Sunday, July 24, 2011

দি আর্ট অব সেক্সুয়াল এক্সটাসি-2

প্রস্তুতি
এই অনুশীলনের জন্য তরতাজা শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন। সুতরাং শুরু করার পূর্বে কিছুটা সময় নিন; দাঁত ব্রাশ করুন এবং জিহ্বার উপর কয়েক ফোঁটা পুদিনার সুঘ্রাণ রেখে দিন।
অনুশীলন
একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে বসুন। জাপানি স্টাইলে হাঁটু গেড়ে বসুন। শরীরকে ঢিলা করুন এবং পেটকে ঢিলেভাবে ঝুলে থাকতে দিন। আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে একটা শ্বাস-প্রশ্বাসের যোগাযোগ তৈরি করতে যাচ্ছেন সুতরাং এই সমস্ত পদ্ধতিটাতেই মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস করুন। কয়েক মুহূর্তের জন্য একে অন্যের দিকে তাকান। তারপর অন্তরের অভিবাদন জানান। চোখ দুটো ব করুন। বস্তির দোলদোলা শুরু করুন এবং তা তিন মিনিট পর্যন্ত চালু রাখুন। যখন আপনাদের মনে হয় আপনারা একটা উত্তম ছন্দে পৌঁঁছতে পেরেছেন এবং নিজেদের মধ্যে কেন্দ্রস্থ অনুভব করছেন তখন চোখ খুলুন, একে অন্যের দিকে তাকান কিন্তু বস্তিদেশের দোলদোলা চলতেই থাকবে। এতো তাড়াতাড়ি বস্তিদেশের দোলদোলায় ঐকতান আনার প্রয়োজন নেই। নিজেকে যে কোনো প্রকার সমালোচনার বা তুলনার ভয়ভীতি থেকে অনাক্রান্ত রাখুন ‘সে আমার চেয়ে ভালো করছে’ অথবা ‘আজ আমার চেহারাটা ভালো দেখা যাচ্ছে না’ যা আপনার মনে উঁকি দিচ্ছে এটা একটা হাস্যরসিকতাপূর্ণ একটা ভাব গম্ভীরহীন অনুশীলন। যেনো আপনারা এক শিশু দম্পতি আনন্দ করছেন অথবা ঘোড়ায় চড়া খেলছেন। যখন আপনারা সহজবোধ করেন তখন নিজেদের মধ্যে ছন্দের ও শক্তির গ্রন্থনা শুরু করুন।
পথের সান করুন কিভাবে দোলদোলার সমতায় পৌঁছে এক সাথে শ্বাস-প্রশ্বাস ও দোলদোলা চালিয়ে যেতে পারেন। এ বিষয়ে সজাগ থাকুন যে, কার শ্বাস-প্রশ্বাস দীর্ঘ বা হ্রস্ব হচ্ছে এবং একে অন্যের জন্য কিছুটা ছাড় দিন, সুতরাং যাতে করে দুজনেই একটা সমতার ছন্দে পৌঁছাতে পারেন যেটা হবে আরামদায়ক ও সুখপ্রদ। নিজেদের ইচ্ছা মতো সময় নিন এবং শিথিল থাকুন। এই অভ্যাসের সময় কোনো বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে কখনো তা বলতে লজ্জাবোধ করবেন না, যেমন আপনি বা তুমি একটু পো করো বা তুমি কি একটু আস্তে করতে পার? অথবা অনুগ্রহ করে তোমার শ্বাস-প্রশ্বাসকে আমার সাথে মিলাও। তারপর সন্নিকটে সরে আসুন এবং একে অন্যের হাত ধরুন। এই পদ্ধতির মধ্যে একে অন্যের সাথে একটা বিশ্বাসের অনুভব গড়ে তুলুন। আপনার অন্তরের মধ্যে আপনার সঙ্গীর জন্য একটা জায়গা করে নিয়ে একাত্মতাবোধ করতে পারেন কি না দেখুন। আত্মদর্শনের ধ্যান শুরু করুন যেটা আপনারা শিখেছেন ৪র্থ অধ্যায়ে। একে অন্যের চোখে চোখ রেখে এক সাথে শ্বাস গ্রহণ করুন, আপনাদের বস্তিদেশসমূহকে পেছনের দিকে দোলা দিন এবং অনুভব করুন যে আপনার সঙ্গীকে যেনো ‘পান করে’ নিজের মধ্যে নিয়ে নিচ্ছেন। একসাথে শ্বাস ত্যাগ করুন এবং আপনাদের বস্তিদেশসমূহকে সামনের দিকে দোলা দিন এবং অনুভব করুন যে, আপনি যেনো নিজেকেই নিজের শক্তি সামর্থ্যকেই আপনার সঙ্গীর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত চালিয়ে যান।
উল্টানো শ্বাস-প্রশ্বাস
যখন আপনারা একটা আনন্দপ্রদ চলাচল গঠন করতে পেরেছেন তখন শ্বাস-প্রশ্বাস এর পদ্ধতি উল্টো করে চেষ্টা করুন। সঙ্গী ‘ক’ তার পেলভিককে পেছনের দিকে নিয়ে শ্বাস গ্রহণ করবেন এবং পিসি মাসলকে সংকুচিত করবেন এবং কল্পনা করবেন যে তার পুরুষ সঙ্গীর ‘খ’ এর শক্তিকে তিনি পান করছেন। একই সময়ে সঙ্গী ‘খ’ শ্বাস ত্যাগ করবেন সামনের দিকে দোলা দেবেন। পিসি মাসলকে শিথিল করবেন এবং তার শক্তি সঙ্গী ‘ক’ এর মধ্যে ঢেলে দেবেন। এই উল্টানো শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে আপনারা যখন সামঞ্জস্যে পৌঁছে যাবেন, মনে করুন যেনো আপনারা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভালোবাসা করছেন। ভালোবাসা করছেন দৃষ্টি ও চলাচলের মাধ্যমে। সঙ্গী ‘খ’ যখন আপনি শ্বাস ত্যাগ করবেন মনে করুন আপনি যেনো ঠোঁট বাঁকা করে আপনার সঙ্গী ‘ক’-এর চারদিকে একটা চুনো উড়িয়ে দিচ্ছেন এবং তার ঠোঁটের দিকে বাতাস প্রবাহিত করে দিচ্ছেন, যেভাবে একটা বড় খড়ের মধ্য দিয়ে বাতাস প্রবাহিত করে দিচ্ছেন। অনুভব করুন যে আপনি আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস, আপনার শক্তি, আপনার ভালোবাসা সবকিছু তার মধ্যে ফুক দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছেন।
সঙ্গী ‘ক’ যখন আপনি শ্বাস গ্রহণ করা শুরু করেন তখন অনুভব করুন সঙ্গী ‘খ’ এর শ্বাস আপনার দিকে প্রবাহিত করে দেয়া হচ্ছে এবং সেটাকে ভেতরে গ্রহণ করুন। যেমন আপনি তাকে পান করতেন। আপনার শ্বাসের সাথে আপনার সঙ্গীর শ্বাসটাও ভেতরে নিন। আপনার গলার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করিয়ে ভেতরের বাঁশির সংযোগে বুকের মধ্য দিয়ে মধ্যচ্ছদা হয়ে নাভি, তলপেট হয়ে নিচে একদম যৌনাঙ্গের মধ্যে নিয়ে যান।
শ্বাস গ্রহণ শেষ হয়ে গেলে এক মুহূর্তের জন্যে সেটাকে সেখানে ধরে রাখুন, তখন পিসি মাসলকে টাইট করে রাখবেন শ্বাস ত্যাগ করার সময় আপনার বস্তিদেশকে সামনের দিকে দোলা দিন এবং কল্পনা করুন যে আপনার যৌনাঙ্গের মধ্যে যে শক্তি সঞ্চিত ছিল তা ভেতরের বাঁশির মধ্য দিয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে এবং মুখের মধ্য দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে এবং তা গিয়ে সঙ্গীর ঠোঁটে উড়ে পড়ছে, যিনি পর্যায়ক্রমে তা গিলে খেয়ে ফেলছেন বা শ্বাসের মধ্য দিয়ে ভেতরে টেনে নিচ্ছেন। এটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত চালিয়ে যেতে থাকুন। অনুভব করুন যে আপনি একজন আন্তরিক বুর সাথে একটা শক্তিকে একই অনুভূতিকে একটা অন্তরকে ভাগ করে উপভোগ করছেন। আমি এটা ‘আত্মার চুম্বন’ (The kiss of the spirit) বলে আখ্যা দিতে পছন্দ করি।
কারণ এটা এতই সূক্ষ্ম এবং উন্নততর কম পক্ষে হলেও পাঁচ মিনিট পর্যন্ত চালিয়ে যান খুবই আস্তে এবং শান্তভাবে। শ্বাস-প্রশ্বাসকে গভীর এবং শরীরকে শিথিল হতে দিন। আপনার উন্নতির সাথে সাথে দোলদোলার ছন্দ এবং লয় বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিতে পারেন। আপনার আবেগকে অনুসরণ করুন। শুধু ঘটে যেতে দিন নিজের শক্তিকে নিজে অনুসরণের চেষ্টা করুন। তারপর ধীর গতিতে আসুন এবং দোলদোলা ব করে দিয়ে শেষ প্রান্তে চলে যান। চোখ ব করুন এবং এক মিনিটের জন্য আপনার মনোযোগ শরীরের মধ্যে নাভির নিচে তলপেটের একটা কেন্দ্রে ফোকাস করুন এটাই আপনার শক্তি কেন্দ্র। একজন সঙ্গীর সাথে যখন অভ্যাস শেষ করেন তখন এটা জরুরি যে আপনাদের একত্রতা থেকে নিসঙ্গতার দিকে চলে যান, যাতে করে আপনি স্বাধীনভাবে অন্যের ছাড়া নিজের ব্যক্তিত্ব ও ক্ষমতা অনুভব করতে পারেন। অনুভব করুন কিভাবে আপনার শক্তি পরিবর্তিত হয়েছে এবং প্রসারিত হয়েছে, কারণ এই অনুশীলনীতে আপনি এটা আপনার সঙ্গীর সাথে ভাগ করে উপভোগ করেছেন।
সবশেষে একটা অন্তরের অভিবাদন লেনদেন করুন। আপনারা কি অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন সে বিষয়ের উপর আলোচনা করতে ১৫ মিনিট সময় নিন। বর্ণনা করুন যে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দু’জনের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম আন্তরিকতার সৃষ্টি হয়েছে কি না। শ্বাস-প্রশ্বাস করাটা খুব কঠিন না খুব কোমল হয়েছিল; আপনাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল কি না। যদি আপনারা কোনো কষ্ট বা অসুবিধার সমমুখীন হয়ে থাকেন-যেমন ধরুন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দের মধ্যে পার্থক্য যেটা আপনারা ঐকতানে আনতে পারেননি- সে বিষয়ে কথা বলুন, আলোচনা করুন সেটা থেকে আপনারা কি শিখলেন এবং কিভাবে পরবর্তী সেশনে সেটাকে পরিবর্তন করতে পারবেন। এই পর্যালোচনাটা ইতিবাচক মন্তব্য দিয়ে শেষ করুন। একে অপরকে বলুন কোন কোন জিনিস এই বিনিময়ের মধ্যে আপনাদের বেশি পছন্দ হয়েছে বা ভালো লেগেছে।

নির্দেশিকা
আপনি এই অনুশীলনীতে যদি সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাস বিনিময় করতে না চান তাহলে নাক দিয়ে শ্বাস নিন। অথবা আপনি আপনার সঙ্গীর পাশে মিশে বসতে পারেন। আপনার ঠোঁট আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ডান কানের কাছে রাখুন এবং কানের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস করুন যাতে করে আপনি শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি প্রবাহ শুনতে ও অনুভব করতে পারেন। হঠাৎ করে কমন রিদম-এ পৌঁছে যাওয়া সবসময় হয়ে ওঠে না। এর জন্য প্রয়োজন ঘন ঘন অনুশীলনের। যদি নিজেকে উত্তেজনায় কঠিন মনে হয়, অধৈর্য অথবা ভয়ানক মনে হয়; তাহলে এর অর্থ এই দাঁড়াবে যে আপনি কৌশলটির উপরে অত্যধিক বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলেছেন এবং ক্রিয়াকর্মের লাক্ষণিক জটিলতায় (Performance Syndrome) এ সঠিকভাবে কাজ করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েছেন। এই টানটান অবস্থার মধ্যে কোনো কিছুই হচ্ছে না। আরাম করুন একটু অবসর নিন, আপনার হাস্য কৌতুক ও স্বতঃস্ফূর্ততার জ্ঞান পুনরায় ফিরিয়ে আনুন এবং নতুন করে আবার শুরু করুন।
এই অধ্যায়ে আপনি আবিষকার করেছেন যে, কিভাবে আপনার যৌন শক্তিকে ভেতরের বাঁশির সহায়তা চক্রসমূহের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করে উপরে নিচে আনা নেয়া যায় এবং কিভাবে পিসি পাম্পের মাধ্যমে আপনার যৌনপুলক শিহরণ শক্তিকে আরও বেশি উত্তেজক ও প্রসারক করতে সমর্থ হন। এছাড়া আরো আপনি দেখতে পেয়েছেন যে, যৌন শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আপনি সমস্ত দেহের মধ্যে একটা যৌনপুলক শিহরণ এর সৃষ্টি করতে তাদেরকে র্রে র্রে ছড়িয়ে দিতে এবং সমস্ত পথ অতিক্রম করে মস্তিষক পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারছেন। যার ফলে অন্তরের ভালোবাসার জাগরণ ঘটিয়ে তাকে উৎফুল্ল ধ্যানমগ্নতার ইন হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন। আপনি আরো আবিষকার করেছেন যে কিভাবে আপনার সঙ্গীর সাথে একত্রে প্রথম পদক্ষেপেই শক্তিকে ভেতরের বাঁশির মধ্য দিয়ে একটা যৌথ সাধারণ ছন্দে প্রবাহিত করা যায়। এটা জেনে আপনি অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারেন যে উঁচু শ্রেণীর তন্ত্র মতে দেহের মধ্য দিয়ে শক্তিকে উপরের দিকে প্রেরণের এই অভ্যাসকে দেখা হয় শেষ মুহূর্তে শিব ও শক্তির মিলন হিসেবে। শক্তি হচ্ছে বিশ্বব্রহ্মান্ডের বা জাগতিক শক্তির প্রতীক যা কুন্ডলিনী বেশে মেরুদন্ডের মূলে বসবাস করে। আর শিব হচ্ছে স্বর্গীয় আত্মজ্ঞানের মূলতন্ত্র। সে বাস করে মাথার চাঁদির মধ্যে। মেরুদন্ডের মূল থেকে কুন্ডলিনী শক্তির ভাইটাল এনার্জিকে প্রত্যেকটি চক্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করে বা চালিয়ে নিয়ে চাঁদি চক্র পর্যন্ত পৌঁছিয়ে নারী ও পুরুষের দুটি মেরু একত্রিত হয় এবং একটা স্বর্গীয় মহানন্দ লাভ করে।
পরবর্তী অধ্যায়ে আসছে আত্ম আনন্দের অনুষ্ঠান। তখন আপনার সুযোগ হবে পূর্ববর্তী অনুশীলনগুলোকে একত্র করে অভ্যাস করার এবং আত্ম আনন্দের মধ্যদিয়ে যৌনতার সূচীতে পৌঁছে যাওয়ার। প্রত্যেকেই হস্তমৈথুন বা আত্ম আনন্দ সম্ব েঅবগত আছেন। কিন্তু কেউ কখনও ভেবেছেন যে, এটা একটা আরোগ্য লাভের কৌশল উপকরণ হতে পারে? সপ্তম অধ্যায়ে আপনি এই অভ্যাসগুলোকে ব্যবহার করুন যা এখানে শিখেছেন তাতে আপনার প্রেমোদ্দীপনা ও আনন্দ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। আর আপনি আবিষকার করতে পারবেন যে আত্ম আনন্দ হচ্ছে আপনার ভেতরের প্রেমিককে জাগানোর অন্যতম কৌশল।
আত্ম-আনন্দ লাভের অনুষ্ঠান
আপনার মনে আছে কি, প্রথমবারের জন্য যখন আপনি আবিষকার করলেন যে যৌন অনুভূতিটা কতো আনন্দদায়ক হতে পারে? একজন বালিকা হিসেবে, আপনি কি স্মরণে আনতে পারছেন যে, কোনো গাছে ওঠার সময় দুই পায়ের মাঝে গাছের জালের ঘষায় একটা বিদ্যুৎ প্রবাহের মতো স্নায়বিক উত্তেজনা, উষ্ণ এবং জীবন্ত অনুভূতি লাভ করেছিলেন? অথবা আপনি কি মনে করতে পারেন যে নির্দোষভাবে কখনো আপনার গোসলের সময় গরম সাওয়ার (ঝর্ণা) টার নজেলটি আপনার পিউবিস (Pubis) এর উপর ধরেছেন এবং সেই ঝর্ণার গরম জল পিউবিসের উপর দিয়ে গড়িয়ে আপনার ভগাঙ্কুর এর উপর (Clitoris) পড়ে একটা উষ্ণ অনুভূতি জেগেছে, কতো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে অপ্রত্যাশিত আনন্দ শিহরণ! ছেলে হিসেবে আপনি হয়তো কখনো অনুভব করেছেন স্কুলে ডেক্স এর পেছনেই আপনার শিশ্নটি উষ্ণতায় শক্ত হয়ে উঠেছে এবং জীবনে প্রথমবারের মতো আপনি সেটাকে ছুঁয়ে দেখেছেন। আপনার শরীরের রক্ত দৌড়াদৌড়ি করছিল, আপনার শক্তি চামড়ার মধ্য দিয়ে ফেটে পড়ছিল এবং বলছিল ‘হ্যালো! আমি এখানে আছি, এবং আমাকে যখনই তুমি সপর্শ করবে আমি তোমাকে আনন্দ পাইয়ে দেব।
আমার সেমিনারে যোগদানকারী অনেক লোকই এই বালক বয়সের নির্দোষ আনন্দঘন মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করেন, যখন প্রথম জীবন নৃত্যের বুত্বপূর্ণ আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু তা হতে পারে না, তা হওয়া উচিত নয়। এটা বড়দের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এটা ছিল ভয়াবহ। না বলা ভয় এই ছিল যে, যৌন অঙ্গ সমূহই ভয়ানক ধরনের ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে যা একটা লাগামহীন সহজাত আবেগ এবং অনুভূতি যাকে কঠিন বাধা নিষেধের মধ্যে রাখতে হবে। অতএব আমাদের ওস্তাদগণ আমাদের মাতা-পিতা, আমাদের ধর্মযাজক ও স্কুল শিক্ষকগণ যৌন অঙ্গসমূহ সম্বন্ধে খারাপ মতামত প্রদান করতেন। ফেলে দেয়া অথবা একটি জীর্ণ শীর্ণ দেহের এই অঙ্গসমূহকে উৎসাহজনকভাবে দোষারোপ করা হয়েছে এবং যার ফলশ্রুতিতে তাদেরকে অশিষ্ট, বীভৎস নাম দেয়া হয়েছে যেমন- ছুঁচলো যন্ত্র, হাড়, পুরুষের অঙ্গের জন্য এক চক্ষু পাজামা-সাপ। স্ত্রীদের যৌনাঙ্গকে বলা হয়েছে-চেরা গর্ত, কান্ট (Cunt) নিশ্লেষণ যন্ত্র, পুসি ইত্যাদি। তাদের মর্যাদাকে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের শক্তিকে নিষ্পেষিত করা হয়েছে এবং তার সাথে সাথে আপনার শরীরের যে প্রকৃতিগত স্বাভাবিক আনন্দ উপভোগ করার ক্ষমতা এবং যৌনাঙ্গসমূহের মাধ্যমে যৌনপুলক লাভের যে সহজাত প্রবৃত্তি তাকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ডাঃ এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি

মূল রচনাঃ মার্গো আনন্দ
যৌন পুলকের কলাকৌশল
পাশ্চাত্যের প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য পবিত্র যৌন মার্গো
পূর্ব প্রকাশিতের পর.....

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

নারী পুরুষের কামলিলা দুনিয়া

বাৎসায়ন কামসূত্র

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More