Sunday, July 31, 2011

সমকামিতা এবং যৌনতা

প্রতিটি দেশে মোট জনসংখ্যার শতকরা তিন থেকে পাঁচ জন সমকামী। সমকামিতা পুরুষ এবং নারীরির এক প্রকার মনোদৈহিক এবং আবেগ ঘটিত সমস্যা। অনেকে আবার সমকামিতা এবং উভকামিতা পছন্দ করে। ফ্রয়েডের মতে সমকামিতা হলো অবিশুদ্ধ যৌনতার প্রকার। ফ্রয়েডের ব্যাখ্যা হলো সমকামি পুরুষ মনে করে অপর একজন পুরুষ স্পর্শ এবং আনন্দ অনুভবের দিক থেকে তার সমান এবং পুরুষের কোথায় স্পর্শে এবং কতটুকু স্পর্শ যৌন আনন্দ এবং উদ্দীপনা লাভ করা সম্ভব তা নারীর চাইতে অন্য একজন পুরুষ ভালো জানবে। এই মনোসমীক্ষণটিকে রপ্ত করেই শতকরা আশি ভাগ পুরুষ সমকামি হয়ে থাকে। নারীর ক্ষেত্রেও এই একই প্রকার মনোসমীণ কাজ করে থাকে। সমকামিতার সাধারণ অর্থ একই লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ পুরুষ এবং নারীর সমকামিতার লিঙ্গগত পার্থক্য ছাড়া অন্য কোনো পার্থক্য সাধারণত নেই পুরুষের পুরুষের প্রতি আকর্ষণ এবং নারীর প্রতি আকর্ষণ মনোদৈহিক এবং মানসিকভাবে হয় এবং এর পুরোটুকু ভিত্তি করে যৌনতার উপর। বিভিন্ন সমাজে সমকামিতাকে বিভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হয়। তবে আজকাল অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমকামিতাকে যারা পছন্দ করতেন তারাও ব্যাপারে ইদানীং আকৃষ্ট হচ্ছেন। এর প্রধান কয়েকটি কারণ হলো-
ধর্মীয় বাধা
সমকামিতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অন্যের দ্বারা যৌন লাঞ্ছিত হওয়া
নৈতিক কারণ
মূল্যবোধের কারণ
সমকামিতা এক প্রকার যৌনতা। এই যৌনতাতে একই লিঙ্গের দুজন পুরুষ অথবা নারী অংশ গ্রহন করে। প্রাচীন রোম এবং গ্রীসে প্রথম সমকামিতার প্রচলন ঘটে। তখন এই বিষয়টিকে প্রাকৃতি মনে করা হতো। পরবর্তী সময়ে এর প্রভাব পড়ে ইউরোপ ,আরব এবং দক্ষিণ আমেরিকার সমাজগুলোর উপর অধিকাংশ সমাজ বর্তমানে মেনে নেয় যে সমকামিতা একটি অস্বাভিবিক যৌনতার অনুশনীল। নারীর সমকামিতাকে ইংরেজীতে লেসবিয়ানিজম বলা হয় এবং পুরুষের সমকামিতাকে হোমোসেক্সুয়ালিটি বলা হয় ইউরোপ আমেরিকান বহু দেশে নারীরা তাদের যৌন স্বাধীনতার ফলশ্রুতি হিসেবে সমকামিতাকে বেছে নেয়। তবে এটি সব সমাজে অবৈধ এবং আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। নারীর সমকামিতার বিভিন্ন পর্যায় নানা সময় বিশ্লেষিত হয়ে থাকে। অনেক সময় মানসিক নানা কারণকে সমকামিতার জন্য দায়ী করা হয়। কারণ জানা থাকলে এর চিকিৎসা করা সম্ভব। উভকামিতা হলো নারী এবং পুরুষ উভয়ের সাথে যৌনমিলন বা যৌনসম্পর্ক স্থাপনের বিষয় এর মাধ্যমে একজন পুরুষ বা নারী একই সাথে সমকামি বা উভকামি হতে পারে। দেখা যায় যে অনেক নারী সারা জীবন এই ভাবে যৌনজীবন কাটিয়ে দেয়। উভকামিতা এক ধরণের মনো সমস্যা। মনোবিজ্ঞানী কিনসের একটি সমীক্ষা এখানে উল্লেখ করা হলো-
. শুধুমাত্র বিপরীতকামী। অর্থা নারীর যৌনচেতনা এবং যৌনমিলনের ইচ্ছা কেবল তার বিপরীত লিঙ্গ অর্থা পুরুষকে ঘিরে।
. পুরো মাত্রায় বিপরীতকামী, আবার সময় সুযোগে উভকামী
. নারী মূলত পুরুষের প্রতি আগ্রহী
. সমকামী এবং উভকামী
. নারীর উভকামিতা কিন্তু সময়ে সময়ে সমকামিতা

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More