Thursday, July 7, 2011

পুরুষ যৌনতার মূল্যবান কথা


হতাশা, অবসাদ, উৎকণ্ঠা প্রভৃতি কারণে বা কোনো আপাত কারণ না থাকলেও কখনও কখনও পুরুষের লিঙ্গশৈথল্য দেখা দিতে পারে। একবারের এ অসফলতা দেখে অনেকে নিজের ওপর আস্থা হরিয়ে ফেলেন। এরপর যখন তিনি সচেতনভাবে লিঙ্গোত্থান ঘটানোর চেষ্টায় ব্রতী হন তখন কিন্তু আবার ঐ শৈথল্য দেখা দিতে পারে। এর ফলে সৃষ্ট উৎকণ্ঠা লিঙ্গোত্থানের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। পুরুষের লিঙ্গ শৈথল্য হওয়ার সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হল উৎকণ্ঠা। উৎকণ্ঠা ও অহেতুক ভয় দূর করতে পারলে অনেকাংশে সফলতা পাওয়া যায়। পুরুষের যৌন অসফলতার বিষয়টিকে আলোচনা করতে হলে আমাদের বিভিন্ন বিষয়কে আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন-
  • বাসনা/কামনা
  • লিঙ্গোত্থান
  • অঙ্গভেদ
  • লিঙ্গোত্থান বজায় রাখা
  • চরম আনন্দ বা তৃপ্তি লাভ এবং
  • বীর্যপাত
বাসনা/কামনা
হতাশা বা বিষাদ বা ঐ ধরনের অন্য কোনো কারণে সঙ্গিনীর দেহের গন্ধে বিতৃষ্ণায়, অবসাদে, অসুস্থতায় কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়নে পুরুষের যৌনবাসনার হানি ঘটতে পারে। আবার অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস, মনমতো সঙ্গিনী লাভ প্রভৃতিতে যৌন বাসনা বেড়ে যায়।
লিঙ্গোত্থান
সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় কিংবা হস্তমৈথুনের সময় যদি লিঙ্গোত্থান ঘটে কিন্তু মিলনকালে লিঙ্গ শৈথল্য দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে ব্যাপারটি শারীরিক নয়, মানসিক।
অঙ্গভেদ
মিলনকালে পুরুষটি যদি যোনিভেদে অসমর্থ হয়, তাহলে আসনভঙ্গি সম্বন্ধে এবং নারীর দেহগঠন সম্বন্ধে তার পূর্ণতর জ্ঞান আছে কি না, তা দেখতে হবে। অঙ্গভেদের সময় যদি লিঙ্গে ব্যথা হয় তাহলে পুরুষটির ফাইমোসিস বা মুদারোগ আছে কিনা এবং নারীটির যোনিপথে বা যোনিমুখে কোনো বাধা আছে কিনা তা দেখতে হবে। অনেক সময় একটি মিলনে অঙ্গশৈথল্য পরবর্তী মিলনগুলোতে ভয়জনিত বাধা সৃষ্টি করে এবং সেক্ষেত্রে অঙ্গভেদের প্রাক মুহূর্তে লিঙ্গ শৈথল্য দেখা দিতে পারে।
লিঙ্গোত্থান বজায় রাখা
অঙ্গভেদের পরে যদি লিঙ্গ তার দৃঢ়তা হারায় তাহলে বুঝতে হবে ব্যর্থতার ভয় বা অত্যধিক শিথিল যোনিপথ এ ব্যর্থতা ডেকে আনছে।
চরমানন্দ লাভ
দেখতে হবে ঘুম থেকে ওঠার পর সঙ্গমে প্রবৃত্ত হলে চরমানন্দ লাভে বিঘ্ন দেখা দিচ্ছে কিনা, নাকি ঘুমাতে যাবার আগে মিলনে প্রবৃত্তি হলে চরমানন্দে অসুবিধা হচ্ছে কিনা। বীর্যপাত বিলম্বের ব্যাপার ঘটলে তাকেও বিবেচনার মধ্যে আনতে হবে।
বীর্যপাত
চরমানন্দ লাভের সঙ্গে সঙ্গে মূত্রপথ থেকে বীর্য বেরিয়ে আসে। কখনও কখনও চরমানন্দ লাভের পরে কোনো বীর্যপাতই হয় না, একে বিপরীত স্খলন বলা হয়। বীর্যপাত ঠিক কিভাবে হচ্ছে, চুইয়ে পড়ছে নাকি, ছিটকে বেরোচ্ছে, তাও দেখা দরকার। এসব ক্ষেত্রে স্নায়বিক বা পেশি ঘটিত গোলমালের ভূমিকা অনেক, তাই এসব পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
বয়ঃসন্ধিকালে বা যৌবনের প্রারম্ভে কোনো তরুণের কেবলমাত্র দৃষ্টিতে বা যৌন চিন্তায় লিঙ্গোত্থান ঘটে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই এই ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং তখন লিঙ্গোত্থানের জন্য সরাসরি লিঙ্গো উদ্দীপনা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীই মিলনের আগে পূর্ব রাগ পূর্বে স্বামীর যৌনাঙ্গে হাত দিতে চান না। ভালো মেয়েরা এসব কাজ করে না, কিংবা এভাবে এগোলে স্বামী কি ভাবেন, এ কথা ভেবেই সম্ভবত কাজটিতে তারা বিরত থাকেন। নারীর এমন মনোভাব নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর।
যৌনবিষয়ক কল্পনায় পুরুষের লিঙ্গোত্থান ঘটে। মস্তিষেক অবস্থিত যৌনকেন্দ্রটি প্রথমে উদ্দীপিত হয়। ঐ কেন্দ্র দ্বারা উত্তেজনার সংবাদ মেরুদন্ড  ও বিশেষ স্নায়ু মারফত যৌনাঙ্গে এসে পৌঁছায়। এ সময়ে বস্তি অঙ্গগুলোতে বাড়তি রক্তের প্রবাহ আসে এবং এরই পরিণতিতে লিঙ্গোত্থান ঘটে। বয়স যত বাড়তে থাকে, লিঙ্গোত্থানের জন্য পুরুষের ততই সরাসরি লিঙ্গে উদ্দীপনা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। অবশ্য ভয়, ভীতি, দোষী মনোভাব বা যৌন চিন্তা থেকে সরে গেলে যৌন উদ্দীপনায় বাধা পড়ে এবং সেক্ষেত্রে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
মদপান পুরুষত্বহীনতা আনতে পারে। এ ধরনের পুরুষত্বহীনতা সাধারণত দু ধরনের। কোনো সময়ে মদ বেশি পান করলে পুরুষত্বহীনতা হবে এক রকমের আবার নিয়মিত মদ্যপানের ফলে পুরুষত্বহীনতা হবে ভিন্ন রকমের। বহুক্ষেত্রে দেখা যায়, একদিনের অধিক মদ্যজনিত পুরুষত্বহীনতা পরবর্তী উপসর্গকে ডেকে আনছে। তবে, এসব হলো সাময়িক ব্যাপার এবং নিয়মিত মদ্যপানে স্নায়ুতন্ত্র ও লিভারের মাত্রাধিক ক্ষতি সাধিত হয়। পরিণামে যৌন বাসনাই কমে আসে এবং লিঙ্গ শৈথল্য একটা স্নায়বিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। শারীরিক পুরুষত্বহীনতার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো হল ডায়াবেটিস, রেডিয়াম চিকিৎসা বা ভাসকুলার বিশৃঙ্খলা।
যৌন গবেষক মাস্টার এন্ড জনসন যৌনতার চারটি স্তরের কথা বলেছেন এগুলো হলো-
  • উত্তেজনার স্তর
  • বিস্তার স্তর
  • চরমানন্দ লাভের স্তর এবং
  • বিরতির স্তর
উত্তেজনার স্তরে লিঙ্গে রক্ত প্রবাহের
আধিক্য ঘটে এবং এর ফলে লিঙ্গোত্থান হয়। অন্ডকোষের থলিটি অল্প উপরে উঠে যায় এবং অন্ডকোষটি উপরে উঠে। পরবর্তী স্তরে রক্ত প্রবাহ আরো বাড়ে এবং লিঙ্গের কাঠিন্য দেখা যায়। অন্ড দুটি আরো উপরে উঠে এবং আকারে একটু বড় হতে পারে। চরমানন্দ লাভের স্তরে অনৈচ্ছিক পেশিসমূহের সংকোচন ঘটে এবং মূত্রপথ দিয়ে বীর্যধারা ছিটকে বেরিয়ে আসে, চলতি কথায় একে বলা হয় স্খলন। শারীরিক দিক দিয়ে নাড়ির গতি, রক্তচাপ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেশ বৃদ্ধি পায়। ক্রমে শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো স্বাভাবিক স্তরে চলে আসে এবং এ স্তরটিকেই বলে বিরতির স্তর। একবার স্খলনের পর পুরুষের পক্ষে তাৎক্ষণিক লিঙ্গোত্থান ঘটানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More