করে। যে টিস্যু দ্বারা ওষ্ঠ্য তৈরি হতো সেগুলো দ্বারা অণ্ডকোষ তৈরি হয়।
প্রাথমিক যৌন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
আমাদের জীবনের প্রথম দিন থেকে সদ্যজাত শিশু হিসেবে আমাদের বড়দের মতোই সমস্ত প্রধান প্রধান যৌন অঙ্গ সব ধরনের কাঠামো থাকে। একটি শিশুর একই ধরনের অভ্যন্তরীণ ও বহির্গত সমস্ত যৌনাঙ্গ ও প্রজনন অঙ্গ থাকে। যা বড়দের হয়ে থাকে। এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে বলা হয় প্রাথমিক যৌন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বা প্রাইমারি সেক্স ক্যারেকটারস্টিকস। আমাদের জন্মগত প্রাথমিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমরা সারাটা জীবন বেঁচে থাকব।
দ্বিতীয় যৌন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
যেমনি আমাদের শরীর বৃদ্ধি পেয়ে বড় হতে থাকে, আমাদের যৌনাঙ্গসমূহও বাড়ে। বালক-বালিকারা যখন বড় হতে থাকে তাদের শরীরেরও পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে বালিকারা নারীর এবং বালকেরা পুরুষেরা মতো দেখতে শুরু করে। এই পরিবর্তনসমূহ ঘটে থাকে বয়ঃসরি সময় এবং তা আমাদের দ্বিতীয় যৌন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে।
বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তন ঘটে
বয়ঃসন্ধিকাল এমন একটি সময় যখন হরমোন শরীরের সমস্ত অঙ্গের পরিবর্তনকে উত্তেজিত করে। এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় শরীরের অভ্যন্তরে যেসব কিছু ঘটে থাকে তার মধ্যে বালিকাদের রজঃস্রাব শুরু হয় এবং বালকদের শরীরে শুক্রকীট তৈরি হয় এবং তাদের বীর্যপাত ঘটে। এই পরিবর্তন আমাদের বাইরের শরীরেও দেখা দেয়। বালিকাদের স্তন উন্নত হতে থাকে এবং বালকদের মুখে দাড়ি, মোচ গজাতে শুরু করে। প্রত্যেক লোকেরই যৌনকাল আসে তবে কখন এবং কত তাড়াতাড়ি বয়ঃসন্ধিকাল এবং দ্বিতীয় যৌন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বেড়ে উঠবে তা প্রত্যেকটি লোকের জন্য আলাদা। বয়ঃসন্ধিকাল সাধারণত কয়েকটি বছরের জন্য স্থায়ী হয়। বয়ঃসন্ধিকাল বালক এবং বালিকার জন্য একই সময়ে আসে না। প্রায়ই দেখা যায় বালিকারা ৯ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে সাবালিকা হয়ে যায়। বালকরা সাধারণত তার ২ বছর পরে ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে সাবালক হতে শুরু করে। বয়ঃসন্ধিকালের সময় সমবয়সী দুজন যুবক মানুষকে খুবই ভিন্ন রকমের দেখা যেতে পারে। তিনজন বুর একটি দল যাদের প্রত্যেকের বয়স ১৩ বছর প্রথমটির মধ্যে সম্পূর্ণ সাবালকের চিহ্ন ফুটে উঠতে পারে, দ্বিতীয়টির সাবালক মাত্র শুরু হতে যাচ্ছে মনে হতে পারে এবং তৃতীয়টির মনে হতে পারে যে তার বয়ঃসন্ধিকাল শুরুই হয়নি।

এই তিনটি মানুষের হতে পারে তিনটি আলাদা দ্বিতীয় যৌন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং তারা সবাই হতে পারে স্বাভাবিক মানুষ। যে সময় বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় তখন এর দ্বারা বোঝা যায় না যে, শিশুরা বড় হয়ে অন্যদের মতো অনেক বড় না অনেক ছোট হবে। বয়ঃসন্ধিকাল নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই অপ্রস্তুতকারী হতে পারে। এ সময়ের শরীরের মধ্যে যে অসংখ্য পরিবর্তন দেখা দেয় তা খারাপ লাগতে পারে। শিশ্নের খাড়া হয়ে যাওয়া ও রজঃস্রাব পিরিয়ড শুরু হয়ে যেতে পারে যে কোনো অসময়ে। একজনের স্তন বড় হতে শুরু হলে সে আত্মসচেতন হতে শুরু করে। অনেক বেশি ঘাম দিতে পারে। শিশুকালের চেয়ে শরীরের ঘ্রাণ অনেক বেড়ে যেতে পারে। মুখের ওপর বরণ বা ছোট ছোট বিচি যা তৈরি হয় ‘ব্যাকটেরিয়া’ ও ‘ট্রাপেড অয়েল’ দ্বারা- তা একজনকে অনাকর্ষণীয় অনুভব এনে দিতে পারে





0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More