Friday, July 1, 2011

যৌনসঙ্গম

যৌনসঙ্গম হল পুরুষ এবং স্ত্রীর শারীরিক মিলন। যে-সব প্রাণীর যৌন প্রজনন হয় তাদের মধ্যেই হয় যৌনসঙ্গম। মানবপ্রজাতিও (Homo sapiens) এর ব্যতিক্রম নয়। যৌনসঙ্গমের মৌলিক উদ্দেশ্য হলো প্রজনন বা বংশবৃদ্ধি। তবে এই প্রক্রিয়ায় শারীরিক পুলক লাভ হয় যাকে সাধারণত যৌনানন্দ, রতিসুখ, ইত্যাদি বলে অভিহিত করা হয়।যৌনক্রিয়া নারী-পুরুষের একটি জৈবনিক ক্রিয়া যার প্রধান উদ্দেশ্য বংশবিস্তার। যৌনক্রিয়া মানুষের একচেটিয়া কোন আচরণ নয়। প্রাণীজগতে যৌনক্রিয়া প্রজননের প্রধান মাধ্যম। অন্যদিকে যৌনক্রিয়া শারীরীক সুখেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

প্রজনন প্রক্রিয়া

পৃথিবীর সকল প্রাণীই তার প্রজনন কর্ম সম্পাদন করে। প্রজননের ফল হচ্ছে শারিরিক সুখ এবং বংশ বৃদ্ধি করা। যৌনক্রিয়ার কেন্দ্রীয় অংশ হলো "যৌনসঙ্গম" বা স্ত্রী-অঙ্গে পুরুষাঙ্গের প্রবেশ এবং বীর্যপাত। এই প্রজনন প্রক্রিয়ার ফল স্বরুপ প্রাণী তার বংশ বিস্তার করে থাকে। বিভিন্ন প্রাণী বিভিন্নভাবে তার প্রজনন চালিয়ে থাকে। যেমন মানুষ তার প্রজনন চালায় স্বীয় নারী/পুরুষ দ্বারা। মানুষের প্রজনন প্রক্রিয়াটা সকল প্রাণী থেকে ভিন্ন।

শারীরীক সুখ

মানুষ বিভিন্নভাবে তার সুখ পেয়ে থাকলেো এক্ষেত্রে তার কামনা থাকে আর একটি শরির। একজন মেয়ে বা ছেলে তার বিপরিত জনকে দিয়েই শারীরীক সুখ লাভ করে। শারীরীক সুখ বলতে এখানে শুধুই দেহভিত্তিক লালসা বা আনন্দকে বুঝিয়েছে। এক্ষেত্রে মানুষ চরম সুখ পেয়ে থাকে।

যৌনসঙ্গমের বিভিন্ন পর্যায়

মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী। সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো মানুষের ক্ষেত্রেও সাধারণত প্রথমে পুরুষ এবং স্ত্রী পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং কামাসক্ত হয়। এরপর পুরুষ ও নারী নিকটবর্তী হয়ে পরস্পরকে স্পর্শ করে এবং পুরুষটি তার সঙ্গিনীকে বিভিন্নভাবে আলিঙ্গন করে। পুরুষ এবং স্ত্রী পরস্পরের কামোদ্দীপক অঙ্গগুলি স্পর্শ করে যৌন বাসনাকে বর্ধিত করে। এরপর পুরুষটি তার শিশ্নটি (পুং জননাঙ্গ) স্ত্রীটির যোনিপথে প্রবেশ করিয়ে অঙ্গচালনা করে। অঙ্গচালনার এক পর্যায়ে পুরুষের বীর্যস্খলন হয়। এই ভাবে পুরুষ স্ত্রীযৌনাঙ্গে বীর্যদান করে। এই বীর্যের মধ্যে থাকে শুক্রানু যেটি স্ত্রী শরীরে ডিম্বানুর সঙ্গে মিলিত হয় এবং ফলে স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার হয়।

শৃঙ্গার

যোনীতে লিঙ্গ প্রবিষ্টকরণের পূর্বে কামোদ্দীপক কার্যকলাপকে বলা হয় শৃঙ্গার। চুম্বন, লেহন, দংশন প্রভৃতি স্বাভাবিক শৃঙ্গার হিসেবে পরিগণিত। বাৎসায়নের কামসূত্রে ৬৪টি কলার কথা উল্লিখিত আছে যা শৃঙ্গারের অন্তর্ভূত।

আসন

যৌনসঙ্গম কালে নারী-পুরুষের পারস্পরিক অবস্থানকে বলা হয় আসন।

চরমানন্দ বা রাগমোচন

যৌনসঙ্গমের শেষ পরিণতি চরমানন্দ লাভ। এই অবস্থাকে বলা হয় রাগমোচন (অরগ্যাজম)। পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যপাতের মাধ্যমে রাগমোচন কথা চরমানন্দ লাভ হয়। স্ত্রীর ক্ষেত্রে কোন বীর্যপাতের ন্যায় বিশেষ ক্ষরণ বা নিঃসরণ হয় না।

গর্ভসঞ্চার প্রতিরোধ

যৌনসঙ্গম কালে স্ত্রী যোনীতে পুরুষের বীর্য নিক্ষেপের ফলে গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা থাকে। এই সম্ভাবনা দূরীকরণের জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More