যৌনমিলন ছাড়া ও নারী চূড়ান্ত যৌন আনন্দ পেতে পারে । এটি হচ্ছে নারীর স্বমেহন প্রক্রিয়া । নারী যদি স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তবেও তার যৌন আনন্দ পেতে পারে । নারীর ভগাংকুরের অংশটি সবচেয়ে বেশি উত্তেজক অংশ এখানে নারী হাতের স্পর্শে বা যৌনির ভেতরে লিঙ্গ সদৃশ্য কোনো কিছু ঢুকিয়ে নারী যৌন আনন্দ পেতে পারে । অনেকে মনে করেন যৌনমিলন ছাড়া যৌন আনন্দ পাওয়া আদৌ সম্ভব নয় । কিন্তু এটি সত্য যে স্বমেহন যৌন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ । এটি শারীরিক কোনো তি করে না । এটি দিনে রাতে যে কোনো সময় যৌন সঙ্গি বা সঙ্গিনীর সাহায্য ছাড়াই করা যেতে পারে । যৌন বিশেষজ্ঞ হ্যাভলক এলিস মনে করেন হস্তমৈথুন বা স্বমেহন বহু নারী কে অন্য মাত্রার যৌনানুভূতি এনে দিতে পারে । হয়তো নারী ঠিক এভাবে এর আগে কখনো যৌন আনন্দ অনুভব করেনি । স্বমেহন ক্ষেত্রে যে ব্যাপারটি ঘটে সেটি হলো নারী তার যৌন অনুভূতিকে নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কৈশোরকালিন সময়ে সাধারণত একজন নারী বা পুরুষ স্বমেহনের ব্যাপারে জানতে পারে । স্বমেহন নারীর যৌন আনন্দের তীব্রতা বাড়াতে পারে । এটি পুরুষের জন্য ও সমানভাবে আনন্দজনক । পুরুষ গড়ে নারীর চাইতে বেশি হস্তমৈথুন করে থাকে । পুরুষ এবং নারীর স্বমেহনের পর পার্থক্য হলো পুরুষ শতকরা ৮১ জন এবং নারী শতকরা ৫৯ জন । নারী এবং পুরুষ যৌন আনন্দের বিকল্প উপায় হিসাবে স্বমেহনকে বেছে নেয় । আবার কেউ কেউ স্বমেহনকালীন সময়ে যৌন ফ্যান্টাসিকে গ্রহন করে । এতে করে যৌন অনুভূতি আরো বেড়ে যেতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে নারীর স্বমেহনের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখা যেতে পারে । এর প্রধান কারণ এই সময়ে নারীর শরীরে হরমোন নিঃসরণের পরিমান বেড়ে যায় । অনেক পিতা মাতা তাদের ছেলে বা মেয়ে কে যৌনতা একটি নোংরা ব্যাপার এই বিষয়ে ধারণা দেন । এরকম ধারণায় পরবর্তী সময়ে বিশ্বাসী হয়ে অনেক নারী এবং পুরুষ যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহি হয়ে উঠে । মনে রাখা উচিত যৌনতা আদৌ কোনো খারাপ বিষয় নয় । এটি মনোদৈহিক এবং শারীরিক উৎকর্ষতা তৈরি করে । তবে পাশা-পাশি এটিও সত্য যে অতিরিক্ত স্বমেহন নারীর এবং পুরুষের স্ব্যাস্থগত সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে । এটি ততোণ ভাল যতোণ পর্যন্ত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিনের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে । নারীর জন্য কোনো কোনো সময় স্বমেহনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে । এটি সুস্থ্য যৌনতারই প্রকাশ ঘটায় ।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment